যারা সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধাপরাধিদের বিচারকে সমর্থন করেন তাদের অনেকেরই আশংকা যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও তার জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হতে পারে এবং তাতে নিশ্চিতভাবে যুদ্ধাপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাবে, বিচার বন্ধ হবে এবং তারা প্রতিশোধও নিতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশে হবে না? শোনা যাচ্ছে, একটা সমঝোতা হলে স্পিকার কিংবা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচন বিএনপি মেনে নিতে পারে। সেক্ষেত্রেও যদি বিএনপি জিতে যায়, তাহলে কি হবে? আশংকাটাতো থেকেই যায়। আর যদি ভোট ডাকাতি করে এক তরফা নির্বাচন করে ফেলা যায়, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সেটাও বেশীদিন টেকানো যাবে না এটা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলাই যায়।
বরং ততদিনে ক্ষতটা আরো বেড়ে যাবে।
তাহলে কি করা? যারা আসলেই চান অপরাধীদের বিচার হোক, তাদেরইতো এখন সবচেয়ে বেশী সক্রিয় হওয়া দরকার যাতে করে বিরোধী দলের সাথে সরকারের একটা অর্থপুর্ন সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিরোধী দলতো চাইবেই যে শুধুমাত্র শেখ হাসিনা সরে গেলেই তারা নির্বাচনে চলে আসবে। কিন্তু তাতেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? তারা ক্ষমতায় এসেওতো সেই একই অরাজকতার সৃষ্টি করবে, ক্ষমতাকে চিরস্হায়ী করার চেষ্টা করবে যেটা তারা অতীতেও করেছিল, ফলে আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে, জনগন খেসারত দিবে।
অতএব, এখন আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভুতিশীল বুদ্ধিজীবি, ছা্ত্র জনতার উচিত যে কোন সমঝোতার পুর্বে, সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই যেন একটা অর্থপুর্ন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় সে ব্যবস্হা করা।
যে সংলাপটা হবে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে, লাইভ ক্যামেরায়। যাতে কেউ জনগনের চোখ এড়িয়ে যেতে না পারে। যাতে সংলাপ হবার পরেও কেউ অস্বীকার না করতে পারে। সেখানে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে একমত হতে হবে, জনগনকে জানতে দিতে হবে যে, নিরপেক্ষ নির্বাচনে যে দলই জয়লাভ করুক তারা যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবে না, বিচার কাজ চালিয়ে যাবে, ভবিষ্যতে ক্ষমতাকে চিরস্হায়ী করার চেষ্টা করবে না ইত্যাদি। সেই সংলাপটা কিভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় এবং কি কি জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয় সেই ডায়লগে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে এক মুহুর্ত সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না এখন।
তা না করে, সময় ক্ষেপন করলে, দেখা যাবে আম ছালা দুইই গেছে। সো, প্লীজ ট্রাই টু গেইট দ্যা বেষ্ট আউট অব দ্যা বক্স! লেটস বিগিন দ্যা ফ্রুটফুল ডায়লগ বিফর ইট ইজ টু লেইট!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।