আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পানসে হুমায়ুন আহমেদ, আনিসুল হক ও ফরেন হেল্প (রম্য)

"You may like a situation which is not good for you And You may dislike a situation which is good for you." (Al- Quran) আমার প্রিয় লেখকদের একজন হুমায়ুন আহমেদ এদেশে হিন্দি সিনেমা আমদানী হবে কী না এ নিয়ে যখন বিতর্ক চলছিল তখন তিনি হিন্দি সিনেমা আমদানীর পক্ষে একটি কলাম লিখেছিলেন। নাম সম্ভবত বহুত দিন হুয়ে। এই কলাম লেখার ফলে আমার মত হুমায়ুন আহমেদের অনেক ভক্ত খুব শক্ড হয়েছিল। অনেক ভক্ত আবার খুশিও হয়েছিল। সেসব ভক্ত হুমায়ুন আহমেদের সবকিছুতেই খুশি হয়... কী জানি তার সেইসকল ভক্ত তার ক্যান্সার হওয়ায়ও খুশি হয়েছে কী না! (জাস্ট জোকিং) তো সেইসময় আমি চিন্তা করলাম হুমায়ুন আহমেদ দেশের একটি শিল্পকে প্রটেকশান এর পক্ষে মত না দিয়ে হিন্দি ছবি আমদানীর পক্ষে মত দিলেন কেন? এ নিয়ে তখন বিস্তর লেখালেখি হয়েছে।

যুক্তি পাল্টা যুক্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ভেবে পাচ্ছিলাম হুমায়ুন আহমেদ কেন হিন্দি ছবির পক্ষ নিলেন। অনেক ভেবেও উত্তর পাইনি। অনেকে বলেছে তিনি বিশাল অংকের টাকা নিয়ে ঐ লেখা লিখেছেন। এটা আমার কাছে মোটেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।

আর যাই হোক টাকা খেয়ে হুমায়ুন আহমেদ কোন লেখা লিখবেন তার একজন ভক্ত হিসেবে এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। তাহলে কারণটা কী? বহুদিন পর একটা কারণ পেলাম। (কারণটা অবশ্যই হিউমার এ্যাঙ্গেল থেকে পাওয়া। ) কারনটা পেলাম আনিসুল হকের একটি রম্য লেখায়। হুমায়ুন আহমেদ নাকী আনিসুল হককে লিখেছেন “আনিস তোমার লেখা পানসে হয়ে যাচ্ছে।

ফরেন হেল্প নাও। ” এর সাথে তিনি নাকী একটা বিদেশি জোকসের বই পাঠিয়েছেন। আনিসুল হক অবশ্যই হুমায়ুন আহমেদকে শ্রদ্ধা করেন। তাই তিনি তার লেখায় ফরেন হেল্প নিয়েছেন। ফলে সত্যিই তার পানসে হয়ে যাওয়া লেখায় বিদেশী স্বাদ এসেছে।

পাঠক হিসেবে এই ফরেন হেল্প আমারও ভাল লেগেছে। তাহলে এ ঘটনায় এটা প্রমাণ হয় হুমায়ুন আহমেদের কাছে যখন কিছু পানসে লাগে তখন তিনি ফরেন হেল্প নেন। একবার যখন তিনি অর্থসংকটে পড়েছিলেন তখন তিনি বিখ্যাত ম্যান অন ফায়ার বইটি অমানুষ নামে অনুবাদ করে সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেনকে দেন। অর্থাৎ তার লেখার ক্ষেত্রেও আছে ফরেন হেল্প। আমরা আবার হিন্দি সিনেমার প্রসঙ্গে ফিরে যাই।

উপরের আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে হুমায়ুন আহমেদের কাছে কোন কিছু পানসে লাগলে তিনি ফরেন হেল্প নেন। তাই আমি ধারণা করি তিনি ছিলেন বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমার নিয়মিত দর্শক! (জাস্ট জোকিং) বাংলা সিনেমা দেখতে দেখতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তার কাছে পানসে লাগা শুরু করে। সো কী করা? ফরেন হেল্প দরকার... তা ঠিক আছে ফরেন হেল্প যখন দরকার আপনি হলিউড বলিউডের ফিল্ম দেখেন ডিভিডিতে। সেটাও তো একধরণের ফরেন হেল্প।

কিন্তু আপনি এমন একটা ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে গেলেন যেখানে আপনি নিজেও কিছু পানসে সিনেমা তৈরী করেছেন। পাদটীকা- আমাদের দেশের দুই প্রধান দল রাজনীতিকে পানসে বানিয়ে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে একসময় কী আপনি বলে বসবেন যে দেশের রাজনীতিতে ফরেন হেল্প দরকার!!(জাস্ট জোকিং) বি.দ্র. আমি হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত হিসেবে তার অনেক বই পড়েছি। কিন্তু ইদানীং তার বই পড়তে গেলেই পানসে লাগে... আমার বোধহয় ফরেন হেল্প দরকার! এটা একটা রম্য লেখা। এখানে একটি জোকস না থাকলে রম্য সম্পূর্ণ হয় না।

তাহলে একটি পানসে দেশী জোকস... এক বন্ধু তার আর এক বন্ধুকে বলল,“ দোস্ত নুহাশ পল্লীতে না অনেকবার বেড়াতে গেছি। ইদানীং পানসে লাগে। অপর বন্ধু বলল,“নুহাশ পল্লীতে যাওয়ার কী দরকার... ফরেন হেল্প নাও! ---------------------------------- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।