"বাংলা আমার জন্মভূমি, বাংলা আমার প্রাণ; হবনা পিছপা, রাখতে আমার বাংলা মায়ের মান । " এখনকার রাজনীতির মূল বিষয়ই হচ্ছে প্রেক্ষাপট চেঞ্জ করতে পারার যোগ্যতা বা দক্ষতা, সোজা কথায় মোড় ঘুড়িয়ে দেয়া। যেমন, গণজাগরণকে যদি নাস্তিকে, হেফাজতকে যদি জামাতে, কোন আন্দোলনকে যদি ধর্মে বা অন্য যে কোন বিষয়কে যদি একটু হুজুগে অন্যদিকে টার্ন করা যায়, তাহলেই কেল্লা ফতে। তখন আমরা ভিক্ষা রেখে কুত্তা সামলাতেই ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। এই না হলে হুজুগে বাঙালী।
মোদ্দাকথা এই টার্ন করার ক্ষমতা-ই আসল পলিটিক্স। যে দল এ বিষয়ে যত পারদর্শী, সে তত বেশি ফিল্ড গরম রেখে পাবলিক সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগাতে পারে।
আমাদের দেশটা সত্যিই অভাগা একটি দেশ, যেখানে সত্যিকার দেশপ্রেমিকের বড়ই অভাব। যাদের হাতেই দেশ রক্ষার বা দেশের স্বার্থ রক্ষার ভার পড়ে, তারাই গদির বিনিময়ে দেশকে ফুটবলের মত এক আঙুলে নিয়ে ঘুড়িয়ে কিক মেরে নিজের জালে ফেলতে ব্যতিব্যস্ত থাকে আর অন্যরাও কিক মারতে দ্বিধা করেনা, তা ল্যাং মেরে ফেলে হলেও। মোটকথা বল আমার পায়ে চাই-ই, ফিল্ডটা ক্ষত-বিক্ষত বা রক্তে রঞ্জিত হলেও আমার আপত্তি নেই; হোক না তাতে জন জীবন বিপন্ন, ভাঙ্গুক না দেশের কাঠামো।
আমরা জানিনা আমাদের দেশের বীরত্বের ইতিহাস, রাজনীতির ইতিহাস, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, শেখ মজিবুর রহমান প্রমুখ রাজনীতিবিদদের দেশের জন্য ত্যাগের ইতিহাস। তারা দেশের জন্য যেকোন কিছুকে বিসর্জন দিতে পারত, কোন কিছুর জন্য দেশকে বিসর্জন নয়। আর এখন আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার জন্য, গদির জন্য দেশকে, দেশের মানুষের শান্তিকে বিসর্জন দিতে এতটুকু কুন্ঠা বোধ করবেনা। সত্যিই দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আর দেশকে ভালবেসে আমরা অভাগা ।
আমার এক বন্ধু প্রচন্ড ক্ষোভে মাঝে মাঝে বলত, ”পৃথিবীতে এত্ত দেশ থাকতে আল্লায় ক্যান আমারে এই দেশে ফালাইল!” আমি তা বলতে চাই না, আমি প্রচন্ড রকমের আশাবাদি টাইপের লোক অন্তত আমার দেশের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশের ১ বলে ৩০ রান লাগবে জেনেও জিতবে আশায় অপলক চেয়ে থাকি, হারলেও আমার দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা থামে না। কারণ, নিমেষ কালো আঁধরে তখন ঝিঁ ঝিঁ পোকার কন্ঠে বার বার কানে বাঁজে, ”রাত্রি যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে। প্রভাত আসবেই, প্রভাত আসতেই হবে......” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।