আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। পরিবর্তনের রঙ আজ বেগুনি। ঠিক এক বছর আগে শহরবাসী সাক্ষী ছিল সেই ঐতিহাসিক ঘটনার। যখন পরিবর্তনের রঙ লাল থেকে হয়েছিল সবুজ। আজ মঙ্গলবার শহরবাসী উপভোগ করল সবুজ-মেরুন ও লাল-হলুদের শহর তার আবেগের রঙটা বদলে দিয়েছে।
এখন আবেগের রঙ বেগুনি। পরিবর্তনের রঙ বেগুনি। নাইটদের বিজয় উচ্ছ্বাসে অকাল দেওয়ালি বা অকাল শারদোৎসবে মাতোয়ারা হল প্যাচপ্যাচে গরমে ভেপসে যাওয়া শহর। অফিস টাইমে বাইপাস থেকে খিদিরপুর-বেহালা, উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা বিজয় মিছিল আর জনতার ঢলে অচল হল। বাঁধ ভাঙা আবেগে পাগল হলেন নেতা মন্ত্রী, জনতা থেকে পুলিশ প্রশাসন।
কিন্তু এ তো আর ব্রিগেডের সমাবেশ নয় যে নিয়ম মানার কোনও ব্যাপার আছে। তাই যথারীতি নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা ছিল আজকের বিজয় উৎসবের অপরিহার্য সঙ্গী।
আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাল কেটে যায়। হাজরা মোড়েই মঞ্চ ভেঙে বাতিল হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তারপর জনপ্লাবনে তুমুল নৈরাজ্য ইডেনে।
মঙ্গলবার দুপুরে আইপিএলজয়ী নাইটদের রাজ্য সরকারি নাগরিক সংবর্ধনা তৈরি করে দিল আরও বহুবর্ণীয় বিচিত্র দৃশ্য। মাঠের ধারে দর্শকদের আবেগ আরও উস্কে দিলেন এই মেগা শোয়ের প্রধান কুশীলব কলকাতা নাইট রাইডার্স মালিক নিজে। একেবারে যেন এই শহরেরই পাশের বাড়ির ছেলে হয়ে। বাঁধভাঙা আবেগ এমন জায়গায় পৌঁছল যে, শাহরুখ খান নাচলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। দর্শকঠাসা স্বর্গোদ্যানের সবুজ ঘাসে।
ভূমির গানের তালে তালে। নাচলেন বাংলার তারকারাও। মমতার নির্দেশে শুরু হয় ‘ধিতাং ধিতাং বোলে..। ’ বাদশা ফের গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে টুইস্ট শুরু করেন। এমনকী বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এও বলেন, দিদি আমার সঙ্গে নাচবেন।
দিদি না নাচলেও আগাগোড়া এনার্জি-আবেগ নিয়ে নেচে গেলেন কিং খান। তাঁর গায়ের টি শার্ট তখন ভিজে জবজবে। প্রথমে গান হচ্ছিল- করব, লড়ব, জিতব রে...। দিদির নির্দেশে শুরু হল ‘ধিতাং ধিতাং বোলে..। ’ তখনও অক্লান্ত বাদশা।
নিজেই গাইলেন- করেছি, লড়েছি, জিতেছি রে...। একটানা কিং খানের দীর্ঘ পারফরম্যান্স ছিল হাজির হতে পারা দর্শকদের বাড়তি পাওনা। খুশির বহিঃপ্রকাশে কখনও জিত, দেব, ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে নেচে গেলেন নাইট মালিক। কখনও জুহি চাওলার সঙ্গে একটু আলাদা হয়ে। আবার দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে।
পিছনে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন মদন মিত্ররা।
তবে অনুষ্ঠান চলাকালীন ইডেনের বাইরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। হুড়োহুড়িতে আহত হন কয়েকজন। বাইরে ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার দর্শক। কেউ কেউ জোর করেই ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।
শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি। কিছু লোক ১, ২ এবং ক্লাব হাউসের গেট দিয়ে মাঠে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালান। নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে কিছু তরুণকে লাঠি উঁচিয়ে দর্শকদের তাড়া করতেও দেখা গিয়েছে। ভিড়ের চাপে, অতি-উৎসাহ আবেগের বশে সেখানে ক্রিকেটারদের ঘিরে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। পুলিশ তেমন ভাবে ব্যারিকেড না গড়ে তুলতে পারায় তৈরি তুমুল বিশৃঙ্খলা।
পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় মানুষের।
এদিন ইডেনেও বরণ করা হয় টিম-শাহরুখকে৷ ইডেনে পৌঁছানো মাত্রই গানে গানে বরণ করা হল তাঁদের৷ উত্তরীয় ও মিষ্টিতে তাঁদের সংবর্ধনা জানালেন রাজ্যপাল৷ প্রত্যেককে দেওয়া হয় এক ভরি ওজনের সোনার চেনও৷ তাতে খোদাই করা রয়েছে 'বেঙ্গল লভস্ ইউ' সোনার চেন। মাঠে ঢোকা মাত্রই কিং খানের সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় ভিকট্রি ল্যাপ। তার পর জিতের কাছে নাচের স্টেপ শিখে আবার মাঠে নেমে পড়েন শাহরুখ।
নাইট মালিক ও তাঁর যোদ্ধাদের সঙ্গে টিম বাসে করে ইডেনে আসেন মুখ্যমন্ত্রীও৷ আগে মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আইপিএল ট্রফি তুলে দেন গৌতম গম্ভীর৷ এদিন সকাল ১১ টা ৫ নাগাদ হাজরা মোড়ে গিয়ে পৌঁছায় নাইটদের টিম বাস৷ প্রবল ভিড়ের চাপে সেখানে বাস থেকে নামতে পারেননি শাহরুখ৷ তবে ট্রেলারে করে নাইট-ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা৷ পরবর্তী গন্তব্য ছিল যদুবাবুর বাজার৷ কিন্তু ভিড়ের চাপে, অতি-উৎসাহ আবেগের বশে সেখানে ক্রিকেটারদের ঘিরে শুরু হয় হুড়োহুড়ি৷ পুলিশ তেমন ভাবে ব্যারিকেড না গড়ে তুলতে পারায় তৈরি তুমুল বিশৃঙ্খলা৷ পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় মানুষের৷ ফলে যদুবাবুর বাজারে সংবর্ধনা নাইট বাহিনীর সংবর্ধনা বাতিল করে দিতে হয়
link : Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।