মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খান আর তাঁর বলিউড অভিষেকের মাত্র দুই বছর আগে ১৯৯০ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান মা। সম্প্রতি এক টুইটার বার্তায় শাহরুখ জানিয়েছেন, সময়ের অনেক আগেই বাবা-মাকে হারিয়েছেন তিনি। কিং খান জানান, আজও মা-বাবার অভাব প্রচণ্ডভাবে অনুভব করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে এক টুইটার বার্তায় শাহরুখ লিখেছেন, ‘শুটিংয়ের ফাঁকে ছবির দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা হলো। আমরা সবাই আমাদের বাবা-মাকে নিয়ে আলোচনা করেছি।
শুটিং থেকে ফেরার পর বাবা-মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। প্রচণ্ডভাবে তাঁদের অভাব অনুভব করছি। সময়ের অনেক আগেই তাঁরা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। ’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।
মরণঘাতী ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন শাহরুখের বাবা তাজ মোহাম্মদ খান।
কৈশোরে বাবাকে হারানোর ১০ বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে মা লতিফ ফাতিমাকে হারাতে হয় শাহরুখকে। তখন অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছিলেন শাহরুখ। মঞ্চ এবং টিভিতে টুকটাক অভিনয় করতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর বলিউড অভিষেক হয়। পরের বছর ‘বাজিগর’ ও ‘ডর’ ছবিতে অভিনয়ের কল্যাণে বলিউডে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন শাহরুখ।
কিন্তু রুপালি জগতে শাহরুখের অভাবনীয় সাফল্য দেখে যেতে পারেননি তাঁর বাবা-মা।
মায়ের মৃত্যুর এক বছর পর ১৯৯১ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা গৌরী খানকে বিয়ে করেন শাহরুখ। সুখে সংসার করছেন তাঁরা। বলিউডের অন্যতম সুখী ও সফল দম্পতি হিসেবে উচ্চারিত হয় শাহরুখ-গৌরীর নাম। তিন সন্তান আরিয়ান, সুহানা ও আবরামকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাহরুখের জনপ্রিয়তাও যেন বেড়েই চলেছে। গত বছর শাহরুখ অভিনীত ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি একাধিক রেকর্ড গড়েছে বলিউডের ছবির ইতিহাসে। বর্তমানে ফারাহ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন ৪৮ বছর বয়সী শাহরুখ। ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন, সনু সুদ, বোমান ইরানি, ভিভান শাহ প্রমুখ। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ মুক্তি পাচ্ছে চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।