যেমন কর্ম তেমন ফল।
ভবনধস ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্উক। বহুতল ভবন নির্মাণে ৬০ বছর আগের বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন বিধিমালায় ভবন নির্মাণের আগে শোর পাইলিং, পরিকল্পনা ও ডিজাইন অনুমোদন নেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে। চলমান নীতিমালায় রাজউক শুধু পরিকল্পনা পাস করে।
রাজউক মনে করছে, ভবন তৈরি নীতিমালায় এ বিষয়গুলো অন্তভূক্ত করা হলে ভবনধসের ঘটনা বন্ধ হবে। ভবন তৈরির ফাঁকিঝুকি বন্ধ হবে। গড়ে উঠবে টেকসই নগরায়ন।
জানা গেছে, রাজধানীতে এখনো ১৯৫১ সালের বহুতল ভবন তৈরির নীতিমালার আলোকে অনুমোদন দিচ্ছে রাজউক। সম্প্রতি কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবনসহ বেশ কিছু ভবন ধসের ঘটনায় রাজউক কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণ আইনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এ আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষে রাজউকের সদস্য শেখ আব্দুল মান্নানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিশ্বের বেশ কিছু দেশের ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিধি অনুসরণের জন্য সরজমিন পরিদর্শন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী শেখ আব্দুল মান্নানসহ কমিটির কয়েকজন ১৮ দিনের সুইডেনে সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন।
সূত্র জানায়, নতুন বিধিনিষেধে রাজধানীতে বহুতল ভবন ক্ষেত্রে শোর পাইলিং, পরিকল্পনা এবং ডিজাইন রাজউক থেকে অনুমোদন নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদ্যমান বিধিতে বর্তমানে রাজউক কর্তৃপক্ষ শুধু পরিকল্পনা পাস করে।
ভবনের ডিজাইন (নকশা) মালিক নিজ দায়িত্বে কোনো প্রকৌশলীকে দিয়ে তৈরি করেন। রাজউক শুধু ডিজাইনে অনুমোদন দেয়। নতুন বিধি প্রণয়ন হলে ভবনের পরিকল্পনা (প্লান) ও ডিজাইন পাসের জন্য রাজউক কর্তৃপক্ষ নিজস্ব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেবে। এছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় বিষয়টি সংযুক্ত করারও উদ্যোগ নিচ্ছে রাজউক। চলতি বছরে মধ্যে প্রস্তাবিত বিধিবিধান কার্যকর করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে কমিটি।
জানা যায়, রাজ্উক তড়িঘড়ি করে ভবন তৈরির নীতিমালা করার কারণ হলো, চলতি বছরে কয়েকটি ভবন ধসের ব্যাপারে তদন্তে প্রমাণিত হয় শোর পাইলিংয়ে ত্রুটি থাকার কারণেই ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ওইসব তদন্ত কমিটি সুপারিশ হিসেবে শোর পাইলিং তৈরিতে রাজউকের তদারকির ওপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শেখ আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ভবন তৈরির নতুন বিধিবিধান বিষয়ে সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কমিটি মাঠপর্যায়ের কাজ পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে সুপারিশমালার একটি খসড়াও তৈরি হয়েছে। ওই সুপারিশের আলোকে রাজধানীতে আগামীতে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজউকের পরিকল্পনা বিভাগ।
যোগাযোগ করা হলে রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা বলেন, গত বছর এবং চলতি বছর রাজধানীতে কয়েকটি ভবনধসের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাইলিংয়ের ক্রটি ধরা পড়ে। এ কারণে নীতিমালায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নীতিমালা তৈরিতে বিশ্বের উন্নত শহরের ভবন তৈরির নিয়ম কানুন অনুসরন করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।