যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আগে অন্য কোন ইস্যু নেই অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইদ। একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর। স্যার আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনি রাজনীতি তে আসুন। রাজনীতিতে আপনার মত মানুষের এখন খুব বেশী প্রয়োজন।
আপনার বক্তব্য মতে "বাংলাদেশের মন্ত্রী-এমপিদের কোন নীতি নেই। তারা চোর ডাকাতের মত আচরন করে। " এখন সময় এসেছে আপনাদের মত মানুষকে রাজনীতি তে আসার।
স্যারের কাছে আমার শুধু একটি মাত্র প্রশ্ন, আপনি হঠাৎ মন্ত্রী-এমপিদের অসততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভালো কথা সারা জীবনে আপনি কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া নিয়ে একটি বারও কোন কথা কলেছেন? আপনার কাছ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে কথা শুনতে চাই। আপনি আলোকিত মানুষ গড়বেন অথচ এদেশের নতুন প্রজন্মকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হওয়া না হওয়া নিয়ে কোন কথা বলবেন না, নতুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা পাবে না এটা কেমন কথা?বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে আপনার অবস্থান আমরা জানতে চাই।
এ বিষয়ে যদি আপনি কিছু না বলেন তাহলে আপনার শিক্ষক হিসাবে যোগদানের ঘটনাটা আমাদের খুব বেশী ভাবিয়ে তুলবে। কারন ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যখন ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শওকত ওসমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তখন আপনি মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে বরং শওকত ওসমানের ছেড়ে যাওয়া চাকুরিটার সুযোগ গ্রহন করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে আপনার অবস্থান ব্যাখ্যা করুন তা না হলে আমরা ভাববো আপনি হয়তো আবার কোন সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।