এবার ছুটিতে নোয়াখালি আসার পরই শুনলাম খবরটা। শুনে কেমন জানি একটা যন্ত্রনা হচ্ছিলো মনের মধ্যে, সাথে তীব্র ক্ষোভ। কিছুতেই মানতে পারছিলাম না ব্যাপারটা। অনেক দিন ধরেই শুনছি নোয়াখালী জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামাল স্যার এর দুর্নীতির নানা কাহিনী। ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠীত এই স্কুলের ঐতিহ্য সুনাম সব আজ ধুলায় লিটু পুটি খাচ্ছে
শুধু বাংলাদেশই নয় সারা বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠিত, জ্ঞানী গুনি মেধাবি বাঙ্গালির স্কুল এটি।
তারা এই স্কুলের ধুলো, মাটি দেখে মেখেই বড় হয়েছেন। স্কুলের ছায়া ভরা, মায়া ভরা গাছ গুলোর আশ্রয়ে কেটেছে তাদের কৈশোর।
এই স্কুলের জীবিত-মৃত, বিখ্যাত-অবিখ্যাত লাখও ছাত্রের সুখ দুঃখের সাক্ষী এখানকার শতবর্ষী গাছগুলো। বাবা, দাদা, তার বাবা, তার দাদা সবার খেলার সাথি এই গাছ গুলো। কালের সাক্ষী গাছ গুলো সগৌরবে আজ ও দাঁড়িয়ে আছে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে।
গাছ গুলো শুধু স্কুলের না নোয়াখালীর প্রধান সড়কের ও অলংকার। নোয়াখালীবাসীর অতি আপন।
কিন্তু দয়া মায়াহীন, লোভী কিছু মানুষের নির্দয় আচরনের শিকার হতে যাচ্ছে বৃদ্ধ গাছগুলো। ড্রেন করার জন্য ভাঙ্গা হয়েছে বাউন্ডারি ওয়াল। এখন বাউন্ডারি ওয়াল পূননির্মানের ছুতোয় তারা কাটতে চাইছে গাছ গুলো।
আজ যখন সবাই মিলে প্রতিবাদ করল তখন নির্লজ্জ লোকটা সাংবাদিকদের সামনে বললেন গাছ নয় শুধু ডাল কাটা হবে। যদিও কেউ ডাল কাটার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পায়নি। গাছগুলোকে রক্ষা করে অনেক সহজেই দেয়াল নির্মান করা যায়।
আসলে এখানে মূল সমস্যাটাই হলো দুর্নীতি। এই শিক্ষকের ভর্তি বানিজ্য সহ নানা দুর্নীতির কথা সবাই যানে।
তিনি একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক, তার জন্য স্কুলে কোন সৎ যোগ্য প্রধানশিক্ষক বেশীদিন থাকতে পারে না। তার এই সব দুর্নীতির ভাগিদার জেলার উচচ পর্যায়ের প্রশাসনও।
আমরা অতি সত্তর এর থেকে মুক্তি চাই।
আসুন সবাই মিলে গাছ বাঁচাই, পরিবেশ বাঁচাই, ঐতিহ্য বাঁচাই।
আর দূর করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত পবিত্র যায়গা থেকে সকল দুর্নীতিবাজকে।
সবার সহযোগীতা দরকার।
বিশেষত জিলা স্কুল এর সকল নতুন পুরনো ছাত্রদের এগিয়ে আস্তে হবে।
নোয়াখালী জিলা স্কুল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।