হঠাৎ তার সাথে দেখা, বড় রাস্তাটির মোড়ে,
শত শত ঘটনা পার করে, ভীড়ের মধ্যে,
চকিতে দেখেই যখন সে না দেখার ভান করলো,
আমি তাকে খেয়াল করানোর চেষ্টা করি পিছু ডেকে।
: এই অনিতা শুনছো?
আমাকে চিনতে পারলে না?
আমি অমর,
কোথায় থাকো তোমরা?
সেই কবেকার দুঃস্মৃতিতে প্রস্থানের পর,
পুনরায় ভাগ্যদেবীর পরিহাস,
আমি হাসি মুখে তাকে দেখছি,
আমি বেপরোয়া, তার মুখে লজ্জার ভাব।
কত শত প্রশ্নের ভারে সে নিশ্চুপ,
অবাক করলো তার প্রতিক্রিয়া;
এই কি সে অনিতা,
মিষ্টি প্রেমের সেই প্রেমিকা!
: আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম, আর কিছু বলবেন?
: না কিছুই বলার নেই তোমাকে,
শুধু জানতে চাই, কেমন আছো?
কিভাবে ভুলে গেলে আমাকে?
: আমি বিয়ে করেছি দু’বছর হয়,
স্বামী আমেরিকা প্রবাসে,
আপনার কী অবস্থা, দিন কি চলে কবিতার মাঝে?
গুড়ু গুড়ু মেঘ ডাকা বিকেলে,
আমি ফিরে পেয়েছিলাম আপন তারে ,
আপন করে যদিও পাইনি তাকে,
ফিরে গিয়েছিলাম স্মৃতির মাঝে,
‘আসি’ বলে চলে যাওয়ার পথে,
চেয়েছিলাম কাতরভাবে,
কালো ঘন মেঘের পরে
চোখের পানি হঠাৎ জমে।
সে কি জানবে কখনো,
শুধু দিন না, রাতের নিস্তব্ধতাও চলে যায়,
একাকিত্বের প্রকট থাবা চিরকাল আমায় খোঁজে,
নখরহীন থাবার যে কত কষ্ট,
একাকিত্ব তা ভালোই বোঝে,
বিরহের প্রতিটি সুর,
নির্মমতার ধ্বনির মাঝে আমাকে শেখায়।
আমি শিখি, শিখছি, আমার স্বত্ত্বা একাকিত্ব শিখেই যাবে।
উত্তর শাহজাহানপুর,
ঢাকা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।