সত্য প্রকাশে সংকোচহীন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের স্বৈরাচারী শাষণ ব্যবস্থার কারণে অনিয়মই নিয়মে রূপান্তরিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিপক্ষে মত পোষণকারী শিক্ষকদের উপাচার্যের রোষানলে পড়ে চাকরি হারানো, পদোন্নতিতে বাধা, উন্নত ক্যাটাগরির বাসা থেকে বঞ্চিতসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অপরদিকে উপাচার্যের পক্ষে অবস্থানকরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ক্ষেত্র ভেদে ঘটেছে পদোন্নতিও।
জানা গেছে, উপাচার্যপন্থি প্রভাবশালী শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমীর হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় নিজ ভাগ্নেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত হন।
প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় পাঠানো হয়। পরে তৎকালীন প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেন তিনি। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ২০০৯সালে দায়িত্ব গ্রহণ করলে রাজনৈতিক মত পাল্টে ‘উপাচার্যপন্থি’ গ্রুপে যোগ দেন তিনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিগোয প্রমানিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে বর্তমানে তিনি বিভাগীয় সভাপতি।
নবাব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান উপাচার্যের রাজনীতি করে ব্যক্তিস্বার্থ আদায়ে রেকর্ড গড়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়। ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি ছেলেকে রসায়ন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। মেয়ের জামাই প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এছাড়া বড় ভাই এর ছেলেসহ ১৯জনকে নিজ হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রেও রয়েছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ।
হলের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত গাড়ী চালানোর জন্য একজন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ পাল। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির বয়স কম দেখিয়ে তাকে চাকরী প্রদানের অভিযোগও রয়েছে এ প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগেও চলছে চরম দূর্নীতি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ পদের প্রভাব দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। অবশ্য রিকুইজিশন দিয়ে ব্যবহার করেন বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছর রাজধানী শহরে মেডিকেলের ভূঁয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ধরা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রভাষক ফিরোজ উল হাসান। এঘটনায় কয়েক দিন জেলও খাটেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী কোন ফৈাজদারী মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের নিয়ম রয়েছে। অথচ সে সময়ে উপাচার্যের আশীর্বাদে সহকারী প্রক্টরের পদে বহাল তবিয়তে থাকেন। এরপর তাকে দেওয়া হয় বিএনসিসি’র ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব।
একাধিক শিক্ষক জানান, অপছন্দের শিক্ষকদের নানা অজুহাতে পদোন্নতি আটকে রাখা এমনকি চাকরীচ্যুত করার একাধিক ঘটনাও ঘটেছে এ উপাচার্যের আমলে। কানাডায় পিএইডি গবেষণারত রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. রাকিব হাসান ২০০৮সালে বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা ছুটি নেন। ২০১০সালে তার ছুটি বৃদ্ধির আবেদন নাকচ করে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীবিধি অনুযায়ী তার এখনো ৭বছর শিক্ষা ছুটি পাওনা রয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শ্রী তাপস কুমার পালের ক্ষেত্রেও।
উচ্চশিক্ষায় ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গমনের পর নির্ধারিত ছুটি শেষে তার আবেদন নাকচ করে তাকেও চাকুরীচ্যুত করা হয়। একই ভাবে চাকরী হারান অষ্ট্রেলিয়াতে গবেষনারত দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলতাফ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শামীমা আক্তার। নির্ধারিত সময়ের মাত্র ২দিন পর দেশে ফেরায় চাকরী হারাতে হয়েছে ভূ-তাত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফাহলিজা বেগমকেও। তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ করে উচ্চ আদালতে রিট করার পর চাকরী ফিরে পেলেও আর চাকরীতে যোগদান করেননি। নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমেল হালদার কানাডায় গবেষণা করেন।
নির্ধারিত ছুটি শেষে তার ছুটি বৃদ্ধির আবেদন নাকচ করা হয়। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে মৌখিকভাবে রোমেলের ছুটি বৃদ্ধি করা হয়।
জানা গেছে, গবেষনার ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা ঘটে। ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মো রফিকুজ্জামান ২০০১ থেকে ২০০৯সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একটি সময় মালশেয়িার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৈধ ছুটি না থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় চাকরী থেকে অব্যাহতি দেন।
বর্তমান উপাচার্য ২০০৯সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মলঙ্ঘন করে তাকে চাকরীতে পুনর্বহাল করার পর বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব দেন।
বিগত ৩বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতিতে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সকল শর্ত পূরণ করা সত্বেও উপাচার্যপন্থি না হওয়ায় সাহাব এনাম খান, নওরীন তাবাচ্ছুম ও খালিদ কুদ্দুসের পদোন্নতি হয়নি। অপরদিকে উপাচার্যপন্থি হওয়ায় সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান বাগিয়ে নিয়েছেন পদোন্নতি। নুসরাতের বিরুদ্ধে এর আগে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি।
একইভাবে পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শফি মুহাম্মদ তারেক, উপাচার্যপন্থি না হওয়ায় পদোন্নতি আটকে রয়েছে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মনোয়ার হোসেন তুহিন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের নুহু উদ্দিনসহ একাধিক শিক্ষকের ক্ষেত্রে।
অনিয়মের সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘নিয়মানুসারেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কখনও কখনও প্রক্রিয়াগুলোতে দেরি হতে পারে। তবে অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রশাসন কাজ করছে।
