আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৈয়দ আশরাফ বুকডা ফাডায়া কানচেন কেনু ডঃ ইউনুস মুজিব-হাসিনার ইমেজকে ছাড়িয়ে গেল!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ কোথায় শান্তি স্থাপন করেছেন, কোথায় যুদ্ধ বন্ধ করেছেন? গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ না করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের জড়িত কেউ একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। ’ তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘কোন যুদ্ধ তিনি বন্ধ করেছেন, কোথায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন। ’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘তাঁর (ইউনূস) কাজ অর্থনীতি নিয়ে, কিন্তু তিনি নোবেল পেলেন শান্তিতে। ’ আশরাফ বলেন, ‘নোবেল পুরস্কার কীভাবে আসে, তা অনেকেই জানেন। ’ এ প্রসঙ্গে আয়ারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠানের নোবেল জয় এবং এর দুই নারীর বিরোধের ঘটনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ডের দুই নারী মাদারল্যান্ড পিস নামের একটি সংগঠন করেন। এই সংগঠন করার দুই মাসের মধ্যে তাঁরা নোবেল পান। আর নোবেলের টাকা ভাগ করা নিয়ে ওই দুই নারীর মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। পরে তাঁদের ঝগড়া আদালত পর্যন্ত গড়ালে তখন আর শান্তি থাকে না। ’ Click This Link ********************** ডঃ ইউনুস কোন ফেরেশতাও নন আবার দানবীর হাজি দানেশও নন।

দোষে গুণেই মানুষ মাত্র! তার উদ্ভাবিত ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচীর আওতায় তথা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৮০% মানুষই সফল। বস্তুত ই্উনুস সাহেব এমন যূগান্তকারী ফর্মূলা দিয়েছেন যাতে এক ডজন নোবেল পুরস্কারও কিছু নয়। কিছু আবিস্কার আছে যাকে বহু পুরস্কার দিলেও তার অবদান অনেক বিশাল। যদি পৃথিবীতে দরিদ্রের সংখ্যা কমে যায় তথা মানুষের আর্থিক সংকট না থাকে একটা সঞ্চয়ে ধীর উন্নতিও হয় তা শান্তি স্থাপনের একটা বড় ভূমিকা রাখবে। এই কারণেই উনাকে অর্থনীতিতে না দিয়ে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়।

এটা ঠিক ডঃ ইউনুসকে অনেক আগেই অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল। তার ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের সহায়ক। কিন্তু ডঃ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সকল বিবেকবান মানুষ খুশী হলেও হাসিনা ও তার চামচা আওয়ামী-বাকশালী গং মোটেও খুশী হতে পারেনি। তাদের কথা তথাকথিত ৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য নাকি হাসিনার নুবেল পুরস্কার পাওয়ার কথা। এই সেই হাসিনা যে এক লাশের পরিবর্তে ১০টি লাশ ফেলে দেওয়ার কথা বলে।

সে কি ভাবে বিশ্বে শান্তির জন্য একটা আদর্শ উদাহরণ হয়? সাগর-রুনি হত্যার জন্য খুনীদের ধরতে না পারলেও কেউ যেন প্রকৃত খুনীদের নিয়ে কথা বলতে না পারে তার জন্য আদালতের মাধ্যমে খড়গ দেয়। ঐ দিকে এই জোড়া হত্যাকান্ডের আলামতও(ফরেন্সিক) সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন আবার আশরাফ বিদেশে কারো নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে আদালতের উদাহরণ দেন। উচ্চ আদালতে প্রভাব খাটিয়ে ডঃ ইউনুসকে তারই গড়া গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ হতে সরিয়ে দেওয়া হয়। যা হাসিনার ব্যাক্তিগত আক্রোশ ও হিংসার ফল।

এর সাথে দেশের সিংহভাগ জনগণের কোন মাথা ব্যাথা নেই। হাসিনা রাষ্ট্রীয় মাস্তানীর মাধ্যমে এই অপকর্মটি করে। আজকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পদ্মা সেতু সহ যোগাযোগ খাতে সীমাহনী র্দূনীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে রাখার ওয়াদা করে ক্ষমতায় এলেও বাজারের বাস্তবতা মানুষকে কষে চড় মারে! এখন যখন ডঃ ইউনুসকে সারা বিশ্ব যে সম্মান করে তা যেকোন সাধারণ দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকেও এতটা করে না। নিজ যোগ্যতা বলে ইউনুস এই সম্মান পাচ্ছেন।

তাই বিশ্বে কেউ হাসিনাকে তো দূর মুজিবকেও চিনে না এবং চেনার কোন প্রয়োজন মনে করে না। তারা বাংলাদেশকে সহজ অর্থেই ডঃ ইউনুসকে দিয়ে চিনে। এই নিয়ে সৈয়দ আশরাফের হিংসার শেষ নাই। ঐ দিকে পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঋণতো আটকে দিয়েছেই ঢাকায় হাসিনার উড়াল রেলের উচ্চ স্বপ্নও তার এই আমলে কাজ শুরু নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ জাপান বলছে যে তারা বিশ্বব্যাংকের সাথে বিরোধের সুরাহা না করলে কোন ঋণ নিয়ে অগ্রসর হবে না।

তাই সৈয়দ আশরাফ ও মুহিতদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজেদের চুরি, বাটপারি, প্রতারণা ও ফ্যাসিজম ঢাকার জন্য ডঃ ইউনুসকে নোংরা ভাবে অপমান করছে। রাবিশ শব্দ উচ্চারণ করে নিজেদের উগ্র মনোভাব প্রকাশ করেছে। তারা মুজিব ও হাসিনা নিয়ে যতই জয়গান করুক না কেন দেশবাসী ঠিকই বুঝছে যে আওয়ামী-বাকশালী গং হচ্ছে কুত্তা যাদের পেটে ঘি হজম হয় না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.