যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি আজকের যারা শিবির তার হলো ৭১ এর ছাত্র সংঘের উত্তরসূরী। যে ছাত্র সংঘ নিজামী-মুজাহিদের নেতৃত্বে আল-বদর বাহিনী তৈরী করে পরিকল্পিতভাবে "ভারতের চর" নাম দিয়ে বুদ্ধিজীবি নিধন করেছে। ওরা যখন মুক্তিকামী বাঙ্গালীদের নির্যাতন- হত্যা করেছে - তার জন্যে সামান্য করুনা দেখানোর প্রয়োজন মনে করেনি। আজ ৪০ বছর পর বাংলাদেশ সে কুলাঙ্গারদেন "বিচার" করছে। সেখানে তাদের আত্নপক্ষ সমর্থনের সকল সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ওরা দলগত ভাবে আদালতে যাচ্ছে মামলা লড়তে - পাশাপাশি দেশে বিদেশে প্রচুর অর্থব্যয় করে আদালতের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়েও যখন কোন সুবিধা করতে পারেনি - তখন আদালত ঘেরাওএর হুমকী দিলো।
খবরের প্রকাশ -
"মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আটক জামায়াত নেতাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘোরাওয়ের হুমকি দিয়েছে ছাত্র শিবির। "
একাত্তরের ঘাতকদের উত্তরসূরীদের সন্ত্রাসী চরিত্র ফুটে উঠেছে তাদের বক্তব্যে -
জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলেছেন, আমাদের রক্ত টগবগ করছে।
সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম নাজির আহমেদ।
শিবির নেতা ইয়াসির আরাফাত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও করার হুমকি দেন।
এরা রাজনৈতিক ডামাডোলে বিএনপির ছত্রছায়ায় ধীরে ধীরে স্বরূপে আবির্ভূত হচ্ছে। গতকাল একক ভাবে চট্রগ্রামে হরতাল করার সাহস দেখিয়ে এখন ট্রাইবুন্যানাল ঘেরাও করার হুমকী দিচ্ছে।
(২)
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুন্যালস) এক্ট্র ১৯৭৪ (এক্ট্র নং ১৯ -১৯৭৪) এর বিধানমতো যে কোর্ট চলছে তার ক্ষমতা হিসাবে বলা হয়েছে -
(3) A Tribunal shall -
(b) take measures to prevent any action which may cause unreasonable delay, and rule out irrelavent isses and statements.
(4) Any member of a tribulan shall have power to direct, or issue a warrent for, the arrest of, and to commit to custody, and to authorise the contnue detention in custody of, any person charged with any crime specified in section 3.
- এখানে সুষ্পষ্ট ভাবে আদালতের কাজকে বিঘ্ন ঘটনোর হুমকী দেওয়া হয়েছে যা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য ( ধারা ৩ এবং ৪ অনুসারে। )
কথায় আছে সময় থাকতেই ব্যবস্থা নিতে হয় - সময়ের এক ফোঁর অসময়ের দশ ফোঁড়। এই এই হুমতীদাতাদের আইনের আওতায় গ্রেফতার করে বিচার করা হউক।
নতুবা এরাই একসময় বিচারকে ভন্ডুল করার জন্যে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে।
দেশের স্বার্থে এবং বিচারপ্রার্থীদের জন্যে সুষ্ঠবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এখনই এই হুমকীদাতা জামায়াত/শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতাদের দাবী জানাচ্ছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।