সেশনজট নিরসন, নতুন বিভাগ খোলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করা হয়েছে। ’ অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য বলেন, ‘সকল প্রক্রিয়া যথাযথ নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে। ’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের স্বৈরাচারী শাষণ ব্যবস্থার কারণে অনিয়মই নিয়মে রূপান্তরিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিপক্ষে মত পোষণকারী শিক্ষকদের উপাচার্যের রোষানলে পড়ে চাকরি হারানো, পদোন্নতিতে বাধা, উন্নত ক্যাটাগরির বাসা থেকে বঞ্চিতসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অপরদিকে উপাচার্যের পক্ষে অবস্থানকরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ক্ষেত্র ভেদে ঘটেছে পদোন্নতিও।
জানা গেছে, উপাচার্যপন্থি প্রভাবশালী শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমীর হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় নিজ ভাগ্নেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় পাঠানো হয়। পরে তৎকালীন প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেন তিনি।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ২০০৯সালে দায়িত্ব গ্রহণ করলে রাজনৈতিক মত পাল্টে ‘উপাচার্যপন্থি’ গ্রুপে যোগ দেন তিনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিগোয প্রমানিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে বর্তমানে তিনি বিভাগীয় সভাপতি।
নবাব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান উপাচার্যের রাজনীতি করে ব্যক্তিস্বার্থ আদায়ে রেকর্ড গড়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়। ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি ছেলেকে রসায়ন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। মেয়ের জামাই প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
এছাড়া বড় ভাই এর ছেলেসহ ১৯জনকে নিজ হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রেও রয়েছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ।
হলের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত গাড়ী চালানোর জন্য একজন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ পাল। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির বয়স কম দেখিয়ে তাকে চাকরী প্রদানের অভিযোগও রয়েছে এ প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগেও চলছে চরম দূর্নীতি বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ পদের প্রভাব দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। অবশ্য রিকুইজিশন দিয়ে ব্যবহার করেন বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছর রাজধানী শহরে মেডিকেলের ভূঁয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ধরা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রভাষক ফিরোজ উল হাসান। এঘটনায় কয়েক দিন জেলও খাটেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী কোন ফৈাজদারী মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের নিয়ম রয়েছে।
অথচ সে সময়ে উপাচার্যের আশীর্বাদে সহকারী প্রক্টরের পদে বহাল তবিয়তে থাকেন। এরপর তাকে দেওয়া হয় বিএনসিসি’র ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব।
একাধিক শিক্ষক জানান, অপছন্দের শিক্ষকদের নানা অজুহাতে পদোন্নতি আটকে রাখা এমনকি চাকরীচ্যুত করার একাধিক ঘটনাও ঘটেছে এ উপাচার্যের আমলে। কানাডায় পিএইডি গবেষণারত রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. রাকিব হাসান ২০০৮সালে বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা ছুটি নেন। ২০১০সালে তার ছুটি বৃদ্ধির আবেদন নাকচ করে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীবিধি অনুযায়ী তার এখনো ৭বছর শিক্ষা ছুটি পাওনা রয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শ্রী তাপস কুমার পালের ক্ষেত্রেও। উচ্চশিক্ষায় ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গমনের পর নির্ধারিত ছুটি শেষে তার আবেদন নাকচ করে তাকেও চাকুরীচ্যুত করা হয়। একই ভাবে চাকরী হারান অষ্ট্রেলিয়াতে গবেষনারত দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলতাফ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শামীমা আক্তার। নির্ধারিত সময়ের মাত্র ২দিন পর দেশে ফেরায় চাকরী হারাতে হয়েছে ভূ-তাত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফাহলিজা বেগমকেও।
তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ করে উচ্চ আদালতে রিট করার পর চাকরী ফিরে পেলেও আর চাকরীতে যোগদান করেননি। নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমেল হালদার কানাডায় গবেষণা করেন। নির্ধারিত ছুটি শেষে তার ছুটি বৃদ্ধির আবেদন নাকচ করা হয়। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে মৌখিকভাবে রোমেলের ছুটি বৃদ্ধি করা হয়।
জানা গেছে, গবেষনার ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মো রফিকুজ্জামান ২০০১ থেকে ২০০৯সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একটি সময় মালশেয়িার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৈধ ছুটি না থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় চাকরী থেকে অব্যাহতি দেন। বর্তমান উপাচার্য ২০০৯সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মলঙ্ঘন করে তাকে চাকরীতে পুনর্বহাল করার পর বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব দেন।
বিগত ৩বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতিতে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সকল শর্ত পূরণ করা সত্বেও উপাচার্যপন্থি না হওয়ায় সাহাব এনাম খান, নওরীন তাবাচ্ছুম ও খালিদ কুদ্দুসের পদোন্নতি হয়নি।
অপরদিকে উপাচার্যপন্থি হওয়ায় সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান বাগিয়ে নিয়েছেন পদোন্নতি। নুসরাতের বিরুদ্ধে এর আগে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি। একইভাবে পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শফি মুহাম্মদ তারেক, উপাচার্যপন্থি না হওয়ায় পদোন্নতি আটকে রয়েছে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মনোয়ার হোসেন তুহিন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের নুহু উদ্দিনসহ একাধিক শিক্ষকের ক্ষেত্রে।
অনিয়মের সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘নিয়মানুসারেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কখনও কখনও প্রক্রিয়াগুলোতে দেরি হতে পারে।
তবে অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রশাসন কাজ করছে। সেশনজট নিরসন, নতুন বিভাগ খোলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করা হয়েছে। ’ অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য বলেন, ‘সকল প্রক্রিয়া যথাযথ নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।