স্বপ্ন ছুঁয়ে ব্লগার সর্বনাশার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ভার্সিটি যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলো তাতে সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছিলেন আমাদের ব্লগীয় প্রতিনিধিদল। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই তারা করেছিলেন এই ঘটনার একটা সুরাহা করতে। কিন্তু সেই ভার্সিটির অথরিটির অসহযোগিতা তথা প্রশ্নবোধক কর্মকান্ডের কারনে আমাদের প্রতিনিধিদলের দুই সদস্যই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এর মানে কি এই যে , অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা স্তব্ধ হয়ে যাবো? তাহলে কি আমরা নষ্টদের অধিকারে সব ছেড়ে দিয়ে চুপ করে বসে থাকব? না । কক্ষনো না।
সোজা অর্থে ব্লগ হচ্ছে একটা মিডিয়া। এরকম একটা মিডিয়ায় যখন ব্লগার সর্বনাশার ঘটনা আমাদের সবার চোখের সামনে এলো, তখন স্বাভাবিক ভাবেই এই ইস্যুতে তৈরি হল আমূল সমর্থন। সমর্থন তৈরি হলো ইভটীজিং সত্যিকার অর্থে অর্থে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে , সমর্থন তৈরি হলো এক অপরাধীর শাস্তির পক্ষে। সেই সমর্থনের চাপেই বাধ্য হয়ে গঠিত হয়েছিলো সংশ্লিষ্ট ভার্সিটির তদন্ত কমিটি। আর তাদের আহবানে সাড়া দিয়েই পুরোপুরি সহযোগিতার মনোভাব নিয়েই ভার্চুয়াল লাইফের বাইরে এসে এগিয়ে গিয়েছিলেন ব্লগারেরা।
এমনকি অসংখ্যবার স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান আমাদের কারো প্রতিপক্ষ নয়। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। কিন্তু ফলাফলে কি পেলাম আমরা??
দুইজন প্রতিনিধি যাদের ভার্চুয়াল লাইফে পরিচয় ব্লগার হিসেবে, তাদের কতটুকু করার ক্ষমতা থাকে , যখন সেই ভার্সটির তদন্ত কমিটিই এরকম অসহযোগিতামূলক হয়??? তদন্ত কইমিটির সেই ভার্সিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা , যাদের হাতে সর্বময় ক্ষমতা তারাই যদি আগ্রহী না হয়, তবে কতটুকু করতে পারেন আমাদের দুই জন ব্লগার প্রতিনিধি?? সুতরাং আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, একটা সাজানো তদন্ত কমিটির অংশ হয়ে থেকে কুৎসিত নাটক মঞ্চায়নে সহযোগী হওয়ার বদলে এভাবে নোংরামির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসাটাই আমার কাছে যথোপযুক্ত মনে হয়।
কিন্তু আমাদের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে প্রশ্নটা এখন আছে, তা হলো আমরা কি এখন তবে থেমে যাবো? আমরা কি আমদের প্রতিবাদ স্তব্ধ করে দেবো? উত্তরটা হচ্ছে , না, কক্ষনো না। আমাদের প্রতিবাদ এর জন্য থেমে যাবে না।
আমাদের প্রতিবাদ এখন আরো প্রচন্ড হবে, হতেই হবে। অবশ্যই আমরা এখান থামব না। আমাদের প্রতিবাদ আমাদের করতেই হবে।
চিন্তা করুন আজ যদি এই অবস্থা দেখে আমি-আপনি মনে করি যে , আমাদের প্রতিবাদের এখানেই সমাপ্তি , তাহলে কি ইভটীজার নামক সেই পশুরা আরো ভয়ঙ্কর রুপে ফিরে আসবে না??? সুতরাং আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার এখনই সময় আরো দুর্দান্তভাবে এই আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার। আমরা হারি নি, আমরা হারতে পারি না।
আজ এই মুহুর্তে থেকেই আরো দুর্বার গতি পাক আমাদের প্রতিবাদ, আরো উত্তাল হয়ে উঠুক ভার্চুয়াল থেকে বাস্তব লাইফ। কচ্ছপ যেটা একবার কামড় দেয় , তা সহজে ছাড়ে না। আমরা কি পারব না, এরকম প্রতিবাদের জন্য একটা কচ্ছপ কামড় দিতে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।