একাকিত্বের কামনা
চিন্তার সমাপ্তি রেখায় বসে,
শান্ত দেহ, অস্থির দৃষ্টি, ছটফটে মন নিয়ে দেখি
অনাকাঙ্খিত কোলাহল, ভিড় করা কিছু মানুষের বিচ্ছিন্ন অনুভূতি
যে অনুভূতিগুলো প্রতিফলিত হয় নিজের বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে।
অর্থহীনতার ছোঁয়া, মানুষগুলোর বিচ্ছুরিত ধ্বনিতে। আমার মন
ক্ষণিকেই স্তব্ধ, উত্তাল সাগরের বদলে মনে উত্তপ্ত মরুভূমি,
মরুভূমিতে তপ্ত ধূলির বিস্তৃতি, আকাশে কষ্ট ছড়ানো বিশাল সূর্য,
স্মৃতি নেই, কথা নেই, গান নেই।
ধাবমান অস্ত্বিত্ব, ক্ষণিকের জন্য বিলীন।
ছুটন্ত অস্ত্বিত্ব, মানুষগুলোর অস্ত্বিত্বের সাথে একাকার।
অশান্ত মনে ভাবনার তরঙ্গ খেলে না
হঠাৎই জেগে ওঠে না চিন্তার ঢেউ, বা কখনও
মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে না আগ্রাসী দুশ্চিন্তার জলোচ্ছ্বাস
অস্থির মন খুঁজে পায় না একাকিত্বের স্বাদ।
একাকিত্ব কেন নেই, ভুবনের কোথাও।
সুবিশাল পৃথিবীর কোনো কোণে, কোনো সীমানায়, নেই সে।
কোন অজানায় তার অস্ত্বিত্ব, জানি না, জানে না কেউ।
সর্বত্র একাকিত্বহীনতা, সর্বত্র কিছু মানুষের ভিড়।
চোখেরা স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন থেমে যায়,
পুঞ্জীভূত কল্পনার গোলাকার অবয়ব ভেঙ্গে চুরে একাকার।
মনের ভিতরে কিছু মানুষের সুন্দর ও অসুন্দর জীবনেরা
ঘুরে বেড়ায়।
জীবনের চলার পথ যেন অমসৃণ কাঁটাজালের বাগান,
হেঁটে চলি, কাঁটাময় লতারা আঁকড়ে ধরে পা, ফেলে দেয় মাটিতে।
ফুল থাকে, ফুলের মাঝে কাঁটারা থাকে রক্তের প্রতীক্ষায়।
ফুল ডাকে, কাছে যাই, আর বুকে বিঁধে যায় কাঁটারা
সীমাহীন বেদনার আঘাতে রক্ত ঝরিয়ে দেয়।
তবে একাকিত্বের শূন্যতার মাঝে ফোটে না কোনো ফুল,
ফুলেরা হেসে হেসে তাদের কাঁটাদের নিয়ে ছলনাময়ী ডাক দেয় না।
কিন্তু একাকিত্ব সে তো নেই, ভুবনের কোথাও।
একাকিত্বের বাসনা, এই অশান্ত বুকে যেন চিৎকার করে উঠে।
পালিত অস্থিরতা একাকিত্বের জন্য ব্যাকুল,
ব্যাকুলতার অশান্ত ঢেউ, ছন্দময়তায় আছড়ে পড়ে মনের সমুদ্রতটে।
একাকিত্বের পথিক একাকিত্বহীন।
শান্তির পথিক, অনাকাঙ্খিত অশান্তির প্রাচীরে বাঁধা।
তাই মনে আজও আছে ফুল আর ফুলের কাঁটারা।
আর আছে ভিড় করা মানুষেরা, তাদের বিচিত্র অনুভূতিরা।
স্মৃতি নেই, কথা নেই, গান নাই। আছে শুধু
একাকিত্বের কামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।