দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
কবি-গবেষক-প্রাবন্ধিক আবদুল মান্নান সৈয়দ আজ সন্ধ্যা ছয়টা পাঁচ মিনিটে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
বাংলাদেশের সাহিত্যজগতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশে কবি জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে তিনিই প্রথম গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেন। শুধু জীবনানন্দকে নিয়ে নয়, কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমদ, সিকানদার আবু জাফর প্রমুখ কবিকে নিয়ে তিনি মৌলিক গবেষণা করেন।
‘শুদ্ধতম কবি’, ‘নজরুল ইসলাম: কবি ও কবিতা’ প্রভৃতি তাঁর মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ। ষাটের (১৯৬০) দশকের শক্তিশালী কবি হিসেবে সমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। ‘জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ’, ‘রৌদ্রের চিকিত্সা’, ‘সংবেদন ও জলতরঙ্গ’ প্রভৃতি তাঁর প্রধান কাব্য। ‘সত্যের মতো বদমাশ’, ‘মৃত্যুর অধিক’ প্রভৃতি তাঁর ছোটগল্প আর ‘পোড়ামাটির কাজ’, ‘হে সংসার লতা’ প্রভৃতি তাঁর উপন্যাস। নাটকসহ ভাষামাধ্যমের প্রায় সব শাখায় তিনি সক্রিয়ভাবে বিচরণ করেছেন।
অধ্যাপনার মাধ্যমে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এর বাইরে তিনি নজরুল ইনস্টিউটের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, নজরুল পদক লাভ করেন।
আমার প্রিয় একজন সাহিত্যিক তিনি।
তার কবিতা ও লেখা আমার খুবই ভালো লাগে। তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিমান লেখক হারালো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।