যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে. তখন খুব সম্ভবত কলেজে কিংবা ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। বেশ কয়েকদিন ধরে খুব ভারী খাবার খাওয়া হচ্ছিল না। এমন কি কারো বাসায় দাওয়াত ও ছিল না। হাতে তেমন টাকা পয়সাও নাই যে কিনে খাবো। তাই মাথার ভিতরে একটা দুষ্ট বুদ্ধি চেপেছিল।
কিন্তু এই কাজ আমি একা করতে পারবো না। আমার এত সাহস নাই। আর ধরা পরলে তো মাইর একটাও মাটিতে পরবে না।
আমার পাড়াত বন্ধু “ত” এর কথা বলেছিলাম। ওকে সেই সময় আমার এই প্লানের কথা বলেছিলাম।
ও এক বাক্যে রাজি হয়ে গিয়েছিল। কবে, কিভাবে, কোথায় যাওয়া যায় তা নিয়ে ২ জন পরামর্শ করে নিলাম। প্লান করেছিলাম বাসার আশেপাশে কোন এক কমিউনিটি সেন্টারে যাবো। তাই বাসা থেকে সেই রকম প্রস্তুতি নিয়েই বের হলাম। যাতে কেউ কোনরকম সন্দেহ করতে না পারে।
ধানমন্ডির কোন এক কমিনিউটি সেন্টারে আমরা ২ জন বহিরাগত গেস্ট (!) অন্য সবার সাথে ঢুকে পরেছিলাম সেদিন। সবাই যে যার মত গল্প করছে আর আমরা পিছনে এক খালি জায়গায় বসে গল্প করছি। যতটা সম্ভব নিজেদের হাল্কা করার চেষ্টা কুরছি যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে। বলাই বাহুল্য আমরা কোন গিফট নিয়ে যাই নি।
১০/১৫ মিনিট বসে থাকার পর খাবারের ডাক আসলো।
সবাই যে যার মত টেবিল বেছে বসে পরতে লাগলো। আমরাও এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ ততক্ষণে পেট বিদ্রোহ শুরু করেছে। একটা খালি টেবিল দেখে বসে পরলাম। বেশি মানুষজন যেই টেবিলে সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকলাম।
খাবার টেবিলে কারো সাথে কথাও বলি নি।
সেদিন তুমুল খাওয়া দাওয়া করে মুখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বিয়ের আসর থেকে বিদায় নিলাম।
বিয়ের আসর থেকে বের হয়ে মনে হচ্ছিল যেন এভারেস্ট জয় করেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।