প্রাণিজগতের প্রতিটি প্রজাতির মধ্যে জিনগত, প্রজাতিগত, বাস্তুতান্ত্রিক এবং আচরণগত মিল-অমিল দুটোই দেখা যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক জানায়, অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রজাতির ঘুমের পদ্ধতি একই রকম। যে নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রাণীর ঘুমানো কিংবা জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে, তা ১৭টি ভিন্ন ভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রজাতির ক্ষেত্রে হুবহু এক।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, সব প্রজাতির মধ্যেই কিছু মৌলিক শারীরতাত্তি্বক বিষয় একইভাবে কাজ করে। যদিও ঘুমের ধরন একেক জনের একেক রকম, তবুও এর সঙ্গে জড়িত মূল ব্যাপারগুলোর মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য অবশ্যই আছে।
২৪ জুন পিএলওএস কম্পিউটেশনাল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্তন্যপায়ীদের ঘুমের প্রকাশ একেক প্রজাতির একেক রকম হলেও ভেতরের কারিগরি ব্যাপারগুলো একই। ডলফিনরা একই সময়ে আধো ঘুম আধো জাগরণে থাকে। আবার ইঁদুর, কাঠবিড়ালীর মতো স্তন্যপায়ীরা অল্প ঘুমিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়।
গত এক দশক ধরেই গবেষকরা বলে আসছেন, প্রাণীর মস্তিষ্কের কিছু অংশ ঘুম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর থাকে। কিন্তু তাঁদের এসব গবেষণা অল্প কিছু প্রজাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
কিছুদিন আগ পর্যন্ত এই শারীরতাত্তি্বক বিষয়টি অন্য স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রে কতটা উপযুক্ত, তা খুব একটা পরিষ্কার ছিল না। (কালের কণ্ঠ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।