আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গঃ ১৩ দফা হেফাজতনামা ও অধমের আধোবচন

আমি কেবলই আমার মতো গত ৬ মার্চ হেফাজতে ইসলাম তাদের ১৩ টি দাবী ঘোষনা করে ইসলামের হেফাজত করতে মাঠে নেমেছে। এই ভুখন্ডে ব্রিটিশ আমল থেকেই পবিত্র ইসলামকে বিতর্কিত করতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। মরহুম মওলানা ভাসানীসহ অনেকের মতে এটা আম্রিকার পয়দা। এই রাজনৈতিক ইসলামধারীরা অতীতে বাংলাদেশ জন্মেরও বিরোধীতা করেছে। এখন তাদের বিচার চলছে।

তবে হেফাজতকারীরা প্রচারনায় ও মাঠে নবীন। বাস্তবতা হলো আজকের হেফাজতে ইসলাম সেই রাজনৈতিক ইসলামের ক্ষমতায়নের ধারাবাহিকতা মাত্র। সম্প্রতি তাদের ঘোষিত ১৩দফা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা তথা নানা মুনির নানা কথা চলছে। চলুক। রাষ্ট্রযন্ত্রও এটা নিয়ে ভাবছে।

ভাবুক। আসল কথা হলো, এই ১৩ দফা কি রাষ্ট্র মেনে নিতে পারে বা আইন করতে পারে? এই প্রশ্ন জনমনে সোচ্চার। এখানে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু বিষয় আছে বলে অনেবক মত দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে করনীয় কি? এই করনীয় নিয়েই আজকের আধোবচন। সরকার মহাজোটের প্রতিনিধিদের হলেও আক্ষরিকভাবে এদেশের সকল মানুষের।

ফলে সরকার সকল পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে সকল দাবী মেনে নিবে বা আইন করবে এমন ভাবা অমুলক। হেফাজতের ১৩দফাসহ হেফাজতের সকল কিছুর প্রতি বিএনপি ও ১৮ দল পুর্ন একাত্মতা প্রকাশ করেছে সশরীরে হাজির হয়ে। এমনকি নেতাকর্মীরা লং মার্চ কাফেলায় যোগ দিয়ে এবং চিড়া মুড়ি জল খাইয়ে তারা নিজেদের একাত্মতার মর্যাদা রেখেছে। তাছাড়া লোকমুখে শোনা যাচ্ছে যে, সাবেক নিরীশ্বরবাদী কমিউনিষ্ট ও সঘোষিত নাস্তিক(হেফাজতনামা গ্রন্থে) এবং এদেশে লিভ টুগেদারের জনক জনাব ফরহাদ মাজহার সাহেবই এই ১৩ দফার রচয়িতা।

যেমন উনি বেগম জিয়ার বক্তব্যও রচনা করেন। তাই সবকিছু বিবেচনায় এক্ষেত্রে বিএনপি হেফাজতের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে ১৩ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে। সঙ্গে জামাতিদের নিতেই পারে শরিক দল হিসেবে। তারপরে আলোচনা করে ঠিক করা যাবে কি করা যায়। তারপরে সরকার একটা স্বিদ্ধান্ত নিতেই পারে।

আরেকটি সুযোগ হলো হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফাকে বিএনপি ও আঠারো দলীয় জোট আগামী নির্বাচনে তাদের ইশতেহারে যুক্ত করে জনগনের রায় চাইতে পারে। জনগন রায় দিলে নিশ্চয়ই তারা যা খুশি তাই-ই করতে পারবে। এতেও কারো দ্বিমতের সুযোগ থাকবে না। শেষ সুযোগ হলো, সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামকেই সরাসরি আগামী নির্বাচনে ১৩ দফা দাবী নিয়ে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে। জনগন ভোট দিলে ক্ষমতায় গিয়ে আইন বানিয়ে নেবে।

ঝামেলা শেষ। গনতান্ত্রিক রীতিনীতিতে এটাই সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট পন্থা। জনগন চাইলে আপত্তি থাকার কি আছে?? মিছিল সমাবেশের হুমকিতে সকল দাবী মেনে নেয়ার কোন সুযোগ কারো নাই। কারন, তাহলে এমন মিছিল-সমাবেশ করে যে কোন গোষ্ঠী যেকোন উদ্ভট দাবী করে বসবে। তখন সেটাও মেনে নিতে হবে।

সোজাকথায় বিএনপি সংসদে ১৩ দফা নিয়ে আসুক অথবা হেফাজত বা বিএনপি জোট আগামী নির্বাচনে ১৩দফা নিয়ে জনগনের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিক। তারপরে গ্রহন বা বর্জনের প্রসঙ্গ আসবে। এর বাইরে কারো কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। ব্লগীয় বুদ্ধিজীবীরা কি বলেন???? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।