মানুষ হিসেবে মাথা উচুঁ করে থাকতে চাই।
মিজানুর রহমান জুয়েল
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারকরণ ও পারস্পরিক সমতা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক কর্মকা- সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে নিজ নিজ উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই বর্তমানে ট্রানজিট অত্যাবশকীয় একটি বিষয়ে পরিনত হয়ে দেখা দিয়েছে।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সফরের সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের অধিকাংশ মানুষেরই ধারনা ছিল এবারই ট্রানজিটের একটি ফয়সালা হবে। উভয় দেশ ট্রানজিট চূক্তিতে আবদ্ধ হবে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারনে তা হয়নি।
অবশেষে ট্রানজিটের সিমাবদ্ধতাকে আরো বিস্তৃত করে তা কেবল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সিমাবদ্ধ না রেখে দক্ষিন এশিয়ার অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ভূটান ও নেপালকে সংযুক্ত করে ট্রানজিটের কাঠামোগত চূক্তি বা ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট এর খসড়া তৈরী করা হয়েছে।
এ খসড়া চূক্তিতে বলা হয়েছে ট্রানজিটে ব্যবহৃত সড়ক/ রাস্তা, রেলপথ, রেলস্টেশন, নৌপথ, টার্মিনাল/সমুদ্রবন্দও, ফেরি, সেতু, গুদাম, প্রভৃতি ব্যবহারের ফি, পার্কিং ফি এবং এর উপরে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী আরোপিত কর ট্রানজিট ব্যবহারকারী দেশকে পরিশোত করতে হবে। এছাড়া অন্যদেশের যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে তার রেজিষ্ট্রেশন ফি, রুটপারমিট ফি, এন্ট্রি ফিসহ বিবিধ সেবা ফি যে দেশের ভিতর দিয়ে বহন করা হবে সে দেশকে পরিশোধ করতে হবে। ট্রানজিটে ব্যবহৃত / কর্মরত শ্রমিক বা কর্তাব্যাক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে ভিসা প্রদান করবে। কর্মরত ড্রাইভারদের তার দেশের দেয়া লাইসেন্স অন্য দেশেও কার্যকর বলে গন্য হবে।
এ খসড়ায় আরো বলা হয়েছে যে, ট্রানজিট কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের জন্য ”অথরিটি ফর ট্রানজিট অপারেশন ” নামে একটি কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং সংশ্লিষ্ঠ দেশসমূহের বানিজ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ” কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স” গঠন করা হবে।
পরিশেষে, খসড়ার সার্বিক দিকসমূহ মেনে নিয়ে দেশগুলো চূক্তিবদ্ধ হয়ে ট্রানজিট কার্যক্রম শুরু হলে তবেই ট্রানজিট নিয়ে মানুষের দ্বীর্ঘদিনের শংকা দূর হবে, অর্জিত হতে থাকবে কাংখিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।