আমি আজাদ। আমি কষ্ট করতে বেশী ভালবাসি.... তবে অবশ্যই তাতে কোন মিষ্ট ফলের আশা থাকতে হবে। গতকাল এই পোষ্টটা করেছিলাম.....
এইবার দেখুন তাদের কি অবস্থা হয়েছে।
আমার না, এটা বিডিনিউজ২৪.কম জানিয়েছে.... দেখুন
আপনাদের সুবিধার্থে সরাসরি কপি-পেষ্ট মারলাম। হে হে হে....
ঢাকা, মে ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নতুন কিছু ‘মুখরোচক’ খাবার বাজারজাত করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার শুরুর পর বিজ্ঞাপনের শ্লোগান নিয়ে সমালোচনার মুখে বিলবোর্ড সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ব্র্যাক চিকেন।
প্যাকেটজাত চিকেন নাগেটস, ড্রামস্টিকস, চিকেন উইংসসহ বিভিন্ন খাবারের এই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, বিরক্ত মুখে বসে থাকা এক শিশুকে, যে বলছে- ‘আমরা খিচুড়ি, তেহারি, সেমাই, কেক, পাউরুটি... ঘৃণা করি। ”
বিলবোর্ডের উল্টো দিকে আনন্দিত মুখের শিশুদের দেখা যায়, যারা বলছে- ‘উই লাভ ব্র্যাক চিকেন, হেলদি চয়েজ। ’
পুষ্টিবিদরা যেখানে পুষ্টিকর খাবার বিবেচনায় শিশুদের চাল, ডাল, সব্জি ও মাংস দিয়ে তৈরি খিচুড়ি খাওয়ানোর পরামর্শ দেন, সেমাই যেখানে বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী খাবার- সেখানে ব্র্যাক চিকেনের এমন বিজ্ঞাপন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড বসিয়ে এবং গণমাধ্যমে ওই বিজ্ঞাপন প্রচারের পর শিশু বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদরা এর নিন্দা জানান।
বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই বিজ্ঞাপন আমাদের নিজস্ব খাবারের জন্য হুমকি।
”
তিনি বলেন, “খিচুড়ি একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাবার। চিকেন ফ্রাই তা নয়, বরং মুটিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরনের খাবারকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। ”
ব্র্যাক চিকেন গত ২৫ এপ্রিল থেকে মাসালা নাগেটস, কিডস নাগেটস, রেগুলার নাগেটস, ড্রামস্টিকস, উইংস, বার্গার প্যাটিস, সসেজ, কাবাব, কাটলেট ও চিকেন তন্দুরিসহ মুরগির মাংস থেকে তৈরি বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত খাবার বাজারজাত করা শুরু করে।
অধ্যাপক হানিফ বলেন, এ ধরনের খাবারে বেশি মাত্রায় লবণ ও স্নেহ জাতীয় উপাদান থাকে বলে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা এবং উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
“খিচুড়ি একটি সুষম খাবার এবং সুস্বাদু।
আমরা বাচ্চাদের ছয় মাস বয়স থেকেই খিচুড়ি খাওয়ানোর পরামর্শ দিই”, বলেন তিনি।
পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ওই ‘আপত্তিকর’ বিজ্ঞাপনের বিষয়টি ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরে আনার পর বিলবোর্ডগুলো সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয় ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ।
ব্র্যাকের মিডিয়া ম্যানেজার জিয়া হাশান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখনই আমরা বুঝতে পেরেছি যে বিজ্ঞাপন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে তখনই আমরা বিলবোর্ডগুলো নামিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ”
অধ্যাপক হানিফ বলেন, “ব্র্যাকের মতো একটি সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা কখনো এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রত্যাশা করি না। ”
১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যার কার্যক্রম হাইতি, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ সুদানেও বিস্তৃত।
ব্র্যাক চিকেনের ওই বিজ্ঞাপন পত্রিকায় ‘মাত্র একবার’ প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে জিয়া হাশান বলেন, “আমরা আর এর পুনরাবৃত্তি করিনি। ”
হরতালের কারণে ঢাকার সব জায়গা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্র্যাক চিকেনের ওই বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই সেগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
এই বিজ্ঞাপনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসেসের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক মো. এখলাসুর রহমানও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি এখনো দেখিনি। তবে যা শুনছি তা সত্যি হলে বিষয়টি খুবই খারাপ হয়েছে।
”
শিশুদের জন্য যেসব পুষ্টি উপাদান দরকার খিচুড়িতে তার সবই থাকে উল্লেখ করে অধ্যাপক এখলাস বলেন, “মারাত্মক অপুষ্টির রোগীদের জন্য আমরা অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ ধরনের খিচুড়ি খাওয়ানোর পরামর্শ দেই। ”
ওই বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ টেনে শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ কিউ কে তালুকদার বলেন, “এতে বোঝা যায়, খাবারের পুষ্টিমান নিয়ে তাদের আসলে কোনো ধারণাই নেই। এটা খুবই বিপদজনক। ”
তিনি বলেন, “ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মীরাই যেখানে পুষ্টিকর খাবার হিসাবে খিচুড়ি খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, সেখানে ব্র্যাক চিকেন এ ধরনের বিজ্ঞাপন কীভাবে দিল!”
আর হে, রিপোর্টটি করেছেন- নুরুল ইসলাম হাসিব
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।