যুক্তি দিয়ে কথার মারপ্যাচ ভালোই বুঝি... কি কমু। বড়লোক হইতে আসছে সবাই এবং দেখা যাচ্ছে দূর্নীতিবাজরাই বড়লোক হচ্ছে এবং সাধারণ জনগন কষ্টে আছে। যদি দূর্নীতিবাজ হতে চান এখনই সুযোগ ২ বছরের মাঝে কোটিপতি হয়ে যাবেন। তবে ভয় পাবেন না আপনার বিপক্ষে কোনো ঝামেলা হবে না। কারন বর্তমানের পরিস্থিতি দেখুনঃ
১।
শেয়ার মার্কেটকে আকাশে তুলে মাটিতে নামালো। কিন্তু যারা এই কাজ করলো তাদের কোনো শাস্তিই দিলো না বরং বড় একটি পদ দিয়ে দিলো।
২। শেয়ার মার্কেটের টাকা লুকানোর জন্য ২ মাসের নামে তদন্তের টাইম দেয়া হলো, তদন্ত হলো রিপোর্ট বের হওয়ার পর আরো ১ মাস টাইম নেওয়া হলো। পড়ে বলা হলো যে তদন্ত করেছে সে ভালো ভাবে করে নাই।
সবাই জানেন কি হয়েছে। কিন্তু সেই তিন মাস থেকে গত ফেব্রুয়ারী ২০১২ পর্যন্ত মার্কেটের ওপর দিয়ে ঝড় তুফান গেলো।
৩। দুই জন সাংবাদিককে হত্যা করার ৩ মাস পর ময়নাতদন্ত করলো। তাহলে এই তিন মাসে কি করা হয়েছিল? খুনিদের পালিয়ে যেতে নাকি বড় ধরনের ঢিল অর ডিল হইলো?
৪।
৫০ হাজার টাকার কর্মী ৫ কোটি টাকা দিয়ে লাইসেন্স কিনলো। ২ সপ্তাহ সময়ও দিয়ে দিলো একটি অজুহাত দেওয়ার। আজ শুনি ৫ কোটি টাকার লাইসেন্সে তার ইনভেস্ট অনলী ৬০ হাজার টাকা।
৫। কানিজ আলমাসের কাহিনী সবাই জানেন।
এখানেও দূর্নীতি করা হলো। সময় দিয়ে শাস্তি দেয়া হলো গোপন ক্যামেরা খুলে ফেলার। এই যদি শাস্তি হয় তাহলে তো সবাই গোপন ক্যামেরা রাখবে এবং ধরা পড়লে তাদেরও শাস্তি গোপন ক্যামেরা সরানোর কথা বলতে হবে। কিন্তু ক্যামেরাতে যারা ঢুকলো তারা কিভাবে মুখ দেখাবে? বরং সেই ভিডি বিক্রি করে...
আর কি কমু? এই হিসাব লিখতে গেলে আর আজকে ঘুমাইবার পারুম না।
দেশটা স্বাধীন হইয়াও স্বাধীন হইলো না।
আমাদের কথা সরকার, বিরোধীদলের কেউই ভাবে না। সৎ উপায়ে বাচার পথ দেখছি না। তাহলে কি দূর্নীতি শুরু করুম???
ইচ্ছা করে বিদেশ চইলা যাই... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।