আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাঙ্গো পিপল এর কথা কে রাখে মনে

জীবন নিয়ে ভাবি, কিন্তু কক্ষনও সিরিয়াস না। মৃদু বাতাস বহিতেছে, পিপীলিকারা অতিশয় ব্যস্ত, খুঁজিতেছে আহার। আমরাও ব্যস্ত। কেহ কাড়িয়া নিতেছে কারো মুখের আহার। কেউ বা দুমুঠো ভাতের অন্বেষণে চষিয়া বেড়াইতেছে জমি।

কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্প আজ সবখানে বিরাজমান। খুবই যতন করিয়া সাজানো ফুলদানীর ফুলগুলো কেমন নিস্তেজ হইয়া ঝরিয়া যাইতেছে। সকলেই নিজ অবস্থান হইতে বাঁচিয়া থাকিবার প্রচণ্ড চেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। ক্রমান্বয়ে জীবন দুর্বিষহ হইয়া যাইতেছে। চারিদিকে চলিতেছে অসহযোগ, গুম, হত্যা, ধর্ষণ।

মধ্যিখানে আম জনতা গরমে অতিষ্ঠ হইয়া পাকিয়া, পচিয়া যাইতেছে। লোডশেডিং চলিতেছে ক্রমাগত। এখন বলিতে হয় না বিদ্যুৎ নাই, ইহা অতিশয় সচারচর ঘটনায় পরিনত হইয়াছে। তাই এখন অনিচ্ছা সত্তেও বলি বিদ্যুৎ আসিয়াছে। চলিতেছে পানির জন্য হাহাকার, গ্যাসের অভাবে খাবার প্রস্তুত করনের জন্য চলিতেছে লাকড়ি চুলার আয়োজন।

কিছুদিন পর হয়ত কাঁচা খাওয়ারই অভ্যাস করিতে হইবে। নদীগুলো মরিয়া যাইতেছে অপরিকল্পিত বাঁধের অত্যাচারে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার ন্যায় বাড়িতেছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠিতেছে। জীবনযাত্রার খরচ যোগাইবার জন্য মানুষ ঘুষ, দুর্নীতির মত অন্যায় আচরনে জড়াইয়া যাইতেছে।

এতকিছু সত্তেও নির্লজ্জ কেউ একজন ডটার অব পিস উপাধি গ্রহন করিতেছেন। আবার কেহ করিতেছেন গোলাপি বিবি উপখ্যান। নিজ স্বার্থের লোভে মানুষকে দুপায়ের নিচে পিষিয়া মারিতেছে। নিজের পশ্চাৎদেশে বাঁশের অস্তিত্ব থাকা সত্তেও কিছু জনগন তৃতীয় ছাগ শিশুর মতই চিৎকার করিয়া সমুদ্র বিজয় উল্লাস করিতেছে। এইবার হয়ত সমুদ্রে ডুবিয়া মরিবার সময়ই আসন্ন।

কেহ বিদেশ ভাগিয়া যাইতেছে, কেহ আবার বিদেশীদের এই দেশ লুটিয়া খাওয়ার দাওয়াত দিতেছে। বিশ্বাস উঠিয়া যাইতেছে। নিঃশ্বাসের উপর ট্যাক্স ধার্য হইতেছে। নাগরিক সুযোগ সুবিধার নামে পদস্থরা লুটিয়া পুটিয়া খাইতেছে। আর্থিক ভাবে ধ্বংস করিতেছে, সামাজিক ভাবে ধ্বংস করিতেছে, মানসিক ভাবে ধ্বংস করিতেছে, রাষ্ট্রীয় ভাবে ধ্বংস করিতেছে।

মাথা ব্যাথার ঔষধ না খুঁজিয়া মাথাই কাটিয়া ফেলিতেছে। করিবেই তো, উনাদের বাসায় তো আর লোডশেডিং হয় না। উনাদের তো আর চাকুরীর প্রয়োজন হয়না। ইহার জন্যই কবি বলিয়াছেন, “করে পাশ এম.এ, বি.এ, কেরানীর জীবন যাপন। রাজনীতি করলে রে ভাই ডিগ্রীর কি প্রয়োজন, জনগন তুলে দেবে তোমার হাতে দেশের শাসন।

“ গরীবের টাকায় ট্যাক্স বসাইয়া উনারা ট্যাক্সবিহীন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করিতেছেন। উনাদের সন্তান তো আর এই দেশে থাকেন না। উনাদের তো আর বাজার করিতে হয় না। অসহায়ের দুঃখ উনারা কি করিয়া বুঝিবেন। কবি আরও বলেছেন, “অর্থের কারচুপিতে সিদ্ধ যিনি অর্থমন্ত্রী, দেশের শত্রু মাঝে প্রধান যিনি প্রধানমন্ত্রী, এ দেশে ধার করে ভাই শোধে রাজা ধারের টাকা, মরে ভূত হল মানুষ লোক দেখানো বদ্যি ডাকা।

“  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.