আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোলকাতার দালালরা যতই জামাতী জুজু দেখাও মূখ্যমন্ত্রী হাসিনা কারচুপি ছাড়া নির্বাচনে জয়ী হবে না!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বিগত জোট সরকার আর যাই করুক ভারতের সাথে নতুন কোন অসম ও দেশের ক্ষতিকারক চুক্তি করেনি। ভারত প্রস্তাব দিয়েছিল মায়ানমার হতে গ্যাস আনার জন্য পাইপ লাইন স্থাপন করতে দিক ঢাকা। জোট সরকারের তিনটি প্রস্তাব ছিল; ১) বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে ভারতে অবাধ প্রবেশাধিকার, ২) নেপাল-ভুটানকে ভারতের উপর ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশের সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহারের সুযোগ এবং ৩) নেপাল ও ভুটান হতে পানিবিদ্যুৎ আমদানীর সুযোগ। ভারত অস্বীকৃতি জানালে জোট সরকারও তাকে বলে দেয় তুমি মূড়ি খাওগা! এমনকি মুজিব-ইন্দিরার ১৯৭২ এর চুক্তি ২০০২ সালে নবায়ন না করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঠেকিয়ে রেখেছিল। ভারতকে অনেক কষ্টে নদীর উপর দিয়ে করিডোর পেতে হয়।

ঐ সময়ই ২০০৫ এ ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সর্বজিত চক্রবর্তী বলেন "ভারত আর বেশী দিন ট্রানজিটের জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না"। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র ঘটিয়ে ১/১১র সৃষ্টি করা হয়। বিগত জোট সরকার যে গ্যাস পাইপ লাইন প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় তায় ফখরু-মঈনার দালাল সরকার বেহায়ার মত ভারতকে পুনরায় উদ্যোগ নিতে বলে। আর হাসিনা ক্ষমতায় আসার জন্য প্রণব বাবুকে সব ধরণের মূচলেকা দিল। যার পরিণামে ২০১০ সালে দিল্লীতে যেয়ে হাসিনা কি কি শর্তে চুক্তি করল তা সংসদেও প্রকাশ করা হল না যেখানে জনগণের অনুমতির তো প্রশ্নই উঠে না।

তারপর ১০ টাকা/কেজি চাউল, ঘরে ঘরে চাকুরী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা ও দিন বদলের লম্বা লম্বা ওয়াদা করে আজকে সেই চালের দাম ৪৫ টাকা, চাকুরীর জন্য উচ্চ মূল্যে ঘুষ, দ্রব্যমূল্য আড়াই হতে তিন গুণেরও বেশী। গ্যাস খাতে কানকো-ফিলিপস ও গ্যাসপ্রমের সাথে ক্ষতিকারক চুক্তি, বিদ্যুৎ খাতে বিগত এক বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা অপচয়, পদ্মা সেতু সহ যোগাযোগ খাতে সীমাহীন র্দূনীতি। যার কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কবে শুরু তা অনিশ্চিত। আর ১৯৯৬ সালের চেয়েও ২০১০ সালে বড় রকমের লুটপাট হল শেয়ার বাজারে। পুরো দেশের অর্থনীতিই বিপর্যস্ত ও স্থবির।

কি রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী কেউই আর জেনুইন ব্যাবসায়ী ও ঋণগ্রহিতাকে পর্যাপ্ত ঋণও দিতে পারছে না। তারপরেও হাসিনা বলেন যে দেশের মানুষের আয় নাকি তিন গুণ বেড়েছে এবং তারা চার বেলা পেট ভরে খেয়ে সুখে আছে। তাই হাসিনার শুধু গাল ভরা হাসি। যার কারণে কোলকাতার দাদা বাবুরা বলচেন "বাংলাদেশের মূখ্যমন্ত্রী হাসিনাও হাসেন" Click This Link ভারতের তার বাংলাদেশের দালালদের জন্য সীমাহীন বদন্যতায় আজকে ব্লগ ও ফেসবুকে চামচামীর অভাব হয় না। তাদের একটাই কথা যে জামাতই যেন বাংলাদেশের সকল সমস্যার জন্য দায়ী।

হাসিনা যে আদৌ মুখ দিয়ে কোন বড় বড় ওয়াদা করে না তা প্রমাণিত। তার ওয়াদা টয়লেটের র্দূগন্ধের চেয়েও উৎকট ও প্রকট! সেটাকেই সুগন্ধী করার জন্য বাকশালী ও ভাদারা ধূতির কোচা শক্ত করে উঠে পরে লাগে! তাদের কথায় গাঞ্জুটিরাও ফেল। যে ১২০০ মাইল দূরের পাকিস্তানীদের সাথে বাংলাদেশকে যোগ দেওয়াবে জামাতীরা। একটা শিশু শ্রেণীর ছাত্রও বুঝবে বাকশালী-ভাদাদের দেউলিয়াত্ব। এখন যখন ধীরে ধীরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই ভাদাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।

দেশের অবস্থা বিপর্যস্ত করেও জামাত নামক সস্তা ইস্যু ব্যাবহার করে নিজেদের বাহাদুরি দেখাতে চায়। জনগণ জানে যে হাসিনা না জামাত কে বেশী ক্ষতিকারক! বিএনপির জোটে জামাত থাকলেও তারা ভোট দিতে কোন দ্বিধা করবে না। তারা মূখ্যমন্ত্রী হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী খালেদার পার্থক্যটা বুঝে। তাই ভাদাদের কারচুপি ও বলপূর্বক হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন মতেই হাসিনা ও তার আলীগকে ক্ষমতায় আনা সম্ভব নয়। এমনকি ৫০টার উপর সিট পাওয়াও তাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হবে!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.