আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুমের ভিতর স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রন করা যাবে !!!!!!!!!!!!!!

আমরা ঘুমের ভিতর কত ধরণের স্বপ্ন দেখে থাকি। কতকটা কৌতুহলী, কতকটা ভয়ংকর, কতকটা সাহসী, কতকটায় আশা থাকে, নির্দেশনা থাকে,,,,,,,,,আরও কতকি! যখন ভয়ংকর কিছু স্বপ্ন দেখি তখনতো ভয়ে চোখই বুঝতে ইচ্ছে করে না। ভাবতে থাকি কখন সেই ভয়ংকর দানবটা এসে হাজির হবে। আর সেই স্বপ্ন এখন নিয়ন্ত্রন করা যাবে !!!!!!!!!!! প্রযুক্তি এখন এত দূর এগিয়েছে !!!!!!!!! ভাবতেই অবাক লাগে। স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে।

তাই স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করার নতুন এক প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছে। প্রযুক্তিটির নাম রিমি ঘুমের মুখোশ (স্লিপিং মাস্ক)। ঘুমের সময় এটির ব্যবহার মানুষের কল্পনাগুলো নির্মল রাখবে, মানসিক সুস্থতা এনে দেবে। মানুষের ইতিবাচক সব ভাবনা ঘুমের সময় স্বপ্ন হয়ে ধরা দেবে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ৩০ বছর বয়সী তরুণ দুই বিজ্ঞানী মুখোশটি তৈরি করেন।

এটি তৈরি করতে ডুকান ফ্রেজার ও স্টেভ মেকগুইনের এক বছর সময় ব্যয় করতে হয়। তারা দু’জনে লক হ্যাভেন ও অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে ধারণা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তারা মুখোশ তৈরির কাজে হাত দেন। যুক্তরাষ্ট্রের কিকস্ট্যারটার নামক ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে রিমি মুখোশ উদ্ভাবনে ফ্রেজার ও মেকগুইনকে সহায়তা করেন। মুখোশটি তৈরি করতে নিউইয়র্ক সিটির ৬৫৫০ লোক প্রায় ছয় লাখ ডলার অর্থ সাহায্য দেয়।

জানা যায়, মুখোশটিতে র্যাপিড আই মুভমেন্ট নামক এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ঘুমের সময় মস্তিষ্ককে সচেতন রাখে। ফলে মানুষ তার স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মুখোশটির অভ্যন্তরে ছয়টি ছোট লাইট ব্যাবহার করা হয়েছে। লাইটগুলোতে কিছু প্রোগ্রাম দেওয়া আছে। স্লিপউইথরিম নামের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রোগ্রামগুলো পরিচালিত হয়।

ব্যবহারকারী ঘুমের আগে বাটন টিপে লাইট সচল করে দিলে প্রত্যাশিত ভাবনাগুলো স্বপ্নে এসে ধরা দেবে। ফ্রেজার ও মেকগুইন জানান, মুখোশ ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা হবে না। তা ছাড়া ব্যবহারকারীরা আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। নতুন এই প্রযুক্তির সফল উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞানীদ্বয়কে ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠান পাঁচ লাখ ডলার দিয়েছে। বাজারে পাঁচ রংয়ের রিমি মুখোশ পাওয়া যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া, ইতালি ও স্পেনের শৌখিন লোকজনের কাছে ইতোমধ্যে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে ক্লিক করুন ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।