পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! বন্ধ্যাষ্টমেহধিবেদ্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্রজা।
একাদশে স্ত্রীজননী সদ্যস্ত্বপ্রিয়বাদিনী \\ ৮১\\ ([মনুসংহিতা- অধ্যায়-৯ : শ্লোক- ৮১, পৃষ্ঠা- ২৫৭, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়])
অর্থ : "নিঃসন্তান স্ত্রীকে বিয়ের আট বছর পর ত্যাগ করা যায়, মৃত সন্তানের জন্মদানকারী স্ত্রীকে ত্যাগ করা যায় দশ বছর পরে, যে স্ত্রী শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দেয় তাকে ত্যাগ করা যায় এগারো বছর পরে, ঝগড়া পরায়ণ স্ত্রীকে ত্যাগ করতে বিলম্ব করা যাবে না। " ([মনুসংহিতা- অধ্যায়-৯ : শ্লোক- ৮১, পৃষ্ঠা- ২৫৭, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়])
[-] কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে ত্যাগ করা ধর্ম-সিদ্ধ কিন্তু সন্তান জন্মের ব্যাপারে পুরুষের অক্ষমতাকে বিবেচনা করা হয়নি মনুর বিধানে। যদিও পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকাই মুখ্য। তাহলে, পুরুষের দোষে নারীকে কেন ত্যাগ করার বিধান?
[-] ব্রহ্মার মানস পুত্র এবং অরুন্ধতীর পতি মুনিবর বশিষ্ট মুনি নারীদের স্বর্গ প্রাপ্তির ব্যাপারে খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন :
"পুত্রহীনদের স্বর্গে কোনো স্থান নেই।
" (সূত্রঃ হিন্দু আইনঃ শ্রীদীনেশ চন্দ্র দেবনাথ, পঞ্চম অধ্যায়ঃ দত্তক, পৃষ্ঠাঃ ৩৭ এবং মহাভারতের আদি পর্ব)
[-] তাহলে পুত্রহীনরা যাবে কোথায়? নিশ্চয় নরকে। এ সিদ্ধান্ত মুনিবর বশিষ্ট মুনির হতেই পারে না। কারণ, তিনি স্বর্গ-নরকের ডিস্ট্রিবিউটর (ফয়সালাকারী) নন। তবে এই উক্তিটি কার? হলফ করে বলা চলে এটা কোনো মানুষের উক্তি নয়। তার কারণ, মানুষ না স্বর্গের মালিক, না নরকের।
ভালো কাজের পুরস্কার স্বরূপ বিধাতার কাছ থেকে পাওয়া পরম শান্তির স্থান 'স্বর্গ'। আর মন্দ কাজেরই অপ্রত্যাশিত ফল 'নরক'। এই স্বর্গ-নরকের মালিক কেবল মাত্র একজন বিধাতা। হিন্দু ধর্ম মতে ভগবান। সুতরাং উক্তিটি ভগবানের (ব্রহ্মার)।
কিন্তু এরূপ বিধান দেওয়ার কারণ কি হতে পারে?
[-] হিন্দু পরিবারে তথা সমাজে এমন নারীর কি অভাব আছে যারা নিঃসন্তান? সন্তান জন্ম দেবার জীনগুলো তাদের মধ্যে নেই? আবার এমনও আছেন যারা স্ব-স্ব স্বামীদের জীনগত সমস্যার কারণে শুধু কন্যা সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু এরা তো ধর্ম কর্ম ঠিকই পালন করেন। আবার অনেকেই ভালো কাজও করেন। নিঃসন্তান বলে ভালো কাজ করা যাবে না এমন তো নয়। তাহলে ভগবানের কাছে এদের ভালো কাজ গুলোর মূল্য কোথায়? কন্যা সন্তানের প্রতি ভগবানের এতটা অনীহা কেন?
[] ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১৬,১০০ এবং রুকমিনীসহ ৭ জন মোট ১৬,১০৮ জন কুমারীকে বিয়ে করেছিলেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ (২০ শে জুলাই) ভারতের মথুরায় বাসুদেবের ঔরস্যে দেবকীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন। ২৯ বছর বয়সে রুকমিনী এবং ৭ জন রাজকুমরীকে বিয়ে করেন। ২৯-১২৫ বছর জীবনকালে তিনি ১৬,১০০* টি বিয়ে করেন। তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন রাজকুমারী। এবং এই সংপ্তিত জীবনে তিনি ১,৬১,০৮০ টি সন্তানের বাবা হন।
এতগুলো সন্তানের মধ্যে একটিও কন্যা সন্তান ছিল না। (Click This Link)
সূত্রঃ "দেবী তোমাকে বলছি" লেখকঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
http://oneallah.org/
Comments(0) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।