আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথ্যাচার গুরু কুচক্রী মাহমুদুর রহমান বহু ষড়যন্ত্রেরও গুরু

লেখাটা পড়ার আগে এই ভিডিওটি দেখে আসুন : Click This Link মিথ্যাচার গুরুর কাবা শরীফ নিয়ে মিথ্যাচার : Click This Link মিথ্যাচার গুরুর সাম্প্রতিক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র : Click This Link সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সহায়তায় পুতুল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসিয়ে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোটকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর জন্য উত্তরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল মাহমুদুর রহমান। মাহমুদুর রহমানের উত্তরার ১ নং সেক্টরের রোড নং ৭-এর ১৬ নং বাড়িতে অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আর্টিসান সিরামিকসে ২০০৬ সালের ২৪ নবেম্বর রাতে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কর্মরত ১৬ জন আমলাসহ ৪০ জন আমলা অংশ নেয়। বৈঠকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব জহুরুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার সচিব সরফরাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের কথা ফাঁস হয়ে গেলে টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রে সাংবাদিকরা গোপন বৈঠকস্থলে উপস্থিত হন।

রাতে বৈঠক শেষ হওয়ার পর মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে তৎকালীন সরকারের ১০/১২ জন আমলার উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেন। বাকিরা সরকারের সাবেক আমলা বলে ওই সময় মাহমুদুর রহমান জানান। মাহমুদুর রহমান ওই সময় নিজের এবং ব্যবসায়িক বিষয়ে তার বন্ধুর খোঁজ নিতে এসেছিলেন বলে জানান। তবে সে সময় ক্যামেরার সামনে অনেকেই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা এবং বৈঠকে যোগ দেয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না জানালে বিষয়টি রহস্যবৃত হয়ে ওঠে। পত্রপত্রিকায় তাদের সে মুখ ঢাকা ছবি ছাপা হয়।

তদন্তে প্রকাশ, ওই দিন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা থেকে তৎকালীন আমলারা বাড়িটিতে আসতে শুরু করে। তারা সবাই ছিলেন সাদা পোশাকে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দূরে গাড়ি রেখে তারা একে একে হেঁটে মাহমুদুর রহমানের অফিসে যান। খবর পেয়ে সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে পৌঁছতে শুরু করেন। সাংবাদিকদের ভিড় বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতরে চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়।

বন্ধ করে দেয়া হয় বাড়ির প্রধান ফটক। এ সময় বার বার মাহমুদুর রহমানসহ উপস্থিত আমলারা জানালা থেকে বাইরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বাড়ির সামনে অবস্থানরত কয়েকটি গাড়ি দূরে চলে যায়। পরে মাহমুদুর রহমান প্রথমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে বাড়িটি থেকে একটু দূরে এলে সুযোগ বুঝে আমলারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ওই বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য আমলারা নিজেদের গাড়ির বদলে প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন। গোপন বৈঠকে আলোচনা হয়, যে কোন মূল্যে প্রশাসন, মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্টভাষী উপদেষ্টাদের কোণঠাসা করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনকে চারদলীয় জোটের পক্ষে সাজানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব জহুরুল ইসলাম এবং জোট সরকারের সময়ের স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্থানীয় সরকার সচিব সরফরাজ হোসেন উপস্থিত থেকে মাহমুদুর রহমানের তৎপরতায় সহায়তা করার আশ্বাস দেন। এর মধ্যে বিএনপির অতিরিক্ত আস্থাভাজন হওয়ায় জহুরুল ইসলামকে মাত্র তিন বছরের মধ্যে উপ-সচিব থেকে সচিব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রেখে যাওয়া হয়।

তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের অজ্ঞাতে সেনা মোতায়েনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে আন্দোলনকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় সরকারের বেশ কয়েক উপদেষ্টা এর বিরোধিতা করেন। অন্যদিকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু তালেব মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদায়ন নিয়ন্ত্রণ করেন। মাঠ প্রশাসন চারদলীয় জোটের পক্ষে সাজানোর জন্য তাকে ওই বৈঠকে দায়িত্ব দেয়া হয়। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবদুস সবুর আগে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পিএস ছিলেন।

উত্তরা ষড়যন্ত্রে যেসব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হচ্ছেন, সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহীদুল আলম, পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ড. আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক একেএম জাহাঙ্গীর, সাবেক অতিরিক্ত কর কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন ও সাবেক অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী ইমদাদুল হক, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক সচিব মজিবর রহমান, সাভারের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান তরফদার, ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের সাবেক সচিব জাকির হোসেন কামাল, জাতীয় পুষ্টি প্রকল্পের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারী, সাভারের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন নাগরী, সাবেক উপ-সচিব আব্দুল মতিন, স্থানীয় সরকারের সাবেক উপ-সচিব ড. জাকির-উল-ইসলাম, প্রকৌশল অধিদফতরের ফ্যাক্টরি ও সংস্থাপন পরিদর্শন বিভাগের সাবেক পরিদর্শক ইঞ্জিনিয়ার সোহেল মোহাম্মদ ইকবাল ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষিসচিব আবদুল আজিজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্তে ১৩ জনকে দায়ী করে বলা হয়, উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত। তত্কালীন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে দীর্ঘদিন এ ব্যাপারে সরকার প্রায় নীরব ছিল।

উত্তরা ষড়যন্ত্রের বিচারের জন্য পরবর্তীতে বিচারের উদ্যোগ নিলেও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে চারদলীয় জোটের আস্থাভাজন আমলারা আসীন থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জরুরী অবস্থা, রাজনীতি, দুর্নীতি দমন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইসু্যতে কাজ করতে গিয়ে উত্তরা ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমলাদের সরাসরি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দেশের স্থিতিশীলতার জন্য উত্তরা ষড়যন্ত্রের বিচারের উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে মাহমুদুর রহমানের তৎকালীন তৎপরতা এবং এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আমলাদের তৎপরতা সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে গোয়েন্দারা মনে করেন।

গত ৭ জুন ২০১০ তারিখে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। ৭ জুন রাতে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন সালেহ আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তথ্যসূত্র : http://www.prothom-alo.com/detail/news/69977 Click This Link এই ভয়ংকর কুচক্রী সম্পর্কে জানুন এখানে : মিথ্যাচার গুরু মাহমুদুর রহমানের ৮৫ কোটি টাকার ভয়ংকর ষড়যন্ত্র দৈনিক আমার দেশের কাবা শরীফ নিয়ে মিথ্যাচার : মিথ্যাচারের গুরু সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের কল্লা কেন চায় না হেফাজতে ইসলাম ?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।