আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফজলে রাব্বি হলের ভৌতিক নেপথ্যে কারা ?

আমি একজন ছাএ ছাত্র দলের এক সোনার ছেলের ছোট্ট গল্প শুনবেন? তারা কিন্তু বিগত দিনে এ ভাবেই নিজেদের এবং জনগনের জীবনকে সাজিয়েছিল। ফজলে রাব্বি হল, রুম নং- ১৩৩, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। কলেজের অন্য সব শিক্ষার্থীরা রুমটিকে ভৌতিক কক্ষ বলে মনে করেন। কক্ষটি ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান খান সুমনের নামে বরাদ্ধ কিন্তু সেখানে থাকেন রাশেদুল ইসলাম ও তার সঙ্গি ছাত্রদলের কর্মীরা। কক্ষটি সব সময় দরজা ভিতর দিক থেকে বন্ধ অথবা বাইরে থেকে তালা বদ্ধ থাকে।

বসবাসকারীরা সুযোগ মত তাদের রুমে কাজকর্ম চালিয়ে যেতেন। রুমটি ছিল বোমা তৈরির কারখানা। বিভিন্ন সময় অচেনা লোকদের যাতায়াত ও সন্দেহ জনক গতি বিধির কারনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কক্ষটি এবং বোমা কারিগরদের এড়িয়ে চলত। এসু্যোগে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে হাত বোমা তৈরি করে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীতে সরবরাহ করা হত। ইদানীং ঐ কক্ষে বোমা বিস্ফোরণের পর বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

১০-১৫ টির মত বোমা পুলিশের উদ্ধৃতিতে পাওয়া যায় যা একটি স্কুল ব্যাগে রক্ষিত অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বিস্ফোরিত হয়। মাহমুদুল, রাশেদুল, বিপ্লব, আতিক প্রমুখ ছাত্রদলের সোনার ছেলেরা পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছে। এমনিভাবে হয়ত হাজারো ১৩৩ নং কক্ষ থাকতে পারে বাংলার বিভিন্ন ছাত্রাবাস সহ আনাচে কানাচে যা এখনই খুঁজে বের করা দরকার নাহয়তো পুরো জাতিকে এর মাশুল দিতে হতে পারে জীবন দিয়ে। তাই প্রতিটা আনাচে কানাচে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে প্রতিটা দায়িত্ববান নাগরিককে কোন্‌ অন্ধকার কুঠুরিতে কি হচ্ছে। দেশ তো ঐ বোমাবাজ দালালদের নয়।

দেশ শান্তিকামী মানুষদের। কেবল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আসবে, দেখবে তাদের আশায় থাকলে হবে না, ওদেরকে ধরিয়ে দিন এবং জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে সাহায্য করুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.