আল্লাহর গজবের ভয় করছি !! এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৫-০৬-২০১২
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তাঁরা মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাংবাদিকেরা।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের দাবিতে বিকেলে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন ও গণমাধ্যম-কর্মীরা আজকের কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সম্প্রতি লন্ডনে মাহফুজুর রহমান বলেন, সাংবাদিক দম্পতি ‘সাগর-রুনি পরকীয়ার বলি’। তাঁর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী সমাবেশে বলেন, তিনি (মাহফুজুর রহমান) বিকৃত মানসিকতার মানুষ। রুনির বিরুদ্ধে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁকে প্রমাণ করতে হবে।
তা না করতে পারলে সাংবাদিক সমাজ রাজপথে তাঁর বিচার করবে। মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে তিনি কী কী জানেন, তা বের করার দাবি জানান এই সাংবাদিক নেতা। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি জানান।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীও মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে বলেন, মাহফুজুর রহমানের ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আসামির সূত্র পাওয়া গেছে।
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়া, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের বক্তব্য ও সম্প্রতি রাজপথে টানানো ব্যানারের মধ্যে একটি সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।
তিনি বলেন, শুধু হত্যা নির্যাতন নয়, এখন সাংবাদিকদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা হচ্ছে। মর্যাদা নিয়েও সাংবাদিকেরা থাকতে পারছেন না।
এটিএন বাংলার বার্তাপ্রধান জ ই মামুন সমাবেশে বলেন, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য। এটিএন বাংলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বক্তব্য নয়। যে-ই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকুক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
মামুন আরও বলেন, সাগর-রুনির হত্যার পর বিভিন্ন কল্পকাহিনী ও লজ্জাজনক বিভ্রান্তকর কিছু সংবাদ ছাপা হচ্ছিল। আকস্মিকভাবে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা এসব বক্তব্যের শামিল। জ ই মামুন যেকোনো কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানান।
এর আগে দৈনিক প্রথম আলোর তিন আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর পুলিশের নির্যাতন, অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাসহ সব ধরনের সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাংবাদিকেরা।
আমার নিজস্ব বক্তব্য ঃ ন্যায় বিচার চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।