সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ! ১.
পাখির আঁখিতে দেখে এসেছি গভীর ঘুম! দেখেছি ঘুঘুর পাখা ঘেমে নেয়ে নামে শ্রান্তিতে! কার সাথে তার শখ মিলে যাবে বলে ঘুমের কবলে ছোবল খেয়েছে পাখিটা! চিরদিনই কারনের সুতো ডালের পাতাতে বাঁধা! চিরদিনই পাখি উড়ে যায় পেটের আগুনে! আমি দেখে যাই পাখির আঁখিটা পড়ে যায় ঢলে ঘুমে!
২.
এই যে লাল সবুজ কে আমি ভালবাসি। ভালই তো বাসি। যে আমাকে মেয়ের মত মেঘের মত শেখালো ভালবাসতে! এই যে লাল সবুজ কে আমি ভালবাসি! ভালবেসেই যাই! সে শেখালো নারীর মত নদী হয়ে সোনালু রং মাখতে!
৩.
মাটির বুকে পড়েছিল অন্য পাখির ঠোঁট,
ঠোকরানো সেই দাগ-
মাটি তোমাকে দিয়েছিল প্রসস্ত এক যোনী
মাটি তোমাকে শুধুই তোমাকে দিয়েছে
ভালবাসাহীন রাত
মাটি তোমাকে ভালবাসেনি।
তুমি সুখে নেই
তোমার হৃদয়ে ভালবাসা আছে
তোমার হৃদয়ে নিষ্ফল সেই রাগ!
৪.
আমি তো ভাল ই আছি আমার বেড়ালটা ভাল নেই!
সারাদিন মন খারাপ করে ঘুরছে! গ্রীষ্ম বর্ষা ওর এই এক স্বভাব! গলায় কাঁটা লাগুক আর হাড়ে মাংস না থাকুক! ওকে আমি দুধ খাইয়ে বলি পুষি আমার এমন মন খারাপ করে থেকোনা। যাও বাগানে যাও! ধুলো নিয়ে খেলো।
মিহি ধুলোর ভেতর তোমার পায়ের আচড় কেটে এসো।
সেই ছোটবেলায় আমি এমন ধুলোর ভেতর খেলতে যেতাম। তখন আমার শৈশব ছিল!
আহ পুষি! এমন পায়ের তলে এসে মিউ মিউ করো না তো! বুঝতে পারি তোমার মন খারাপ! কাঁটা খেয়েছো গলা তো ব্যাথা করবেই। ওসব ব্যাথায় একটু আধটু মন খারাপ হয়ই।
যেদিন থেকে মিনা চলে গেছে আমার ও এমন মন খারাপ হয়।
কত কি ভাবি! মিনা আর আমি আম গাছটার তলে খেলতাম। ধুলো নিয়ে খেলতাম। একদম পাশ ঘেষে একটা মসজিদ ছিল। মসজিদটার টিনের চাল। গরমের দুপুরে আমরা ওড়না মাথায় পেঁচিয়ে সিফারা হাতে নিয়ে ছুটতাম।
আর মাঝেই মাঝেই রোদের তাপে টিন টা চড় চড় শব্দ করে উঠতো। তখন দুপুরের হয়ত মন খারাপ!
তখন আমি ভালই ছিলাম আমার দুপুর ভাল ছিলনা! তখন পুষি ছিলনা। মা ঘুমুতো। বড়দা টুকুর টুকুর করে কি যে সব পড়তো!
আমি মিনাকে একদিন বললাম তোর বেড়ালের বাচ্চা হলে আমাকে একটা দিস তো!
মিনা যাবার আগে স্মৃতি রেখে গেল চিঠি রেখে গেল আর আমার বেড়ালটা!
আহ পুষি! দূরে সরো তোমার অমন লেজের বাড়িতে কবিতা হয়না!
৫.
বাস্তবিকই দুপুরের সাথে বেড়ালের আর বেড়ালের সাথে মন খারাপের কিছু সম্পর্কতো আছেই। বিয়ের দুদিন পরেই নাসু খালা গায়ের হলুদের রং না মিটতেই জোড়পুকুরের ধারে গেল সন্ধ্যে বেলা! যারা জানেনা তারা তো জানেই না।
অথচ নাসু খালার ছিল দীঘল সর্পীল চুল। খোলা চুল বেয়ে যে অশরীরি উঠে এল শরীরে। নাসু খালা আর স্বামীকে সহ্য করতে পারতেন না! এসবের সাথে সন্ধ্যের আর জলের একটা যোগ খুঁজতেই পারে কেউ!
বাস্তবিকই পাখি আর বেড়াল অথবা বেড়াল আর জল দুপুর কে নেমন্তন্ন করে মাছ ভাজা খাইয়ে দিল। সদ্য বিবাহিত দুপুরের জরায়ুতে তখন কোমল স্পার্ম! বমি করে উল্টে পাল্টে দুপুর কাঁদছিল। পাখিদের কাছে এ কান্নার শব্দ পৌঁছে গেলে তারা দলবেঁধে আসে।
ডালিমের রস বেড়ালের চুলে মাখালে কিছুটা সুস্থ্য হয় আমাদের মন খারাপের অসুখ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।