। আমার এক নোয়াখালীর বন্ধু আছে- নাম কালাম। সে খুব হাসাতে পারত। একদিন আমাকে নোয়াখালীর ভাষার উচ্চারন কেন ভিন্ন তা ব্যখ্যা করল। নিচে তার কিছু উদাহরন দিলাম:
১।
এক শিক্ষক নোয়াখালীর ছাত্রকে জিগ্-গেস করল, তোমরা ভাষাকে কেন বিকৃত করে বল? যেমন পাগল-কে হাগল, পানি-কে হানি ইত্যাদি।
ছাত্র: স্যার, আপনি কোন হাগল হইছেন্নি!!!? আমরা ভাষাকে বিকৃত করব কেন? যা-ই হোক কারন বলতেছি: ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা বেশি দেশপ্রেমিক ছিলাম- পাকিস্তানীদেরকে ঘৃণা করতাম। ঘৃণার চিহ্ন হিসেবে পাকিস্তানকে হাকিস্তান বলতাম। এই ঘৃণার ধারাকে আজও আমরা বহাল রেখেছি। তারই প্রমান আমাদের এই ভাষার উচ্চারন।
দেখেন না আমরা পানি-কে হানি, পাগল-কে হাগল, পড়া-কে হড়া, পান-কে হান বলি।
স্যার: ও- আচ্ছা!!!!
২। আমি তাকে বললাম দোস্ত, বুজলাম তোমরা প কে হ বল, কিন্তু তোমরা ফুটবল কে হুডবল বল কেন?
কালাম: দোস্ত এইটা বুঝলানা?? শুন তাহলে বলি। ইংরেজরা ইংরেজী ভাষায় কথা বললেও তারা ভুল করে না যে তা না। তার-ই উদাহরন হল ফুটবল-কে হুডবল বলা।
দেখ ফুটবল খেলাটায় বলটা খেলে ফুট (পা) আর মাথা (হেড) দিয়া।
ইংরেজরা শুধু ফুট-টা খেয়াল করেছিল- হেড-এর কথা ভুলে গিয়েছিল।
তাই তারা নামকরন করেছিল এভাবে:
Foot + Ball= Football
কিন্তু নোয়াখালীর লোকেরা হেড এর বিযয়টা ওভারলুক করেনি; তাই তারা নামকরন করেছিল এভাবে:
Head + Foot+ Ball
=Hood + Ball (Head+Foot=Hood)
=Hoodball
এবার বিষয়টা বুঝতে পারছ?
আমি: দোস্ত, তোমরা নোয়াখালীর লোকরা আসলেই জিনিয়াস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।