আদালত নির্দেশ দিয়েছেন সাগর রুনির হত্যাকান্ডের তদন্ত ব্যাবের হাতে প্রদান করা হোক।
আদালত নির্দেশ দিয়েছেন ইলিয়াস আলীকে ১০ দিনের মধ্যে খুঁজে বের করে হাজির করা হোক।
আদালত ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফর ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন।
আদালত ডিসিসির নির্বাচন স্থগিত করেছেন।
এত সব যদি আদালতের করতে হয় তাহলে সরকারের প্রয়োজন কি?
সাংবাদিক দম্পত্তির হত্যাকান্ডের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।
সরকারের উচ্চ মহল থেকে এ বিষয়ে আরো গভীর মনোযোগের প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো সফলতা দৃশ্যমান নয়। অতএব আদালত এ আদেশ না দিয়ে পারেন না।
ইলিয়াস আলীল অন্তর্ধান রহস্য অবিলম্বে উন্মোচিত হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।
উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো ঠিক হবে না। অন্তত প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্য প্রমাণের জন্য এই রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। আবার বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন ইলিয়াস আলীকে বিশেষ বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। সেটি প্রমাণের দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।
ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফরের বিষয়টি আইসিসির উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।
কারণ ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের সন্তান। তাদের নিরাপত্ত দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশের। জনমত উপেক্ষা করে ক্রিকেট রাজনীতির সুফন নিতে কামাল সাহেব এটি করেছেন তা সবাই জানেন। অতএব, আদালতের সিদ্ধান্ত সঠিক।
ডিসিসির নির্বাচন বিধি সম্মতভাবে হচ্ছে কি হচ্ছে না তা দেখার জন্য আইন মন্ত্রণালয় আছে।
আইনের এই বিধি বিধান বা প্রশ্নসমূহ মোকাবেলা না করে কিভাবে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হলো তা দেখার বিষয়।
আমার কথা হচ্ছে সব বিষয়েই আদালত নির্দেশনা দিচ্ছে। তাহলে সরকারের লোককে এত টাকা দিয়ে পোষা হচ্ছে কেন? মন্ত্রীরাও বা বেতন নিচ্ছেন কোন আক্কেলে। যাকে যে কাজের জন্য নিয়োগ করা হয় সে কাজ সে না পারলে তার বেতন নেওয়াও উচিত নয়। আর দায়িত্বই বা তার থাকে কিভাবে।
আমার প্রস্তাব হলো: আদালতই দেশ চালাক। সরকারের প্রয়োজন নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।