যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য আবারও হানাদার বিএসএফ এর গুলি, আবারও সীমান্তে খুন হল বাংলাদেশি! এ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন হানাদার বিএসএফ এর উপহার, গত ১০ বছরে সহস্রাধিক বাঙ্গালীদের হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এখনও নির্বিচারে গুলি করে মানুষ খুন করে যাচ্ছে ভারতের এই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, বিরোধী দলের রহস্যজনক নীরবতা ও প্রতিবাদ হীনতা আর আমাদের (আম জনতার) তা মেনে নেয়ার প্রবনতার প্রেক্ষিতেই এইভাবে নির্বিচার বাঙ্গালি নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ভারত! সীমান্তে এখন হানাদার ভারত, ভারতের এই আগ্রাসী ভূমিকার বিরুদ্ধে অবস্থানের প্রেক্ষিতেই এখন নির্ণীত হবে স্বাধীনতার পক্ষ- বিপক্ষ শক্তি । সেক্ষেত্রে দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের মূল ধারার সব রাজনৈতিক দলই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ইটালির সৈন্যরা ভারতের জল সীমানা থেকে জলদস্যু সন্দেহে ২ ভারতীয় মাঝিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় ভারত ইটালির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ঐ দুই ভারতীয়কে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানায় এবং তা না হলে ইটালির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেয়! এই হচ্ছে স্বাধীনচেতা ভারতের পররাষ্ট্রনীতি, আর এই ভারতের হানাদার বাহিনী কথিত গরু চুরির অভিযোগে, সীমান্ত ক্রস করার অভিযোগে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বাঙালি হত্যায় যখন মেতে উঠে অহরহ, তারপরও আমাদের শাসক গোষ্ঠী বিনা প্রতিবাদে তা মেনে নিয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে, গত চার বছর ধরেই সরকারের এই নির্লজ্জ নতজানু নীতি আমরা দেখে এসেছি, ভারত আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে নিজ দেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা বিধান করতে হয় এবং প্রয়োজনে আগ্রাসী ইটালির সাথে সম্পর্কই ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে ভারত আমাদের এই শিক্ষা দিচ্ছে বি এস এফ এর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বাংলাদেশের কি করা উচিত! অথচ ভারতের এই আগ্রাসী ভূমিকার সামান্য প্রতিবাদ করার হিম্মত ও আমাদের সরকার রাখে বলে মনে হচ্ছে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবি হচ্ছে এই ভারতীয় আগ্রাসী বি এস এফ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।তা না করে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করার সমূহ কারন রয়েছে। আবার বিরোধী দলগুলোকেও এই সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে কোন ফলপ্রসূ প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায় না, ভারতের কাছে এইভাবে রাজনৈতিক দলগুলার অসহায়ত্ত জাতি হিসেবে আমাদের পরাধীন মানসিকতাকেই তুলে ধরছে কিনা তা বোঝার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হওয়ার দরকার পড়ে না! সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এই মুহূর্তে আমাদের দরকার একজন সিরাজ শিকদার যে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠবে, " পিণ্ডি ছেড়েছি দিল্লির কোলে আশ্রয় নেয়ার জন্য নয়" আর দরকার একজন ভাসানি যিনি বি এস এফ এর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে অসীম সাহস নিয়ে বলে উঠবেন, "খামোশ" !! Click This Link
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।