বর্তামান বাংলাদেশের দূর্নীতির চিএ ভয়াবহ। সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে দূর্নীতিবাজরা দেশের বারোটা বাজিয়ে চলছে। সরকারী কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারন পেশাজীবিরা পর্যন্ত দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থায় চরম ব্যবস্থা না নিতে পারলে দূর্নীতি বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আমাদের সবুজ-সুন্দর বাংলাদেশ পরিনত হবে একটি আস্তাকুঁড়ে।
তাই যেকোনো দূর্নীতির শাস্তি প্রকাশ্য শিরশ্ছেদ চাই। 'শিরশ্ছেদ' কারন এতে দূর্নীতিবাজদের মনে ভয় উৎপন্ন হবে; তারা দূর্নীতি করবার সুযোগ থাকলেও 'পাছে ধরা পড়লে কি হবে' মনে করে তা থেকে বিরত থাকবে।
আর শিরশ্ছেদ 'প্রকাশ্য' হওয়া জরুরী কারন অপরকে শাস্তি পেতে দেখলে সাধারন জনগনের মনে দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। তাঁদের মনের মুকুরে যখন দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিটির শাস্তির মুহুর্তটি প্রতিফলিত হবে তখন তাঁরা দূর্নীতি থেকে দূরে সরে যাবে।
এ প্রসন্গে উল্লেখ্য যে মামলা-মোকাদ্দমা করে উকিল-মোক্তার ধরে বিচার করে কোন অপরাধীর শাস্তি যদি কারাগারের অভ্যন্তরে প্রদান করা হয় তবে এতে সাধারন মানুষের জন্য শিক্ষনীয় কিছু থাকলো না। মানুষের সামনে অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে যাতে অন্যরা এই একই অপরাধ করবার সাহসটুকু পর্যন্ত না দেখায়।
প্রস্তাবটি যতোই আজগুবি মনে হোক না কেন, এটিই এখন বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। গনতন্এ, সুশাসন, আইনের শাসন - এসব গালভরা ভাল ভাল কথা ও ধারনার জন্য যেরকম ভাল, সুশিক্ষিত ও সৎ মানুষের দরকার, সেরকম আদমচরিত আমাদের আছে খুবই কম।
কাজেই যদি আমরা আমাদের এই দেশটাকে বাঁচাতে চাই ও নিজের দেশে আত্নসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই, তাহলে আমাদের এই পথটিই অবলম্বন করতে হবে।
নইলে কচ্ছপ হয়তো গন্তব্যে পৌঁছবে কোন একদিন, গুটি গুটি পায়ে, কিন্তু ততদিনে বাংলাদেশটা একটি ছেঁড়াখোড়া, ভগ্নস্বাস্থ্য ও পরাজিত জাতি হিসাবে নিজেকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।