জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর - এই তিনটি শহরের যানজট এক সূত্রে গাঁথা। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দিকে আসতে চাইলে যাত্রাবাড়ির মরণ ফাঁদ যানজটে আটকা পড়ে ঘণ্টাখানেক জীবন থেকে উধাও হয়ে যাবে। অন্য দিকে ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে চাইলেও মহাখালীর যানজট বা ফার্মগেটের যানজটে আপনাকে পড়তেই হবে।
চাকুরি, পড়াশোনা ও ব্যবসায়িক কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ঢাকায় যান প্রতিদিন সকালে। এই লোকজনের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
প্রতিদিন সকালে এই লোকজন ঢাকায় ঢোকে এবং সন্ধ্যায় ঢাকা ছেড়ে নিজ শহরে ফিরে যায়। ঢাকায় ঢোকার সময়ে কঠিন যানজট মোকাবেলা করতে হয় এবং ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়েও ভয়াবহ যানজটে নাকাল হতে হয়। এই যানজটের একটা প্রভাব ঢাকা শহরের ভেতরে পড়ে। ঢাকা শহরের ভেতরেও একটা যানজট মানুষকে প্রতিদিন ভোগাতে থাকে।
অথচ এই কঠিন যানজট খুব সহজেই দূর করা যায়।
ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সংযোগকারী রেল লাইন ও ঢাকার ভেতরের এবং ঢাকা গাজীপুর সংযোগকারী রেল লাইনটাকে পাতালে পাঠাতে হবে। লাইন যে জায়গায় আছে, সে জায়গাতেই থাকবে, কেবল পাতালে চলে যাবে। কোন রেল লাইন মাটির উপরে থাকবে না। রেল লাইন পাতালে পাঠিয়ে রেল লাইনের জায়গায় ফ্রিতে একটা সড়কও পাওয়া যাবে। এই অতিরিক্ত সড়কটি আমাদের যানজট কমাতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের প্রায় সব রাজধানী শহরের পাশের শহরের সঙ্গে টিউব রেল বা পাতাল রেল সংযোগ থাকে। ফলে পাশের শহর থেকে প্রচুর লোক খুব সহজের রাজধানী শহরে ঢুকতে পারে এবং বেরিয়ে যেতে পারে।
আমার এক বন্ধ লণ্ডনে থাকে। ও আমাকে জানিয়েছে, লণ্ডনের আশেপাশের শহর থেকে প্রচুর মানুষ সেন্ট্রাল লণ্ডনে আসে এবং ফিরেও যায়। কোন যানজট হয় না।
কারণ তারা পাতাল রেল ব্যবহার করে। হাজার হাজার মানুষ মুহূর্তে শহর ছেড়ে চলে যেতে পারে।
ঢাকা শহরের যানজট দূর করার জন্য রেল লাইনগুলোকে পাতালে পাঠানো খুব দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।