আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভবনধস ঠেকানোর টাল্টিবাল্টি পদ্ধতি

সম্প্রতি রাজধানীর নাখালপাড়ায় ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে পাইলিং করার সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি টিনশেড ঘর ও একটি রাস্তা ধসে যায়। অপরিকল্পিত উপায়ে গড়ে তোলা অন্যান্য ভবনও যেকোনো মুহূর্তে এভাবে ধসে যেতে পারে। তাই এ মহাবিপদ থেকে ভবনগুলোকে উদ্ধার করার কিছু আজগুবি বুদ্ধি বের করলাম ! বেলুন পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে দালানের প্রতিটি ফ্লোরের চারকোণে চারটি শক্তিশালী গ্যাস বেলুন সব সময়ের জন্য বেঁধে রাখা যেতে পারে। তবে গ্যাস বেলুন বেশি পাওয়ারফুল হওয়া চলবে না। তা না হলে আলাদিনের ম্যাজিক কার্পেটের মতো ভবন উড়ে উড়ে কোথায় চলে যাবে_সে কথা কেউ বলতে পারবে না।

লোহালক্কড় পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে আপনার পুরো দালানটাই তৈরি করতে হবে ক-ঠি-ন লোহা বা ইস্পাত দিয়ে। এতে করে দুর্ঘটনায় দালান ফরাসিদের 'বাউ' করার ভঙ্গিতে বেঁকে বসলেও একেবারে নেতিয়ে মাটিতে মিশে যাবে না। দালান বেঁকে গেলে পরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কিংবা ক্রেন দিয়ে টানাটানি করার চেষ্টা চালানো যেতে পারে। চেষ্টায় বিফল হলে দালান স্ক্র্যাপ হিসেবে অন্যের হাতে টাকার বিনিময়ে চালান করে দেওয়া যেতে পারে। শোলা পদ্ধতি এ ক্ষেত্রে পুরো দালানে ইট-সিমেন্ট কিংবা রড টাইপ খোঁচামারা দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না।

পুরো ভবনটাই তৈরি করতে হবে শোলা বা ফোম দিয়ে। এই ফোমের দালান প্রয়োজনে বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যাবে, তবুও ধসটসের ধারেকাছেও যাবে না। উড়ে গিয়ে পর্বতে আছড়ে পড়লেও ক্ষতি নেই। দালান ফোমের হওয়ায় কেউ হতাহত হওয়ার চান্স পাবে না। এ দালান উড়ে গিয়ে সাগরে পড়লেও ডুবে যাবে না।

ঢেউয়ের দোলায় বেড়ানোর বিনোদন পাওয়া যাবে পুরো মাত্রায়। বাঁশ পদ্ধতি এটি একটি দেশীয় প্রযুক্তিগত পদ্ধতি। ভবন যাতে চিত-কাত হয়ে ভূপাতিত হতে না পারে, সে জন্য দালানের চারপাশে বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া যেতে পারে। এতে করে ভবন ইতালির হেলে পড়া পিসার মিনারের ভাব ধরার চান্স পাবে না। তবে ঠেস দেওয়া বাঁশ বেয়ে চোরচোট্টা বাহিনীর আগমন ঠেকাতে বাঁশের গায়ে নিয়মিতভাবে কদুর তেল ঢালতে হবে।

এই সুযোগে কদুর তেলওয়ালারাও তাদের তেলের দাম বাড়াতে পারে। প্রপেলার পদ্ধতি দালানের ছাদে কিংবা পাশে যদি হেলিকপ্টারের পাঙ্খার মতো প্রপেলার লাগিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ভূমিকম্পে পুরো দালানটাকেই শূন্যে ভর দিয়ে ভাসিয়ে রাখা যাবে। ভূমিকম্পের তোড়ে রিখটার স্কেল ভেঙে পুরো দুনিয়া ওলটপালট হয়ে গেলেও ভবনের বাসিন্দারা থাকবেন নিশ্চিন্তে। তবে এ জন্য বাড়ির নিচে ল্যান্ডিং প্যাড স্থাপন করা জরুরি। ভূমিকম্প থেমে গেলে প্রপেলার বন্ধ করে মাটিতে নেমে আসা সম্ভব হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।