When you become detached mentally from yourself and concentrate on helping other people with their difficulties, you will be able to cope with your own more effectively. Somehow, the act of self-giving is a personal power-releasing factor. শুরুতেই বলে নিচ্ছি আমি আপনার একনিষ্ঠ গুনভক্ত একজন পাঠিকা। আপনার এমন কোন লেখা নিএ যা আমাকে স্পর্শ করে না, হোক তা ছোটদের গল্প, সাইন্স ফিকশন বা সাধাসিধে কথা। আপনার লেখা আমি গোগ্রাসে গিলি। আপনার বই না কিনে কোন বই মেলা থেকে ফেরত আসিনি। আপনার সব লেখার কালেকশন আমার ঘরে আছে।
যেকোনো ক্রান্তি লগ্নে, বা আলোচিত কোন ঘটনায় আপনার লেখার জন্য তীর্থের কাকের মত অপেক্ষায় থাকি।
উপরে আপনাকে নিয়ে যে কথা গুলো বললাম, আমি জানি এগুল শুধু আমার কথা না। আমার মত লাখে লাখে আরও অনেকে আছে জাদের কাছে আপনি আদর্শ মানব, আমাদের প্রেরনা। কেউ আপনাকে নিয়ে বাজে কিছু বললে আমাদের সবার নিজের গায়ে লাগে। আপনি আমাদের বিশেষ করে ছাত্র সমাজের এমনি এক আপন জন।
আপনার সাথে আমার অন্য আরেকটা সম্পর্ক ও আছে। আমি একজন এক্স ভিকি। আমাদের প্রায় প্রতিটি সাইন্স ফেয়ার এ আপনি আসতেন। আমাদেরকে কত্ত সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন। অনেক সময় কথা গুলো শুনে গলায় বাষ্প জমত।
আর আমি প্রতিজ্ঞা করতাম মানুষ হতে হলে আপনার মতই হব। মনে আছে, এক সাইন্স ফেয়ারের দাওয়াত দিতে ১১ জন ভিকি আপনার বাসায় চলে গিয়েছিল? আপনি তাদেরকে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন 'আরও আছে'? আপনি কি লক্ষ্য করেছিলেন কি অবাক বিস্ময়ে কিশোরীগুলো আপনার দিকে ছেয়েছিল??
অই ঘটনার প্রায় ৪ বছর পার হয়ে গেছে। সেই কিশোরীগুলো আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। এদের কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আইনজ্ঞ কেউ বা ব্যবসা নিয়ে নাড়াচাড়া করে। কিছু বিশ্বাস করুন, এতো বছর পরেও অরা প্রত্তেকে একই বিশ্বয় নিয়ে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে।
আজ শুধু বিস্ময়ই নয়। প্রচণ্ড হতাশা আর আশা ভঙ্গের অনুভুতিও তাদের চোখে স্পষ্ট।
স্যার! কি করে পারলেন আপনি? যে মেয়েগুল সব সময় আপনাকে তাদের সুসময়ে ডেকেছে, পাশে পেয়েছে, যে মেয়েগুলো আপনার উপন্যাসের পাতায় নিজেদেরকে খুজেছে। আপনার উপন্যাসের রাশা বা নিতু রা যা করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সাহসী কাজ যখন তারা একলা করছে তখন ই আপনি তাদের পাশে নেই? আপনার নিতুদের পাশে অন্তত পুলিশ থাকে, রাশার পাশে থাকে তার স্কুলের শিক্ষিকা,মুক্তিযোদ্ধা নানা এই মেয়েগুলর পাশে তো কেউ ই নেই। সম্পূর্ণ একা একা এত্ত গুলো মেয়ে সমাজকে পালটে দেবার প্রত্যয়ে এক হয়েছে।
আপনি একটা শব্দ ও তাদের জন্য লিখলেন না? একটা বার তাদের ফোনটা ধরলেন না। তারা তো আপনার কাছ থেকে কিছু চায়নি, শুধু চেয়েছিল কয়েকটি শব্দগুচ্ছ এক করে আপনি তাদের পাশে থাকবেন। কি করে পারলেন আপনি এই ছোট ছোট মেয়েগুলোর মন ভেঙ্গে দিতে? আপনার ও তো একটা মেয়ে আছে, সেই মেয়েটির দিকে তাকিয়েও কি আপনার একটা বার খারাপ লাগে নি??
আসলে দোষ তো মেয়েগুলোর। মেয়েগুলো বোঝে না পৃথিবীটা আসলে অনেক নোংরা। এখানে সবাই এক।
সবাই স্বার্থপর। দিন দিন এখন এমন অবস্থা যে মুখের কথাটাও কেউ সহজে খরচ করে না! বোকা মেয়েগুলো! আপনার আগামি বই এ মেয়েগুলো কে একটু বকা দিয়ে দেবেন স্যার। আর রাশা, নিতু এই রকম চরিত্র না লেখাই ভালো। মেয়েগুলো আবার একটু তেই আশাবাদি হয়ে উ্ঠে কিনা!
এই লেখার উদ্দেশ্য স্যার কে ছোট করানা। আমাদের যে আবেগের জায়গায় স্যার আছেন, সেই আবেগের দাবি থেকে কথাগুলো উঠে এসেছে।
অন্নভাবে কেউ বিষয়টি সম্পৃক্ত করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।