আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখোশের আড়ালে

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি ৫৭ : : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সব সময় কয়েকভাগ ভাগ লোক থাকেন। এক ভাগ বিশ্ববিদ্যালয প্রশাসনের পক্ষে। আর ভাগ বিপক্ষে।

নীরব থাকেন আমর মত কিছু। যারা ‘বুদ্ধিমানের’ ভাব ধরা বোকা! বোকা বলছি এ কারণে যে তারা কেবল খেটেই যায়, কিছু পায় না। পেতে চায়ও না। তবে এ বোকাদের মাঝে মাঝে কেউ ধোকা দেয়। বিশেষ করে সিনিয়ররা এদের ধোকা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টিংয়ে আমাদের একজন সিনিয়র, সে সময় একটা নিউজের বিষয়ে আমাকে আটকানোর পরামর্শ দিয়ে বললেন, স্যার খুব ভালো মানুষ। ফরহেজগার। বিপদে পড়লে জায়নামাজ নিয়ে বসে পড়েন। আমি কতটা বোকা ছিলাম যে, সে সময় ওই বড় ভাইয়ের কথা বিশ্বাস করে তাকে কিছুটা ছাড় দিয়েছিলাম। ঘটনার কয়েক বছর পর যখন আমি টেলিকম রিপোর্টার, তখন একদিন ওই স্যারের সাথে আমার ঢাকা কাবের সিনহা লাউঞ্জের সামনে দেখা।

পরে জানলাম উনি নিয়মিত সুরা পান করার জন্য ঢাকা কাবে আসেন। তার নাকি সুরা পানের একটা লাইসেন্সও আছে। আমি বিস্মিত হই না, কারণ আমাদের মধ্যে ধর্মকে পুঁজি করে মানুষকে ঠকানোর একটা প্রবণতা অনেক আগে থেকে আছে, এখনো এটি চলছে। পারবিারিক গন্ডি থেকে জাতীয় রাজনীতি এমনকি বিশ্ব রাজনীতিতেও এর একটা ভালো উদাহরণ আমরা দেখি। তাই ওবামাকে বাইবেলে হাত রেখে বিশ্বব্যাপী মার্কিন নিরাপত্তায় মানুষের রক্ত চুষতে দেখা যায়।

সত্যি সেলুকাস! বিচিত্র এ দেশ, মহাদেশ এবং বিশ্ব। ঢাকা কাবের দুয়ারে আমাদের আরো অনেক নামি দামি শিক্ষকের সাথে আমার বা অন্য অনেকের দেখা হয়েছে। এখানে সব দলের শিক্ষকই আছেন। সেখানে যাওয়াটা পাপ বা যাওয়া মানে সুরা পান সে কথা আমি সেটা বলছি না, বা সেখানে যেতে কাউকে মানাও করছি না। কেবল বলছি মুখোশটা খুলে সোজা হয়ে দাঁড়ালে মানুষের সম্মান বাড়ে, কমে না।

এটা অন্তত বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষকদের জীবনটা অনেক কষ্টের। তারা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মানুষ হন, আর তাদের ছেলে মেয়েরা নষ্ট হন নানা কারণে। আমরা যারা আগে পুঁচকে সাংবাদিক ছিলাম, এখন বাবা হয়েছি, আমরা সবাই জানি সন্তানকে সবাই সুখে রাখতে চান। সে জন্য সবারই চেষ্টার অন্ত নেই।

কিন্তু নিজের সন্তানকে কেবল ভালোবাসা দিয়েই রেখেছেন অনেকে, তাই তাদের সন্তানরা পরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান। জড়িয়ে পড়েন নানান অপরাধে। মাদকসহ একবার তথ্য ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগের এক ম্যাডামের ছেলে ধরা পড়েছির ক্যাম্পাসে। পরে অবশ্য ওই ডিপার্টমেন্টের এক ছাত্র সাংবাদিকের সহায়তায় খবরের কাগজের হাত থেকে নিস্তার পান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা পুলিশও ছাড় দেয়।

তবে সন্তানকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন ওই শিক্ষক। এ রকম অনেক উদারহরণ আছে। বিস্তারিত বলে শিক্ষকদের জীবন নিয়ে কটাক্ষ করার ইচ্ছে আমার নেই। কারণ আমি নিজেও শিক্ষক বাবার সন্তান, আমার দাদা, নানাও শিক্ষক ছিলেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।