যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
সময়টা শীতকাল, ঝিরিঝিরি কুয়াশা, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। ঘেউ ঘেউ করে পাগল হয়ে যাচ্ছে এলাকার কুকুরেরা। রাস্তায় কি পড়ে আছে ওটা হাড়? কিসের হাড়? মাথার উপরে বিভৎস সাদা আলো, বাতাসে কিসের যেন আভাস, আজ নিশ্চয়ই মন্দ কিছু হবে।
হঠাৎ মানুষের হই হই, কি নৃশংস উল্লাস! এত বিভৎস ঘটনায় কিভাবে আনন্দ করতে পারে মানুষ! মাতাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল তারই মা মানে নানী; তারপর একবারও পিছনে না তাকিয়ে একটানে ছুটে চলল, সোজা নাক বরাবর। সবাই মজা পেয়ে গেছে তখন, সে কি নারকীয় উল্লাস, আগুনের ফুলকি, বিকট শব্দ। কুকুরগুলো হতবাক হয়ে দেখছে শুধু, মনুষ্যত্ব বলে কি কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই? এতগুলো মানুষ টেনে হেঁচড়ে প্রায় আটকে ফেলেছে তাকে, কিন্তু অদম্য নানী ছুটে চলছে, সমস্ত সম্পর্ক ভুলে; এই তো লক্ষের খুব কাছাকাছি আর তখনি যেন আকাশ ফুঁড়ে নেমে এল কাকা; উড়ন্ত লাথিতে নানীকে ফেলে দিয়েই শান্ত হল না সে; সজোরে এগিয়ে গেল তার লোহার মত শক্ত ডান পা। যেন থেঁতলে দেবে নিমিষেই। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো নানী, অপেক্ষা করতে লাগলো সেই ভয়ংকর মূহুর্তের, জীবনের সব চাওয়া শেষ হল আবার।
সময় যেন থমকে গেছে। সব খেলা ফুরালো এবার।
আর তখনি ঠিক তখনি মানুষের কানফাটানো চিৎকার থরথর করে কেঁপে উঠলো মাটি;
গোওওওওওওওওওল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।