আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারও ড. ইউনূস

আল বিদা ড. ইউনূস কে নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার তার প্রতি বিষেদাগার করছেন সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। অর্থমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং আরও অনেক নেতারা। যা ইতিমধ্যে দেশে যথেষ্ট বিরক্ত এবং হাস্যরসের খোরাক যুগিয়েছে। আমরা বুঝতে পারি যে ড. ইউনূসের ইমেজ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে যে কোন কারনেই হোক প্রিয় না।

তাই তারা ড. ইউনূসের সমালোচনা করবেন তাও ঠিক আছে। এবং যেহেতু তিনি কোন সাধারন মানুষ নন, রাজনীতিবিদও নন বরং একজন শিক্ষিত, বিনয়ী এবং নতুন ধারা হাতে কলমে দেখানোর মত জ্ঞানী একজন মানুষ, তাই তাকে নিয়ে মন্তব্য/সমালোচনা করতে হলেও কিছুটা পড়াশোনা করে করাই ভাল। নোবেল পুরষ্কার কারা পায়, কারা দেয়, আজ পর্যন্ত কারা পেয়েছে তা একটু জানলেই আমাদের মহান নেতাগন আরও ভাল মন্তব্য করতে পারতেন। হাস্যকর মন্তব্য করতেন না। ক্ষুদ্র ঋন নিয়েই যেখানে সমালোচনা করার সুযোগ আছে সেখানে নোবেল পুরষ্কার নিয়ে সমালোচনা করার তো দরকার নেই।

এই নিয়েই তো সমালোচনা করে বছর পার করে দেয়া যায়। হোক না কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান বা ইসলামিক জলসা, গানের অনুষ্ঠান, প্রেস ব্রিফিং, গ্রাম্য সালিশ বা যে কোন কিছু, খুব সহজেই টেনে আনা যাবে ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে কথা। দেশের সাধারন মানুষ এমনকি অশিক্ষিত গ্রাম্য এমনকি জঙ্গলী মানুষও রাজনীতি নিয়ে কথা বলার বা মত প্রকাশ করার সুযোগ আছে। সেখানে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক এবং ফজলে হাসান আবেদ তো কমেন্ট করতেই পারেন। এ কথা ঠিক একজন ভাল এক্সিকিউটিভই যে ভাল মন্ত্রী তা নয়।

তবে নিজস্ব মত বা পরামর্শ যে কেউই দিতে পারে। তারাও দিয়েছেন। তার মানে এই না যে তাদের রাজনীতিতে নেমে কাজটি করে দেখাতে হবে। মনে রাখলেই ভাল যে শচীনেরও একজন কোচ আছে আর তার খেলার সমালোচনা যে ক্রীড়া সাংবাদিক করেন সে তার চেয়ে ভাল খেলোয়াড় নন। ড. ইউনূস এখন আর গ্রামীন ব্যাংকে নেই, একদিন তিনি মারা যাবেন, ক্ষুদ্র অর্থনীতিও হয়ত দুনিয়ায় একসময় নাও থাকতে পারে।

তাই বলে আমাদের কুলাঙ্গার তেলবাজ চোর নেত্রী যদি এমন কমেন্ট করেন যে তিনি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন তা দু:খজনক। আমরা যদি ধরেও নেই ড. ইউনূস লবিং করে নোবেল পেয়েছেন বা গ্রামীন ফোনের শেয়ার বিক্রি করে নোবেল পেয়েছেন বা হিলারির সাথে দুনিয়াতে একমাত্র তারই বন্ধুত্ব আছে বলে পেয়েছেন তাতেও কি আমাদের মানে বাংলাদেশীদের তাকে নিয়ে সমালোচনা করা শোভা পায়? যেখানে দুনিয়ার মানুষ তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে, তার তত্ব নিয়ে গবেষনা করছে, তার নামে ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে, স্টাডি সেন্টার হচ্ছে, ডিবেট হচ্ছে সেখানে আমরাই তাকে অপমান করছি। আমরা ভুলে যাচ্ছে তিনি এখন একজন বিশ্ব নাগরিক। বিশ্ব জুড়ে তার গুনগ্রাহী। আমরা তাকে অপমান করলে তিনি হয়ত আহত হন কিন্তু অপমানিত হবেন না।

কারন তাকে অপমান করার জন্য যতটুকু যোগ্যতা থাকা দরকার তাও আমাদের নাই। ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেছেন, ড. ইউনূসের নখের যোগ্যও আশরাফুল ইসলাম না। আহা এই কথা যদি আরও কয়েকজন বুঝত! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.