আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি পারি না যত্রতত্র রাস্তা পার না হতে? আর ওভারব্রিজগুলোতে কি escalator দেওয়া এতই কঠিন?

জীবন অনেক দামী..কাজ প্রচুর...সময় কম। যানযট আর নিরাপত্তা দুটো ইস্যুতেই পথচারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই প্রসংঙ্গে আমার কিছু প্রস্তাবনা--- ১) অনেক অর্থ ব্যয় করে নির্মিত ফুটওভার ব্রিজের ব্যবহার শুধুমাত্র পথচারীদের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না, যানযটকেও অনেকাংশেই কমিয়ে আনবে। ২) মোড়ের (Intersection) মধ্যে শুধুমাত্র ফুটওভার ব্রিজের মাধ্যমেই রাস্তা পারাপার নিশ্চিত করা। ৩) এইসব ফুটওভার ব্রিজের একপাশের সিড়ি চলমান (Escalator) করে দেওয়া।

৪) এই চলমান সিড়ি নির্মানে সরকারী অর্থায়নের পাশে বেসরকারী কম্পানির সহায়তা কামনা করা (বিজ্ঞাপনের প্রচারের সুযোগে)। এই জনহিতকর কাজের অর্থায়নে সাহায্য করতে সক্ষম অনেক দেশী-বিদেশী কম্পানি আছে যারা অঢেল অর্থ শুধু চটকদার বিজ্ঞাপনে খরচ করে চলেছেন। ৫) Escalator গুলোর রক্ষনাবেক্ষন এবং অব্যবহার (misuse) প্রতিরোধে ২/- টোল ধার্য্য করা। ৪) এই চলমান সিড়ি দিয়ে বৃদ্ধ,মহিলা,প্রতিবন্দী,অসুস্থ কিম্বা শারীরিক ভাবে দুর্বল যে কেউ পার হতে পারবে। ৫) চলমান সিড়ির অন্য পাশে সাধারন সিড়িও থাকবে।

৬) যেইখানে ফুটোভার ব্রিজ নেই সেখানে জ্রেবা ক্রসিং যেমন জরুরী, তেমনি জরুরী জ্রেবা ক্রসিং দিয়ে পার হবার সময় নির্দেশক সিগনাল বাতি । শুধুমাত্র সেই সময়েই পথচারী পারাপার হতে পারবে। ৭) এই সব কিছু তখনই সুফল বয়ে আনবে যখন আইনের সাথে সচেতনতাও থাকবে। ৮) সচেতনতার জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা হিসাবে আমাদের দেশে বিদ্যমান অসংখ্য টি.ভি. চ্যানেলগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। ৯) টি.ভি. চ্যানেলে বিজ্ঞাপন আকারে নয়, বরং লাইভ (অপারগতায় রেকর্ডেড) প্রোগ্যামে ফুটওভার ব্রিজ, এবং জ্রেবা ক্রসিং দিয়ে যারা পার হবেন তাদের একটা টোকেন গিফট সহ এক-দুই কথার ধন্যবাদ দেয়া।

১০) দেশে সম্ভবতঃ ২২টি চ্যানেল রয়েছে। এদেরকে একেক জোন ভাগ করে একেক সময়ে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। ১১) বিশেষতঃ শাহবাগ, ফার্মগেট, মগবাজার, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এসব এলাকায় ১ঘন্টা করে একেক চ্যানেল সে হিসাবে দৈনিক ৪-৫ ঘন্টা এই কার্যক্রম চলতে পারে। ১২) দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা হিসাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচীতে যানযটের কারন ও পথ চলার নিয়মাবলী অন্তর্ভুক্ত করা। [কিছুদিন ধরেই এরকম একটা লেখা দেব বলে মনস্থির করেছিলাম।

আজ bdnews24.com এর ব্লগে যানযট নিয়ে একটা পোস্টের কমেন্ট লিখতে গিয়ে অবশেষে এটা লেখা হয়ে উঠল। সামহয়ারইন ব্লগারদের জন্য তাই স্বতন্ত্র পোস্ট দিলাম। যদি নীতিনির্ধারকদের চিন্তাভাবনাতেও এর প্রতিফলন হয়, এই আশাতেই। ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.