ভাল পাঠক হলেও নিজে কিছু লিখতে পারি না,মনের ভাবটা তাই ঠিকমত প্রকাশ করতে পারিনা....... গৃহকর্মী নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখি পত্রিকায়,কিন্তু আজকে কেন জানি নিচের ঘটনাটা আমাকে পুরো একটা ধাক্কা দিয়ে গেল! আমি কান্না আঁটকাতে পারিনি ঘটনাটা পড়ে!
"ভোরবেলা নামাজ পড়তে বের হয়ে একটি ছয়তলা ভবনের ফটকে এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যান দিনমজুর মো. শাহাবুদ্দীন। কাছে গিয়ে দেখেন এটি তাঁর আট বছরের মেয়ে ফরমিন আক্তার,রক্তাক্ত-মৃত। দরজা ধরে ধাক্কাধাক্কি করেও কেউ খোলেনি। তাঁর চিত্কার-কান্নায় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরেপুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
রাজধানীর দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়া তালতলা এলাকার একটি বাসার পঞ্চম তলায় প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের বাসায় কাজ করত শিশুটি। ওই বাসার ফটকেই পাওয়া যায় ফরমিনের লাশ। পুলিশ গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের বাবা শাহাবুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা এলাকার মসজিদ রোডে রওশন ম্যানশনের পঞ্চম তলায় রাশেদুলের বাসায় চারমাস ধরে কাজ করছিল ফরমিন। পাশে একই এলাকায় আরেকটি বাসায় তিনি ভাড়া থাকেন।
গতকাল ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় তিনি রওশন ম্যানশনের সামনের রাস্তায় একটি শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কাছে গিয়ে দেখেন, সেটি তাঁরই মেয়ে। মেয়ের লাশ দেখে তিনি চিত্কার করে কাঁদতে শুরু করেন। ঘুম ভেঙে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তারা গৃহকর্তা রাশেদুল ইসলামের কাছে গিয়ে মেয়েটির মৃত্যুর কারণ জানতে চায়।
তবে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
দক্ষিণখান থানা-পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গৃহকর্তা রাশেদুল, তাঁর স্ত্রী সাবিনা জাহান, শ্বশুর আবদুল্লা হেল বাকি ও ভবনটির তত্ত্বাবধায়ক বাদশা ওরফে নকিবকে গ্রেপ্তার করে। রাশেদুল একটি মুঠোফোন কোম্পানির প্রকৌশলী। "
মাত্র বছর আটেকের এই ছোট্র শিশুটির যখন খেলাধুলায় মগ্ন থাকার কথা,বাবা ভাইয়ের কাছে বায়না ধরার কথা,মায়ের বুকে মাথা রেখে গল্প শোনার এই রঙিন স্বপ্নের এই সময়টাতে পেটের দায়ে সে কাজ করতে গিয়েছিল তার বাবা মায়ের মতোই দেখতে শুনতে একিরকম মানুষের বাড়িতে,কিন্তু সে জানতো না আদতে তারা মানুষ নয়,জানোয়ার!! আমরা দিন দিন এমন জানোয়ার হয়ে যাচ্ছি কেন বলতে পারেন??? আমাদের সবার ই তো এই ছোট্র ফরমিনের মত বাচ্চা অথবা ছোট বোন আছে,তারপরও ফরমিনদের শরীরে হাত তোলার সময় আমাদের নিজেদের সন্তানদের কথা মনে পড়েনা কেন বলতে পারেন??? সেই ছোট্র শিশুটির বাবা যখন নিজের সন্তানের রক্তাক্ত নিথর ছোট্র দেহটিকে আবিষ্কার করেছিল সে সময়ের দৃশ্য কল্পনা করে আমি চোখের পানি আটকাতে পারিনি! এমন নৃশংসতা যদি একটা দুইটা ঘটতো তাহলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মেনে নেওয়া যেত,কিন্তু এযে প্রতিনিয়ত ঘটছে! মানুষের মনুষ্যত্ত্ববোধ,মায়া,মমতা এগুলো যে সত্যি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে! আমার আপনার কি করার কিছুই করার নেই???
সূত্রঃ Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।