আমার সম্পর্কে কিছু বলার নাই। ২০০১ সাল, University এর ২য় বর্ষের সাদমান এর নজর কাড়ল সদ্য ভর্তি হওয়া জিন্নাত। কিন্তু সাহস হয় না তার মুখোমুখি হওয়ার। কিন্তু মনের অজান্তে খুব বেশি ভালবেসে ফেলে জিন্নাতকে। অবশেষে পরিচয় হওয়ার পর একদিন বলে বসে জিন্নাতকে তার মনের কথা...সাথে এ ও জানতে পারে জিন্নাতের আগে থেকেই সম্পর্ক আছে এক ছেলের(ইমরান) সাথে!!!!!...দুঃখে সে দিন সাদমান ফিরে গেলেও...জিন্নাতকে সে বন্ধুত্বের হাত বাড়াল,জিন্নাত তাকে শুধু বার বার ফিরিয়ে দিল...avoid করে চলতে লাগল...কথায় কথায় সাদমান কে অপমান বা ছোট করার চেষ্টা করত...সাদমান শুধু ভালবাসার কারনে সব সহ্য করত।
আজ প্রায় ১১-১২বছর পর,জিন্নাত তার ৩ বছরের মেয়ে নিয়ে রেস্টুরেন্টে আসল,তার স্বামী এখন নাফেল। ইমরানের সাথে break up হয় তার ২০০৫ এ তার পর ই নাফেলের সাথে তার বিয়ে হয়।
রেস্টুরেন্টের কোনার চেয়ারে জিন্নাত সাদমানকে দেখল অনেক দিন পর, জিন্নাতকে দেখে সাদমান অবাক হয়ে থাকিয়ে ছিল। সম্মোহিত হওয়ার পর জিন্নাতকে বসতে বলল। কুশল বিনিময়ের পর জিন্নাত তার মেয়েকে পরিচয় করাতে গেলে সাদমান বলে "আমি জানি!!!"
জিন্নাত সাদমান কে বলল'' একা যে??"
সাদমান-"আমার পাশের সিটটা খালি থাকে,আমার তেমন কেউ নেই,"
জিন্নাত-"বাসায় কে কে আছে??"
সাদমান-"বাবা-মা,ছোট ভাই আর ছোট ভাইয়ের বউ"
জিন্নাত-"আপনি বিয়ে করেন নি?"
সাদমান-"ইচ্ছে হয়নি...বাদ দাও এসব কথা"
এরপর অন্যান্য কথা বলার পর,বিল দেওয়ার সময় জিন্নাতকে বাধাঁ দিয়ে সাদমানই বিল দিল।
বিল দেওয়ার সময় জিন্নাত খেয়াল করল সাদমানের মানিব্যাগের কভারে এখনও তার ছবি!!!
জিন্নাত নিজেকে সামলে নিয়ে সাদমানকে বিদায় দিয়ে গাড়িতে বসে ভাবতে লাগল সাদমান এর কথা!!!!
"নিজেকে এভাবে একা রেখে কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ ?ভুল টা তো আমারই ছিল কেন নিজেকে শাস্তি দিচ্ছ? নিজের জীবনটা গুছিয়ে নাও...প্লিজ্"
আমি বিশ্বাস করি আপনাদের মাধ্যমে সাদমান এর কাছে এই অনুরোধ পৌছাবে...তাই প্লিজ...আমি আপনাদের লাইক দিতে বলব না,অন্তত শেয়ার করুন,হয়তো সাদমান আপানার আশে-পাশেই আছেন!!!
লিখেছেনঃ জিন্নাত (ছদ্মনাম)
[সংগৃহীত]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।