বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম)
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ছাড়া আমরা যেমন একটি দিনও কল্পনা করতে পারিনা, তেমনি কম্পিউটারের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রাংশ হিসেবে আমাদের কাছে স্থান করে নিয়েছে মাউস।
কবে কখন কি ভাবে প্রথম মাউস তৈরির চিন্তা ভাবনা মানুষের মাথায় আসল এটা ঠিক বলা মুশকিল। তবে ১৯৬৩ সালে কম্পিউটারের জন্য বিশ্বের প্রথম মাউসটি তৈরি করেন ডগলাস এঙ্গেলবার্ট।
স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে এটি তৈরি করেন তিনি। প্রথম সেই মাউসটির আকার আজকের পরিচিত মাউসের মতন ছিলো না।
বরং এটি তৈরি করা হয়েছিলো একটি বক্সের মধ্যে। আর এর সাথে ছিলো কোনো তলে কাজ করার জন্য বিশেষ চাকা। আকারেও এটি ছিলো এখনকার মাউসগুলোর তুলনায় বেশ খানিকটা বড়।
এর পর প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের মাউস আমাদের সামনে আসতে থাকল। যেমন পাথরের মাউস, কাঠের তৈরি মাউস,
আরও নানা ধরনের মাউস।
এখন বাজারে অত্যা-আধুনিক মডেলের মাউস দেখতে পাবেন। এসব মাউসের মধ্যে আপেলের ম্যাজিক মাউস, বিভিন্ন কম্পানির স্কেনিং মাউস পাওয়া যায়। নীচে ফটো সহ বিভিন্ন রকমের মাউস এর সংকিপ্ত বিবরন দেখেন।
অ্যাপেল এর ম্যাজিক মাউস।
নরমাল লেজার মাউস।
এটিও মাউস তবে ট্র্যান্সফরমিং লেজার মাউস।
এই মাউস এর সাহায্যে সহজেই স্কেনিং করতে পারবেন।
সনি ভ্যাইও ব্লুটূথ লেজার মাউস।
ক্যানন এক্স মার্ক মাউস।
পরিশেষে একটা কথাঃ আমার মনেহয় কম্পিউটারের পর্দায় মাউসের কার্সরের যে চলা ফেরা বা দৌড়া-দৌড়ী দেখতে ইঁদুরের মত হওয়ায় এইটির নাম মাউস হয়েছে।
যাই হোক নামটা সার্থক। আমরা যারা ল্যাপটপ ইউজ করি, আমাদের উচিৎ মাউস ব্যাবহার করা এতে আমাদের ল্যাপটপের টাচ প্যাডের উপর পরা প্রেসের অনেক কমে আসবে।
ছবিঃ সংগ্রহ ইন্টারনেট থেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।