আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গঃ ইউটিউব

এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার খবরঃ ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারী ভিডিও রাখার কারণে গতকাল রাত প্রায় ১১টা থেকে বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ রাখা হয়েছে। কঃ কত্ত বড় সাহস ব্যাটাদের, এই ভিডিও ওখানে রাখে! খঃ আচ্ছা, ভিডিওটি কি ইউটিউবের হোমপেজে দেয়া আছে নাকি লগিন করার সাথে সাথেই হোমপেজে চলে আসছে। কঃ অবশ্যই না। খঃ তাহলে ভিডিওটি মানুষ দেখছে কিভাবে? কঃ যারা দেখতে চাচ্ছে, তারা সময় ব্যয় করে খুঁজে বের করলে তবেই ইউটিউব থেকে দেখছে? খঃ কিন্তু ইন্টারনেটে তো অজস্র জায়গায় রাখা আছে এই ভিডিও। কঃ তাতে কী, ইউটিউব তো বন্ধ করেছি।

খঃ যারা দেখতেই চায়, তারা তো দেখতেই পাচ্ছে গুগলে সার্চ করে । কঃ কিছু কথা ইসলাম বিরোধী চলচ্চিত্র ইনোসেন্স অব মুসলিমস-এর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতেই বিটিআরসি নির্দেশে বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ লাখ লাখ পর্ণসাইট বাংলাদেশের সাইবার আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে বিটিআরসি-র কোন মাথা ব্যাথাই নেই। এরকম ব্যান করে কী লাভ! মুমিন দের তো কেউ জোর করে দেখাচ্ছেনা, গোটাকয়েক পোলাপাইনইনা খুঁজে খুঁজে দেখছে।

আর ইন্টারনেটে সার্চ বন্ধ করলে কী হবে, বিভিন্ন নিউজপেপার সাইটেও তো লিংক দিয়ে রাখা আছে। ফেইসবুকটাই বা বাকি থাকবে কেন? এখানেও তো লিংক দেয়া আছে! পর্নসাইটগুলো যদি ব্যান করা সম্ভব না হয় তাহলে এই ভিডিওটির প্রচার রোধে শুধুমাত্র ইউটিউব ব্যান করে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। কারণ ইউটিউব শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক ভিডিওর-ও এক সংকলনও বটে। উইকিপিডিয়াতেও ছবিটির একটি নিবন্ধ দেয়া আছে। এখন আপনি নিশচই বলবেন না, উইকিপিডিয়াও বাংলাদেশে ব্যান করতে হবে।

এভাবে দেখা যাবে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করাই ব্যান করতে হচ্ছে। আপনি যদি নিতান্তই বিনোদনের ইন্টারনেট ব্যব্হার না করেন, তাহলে অবস্থাটা কি হবে চিন্তা করেছেন! কালে কালে যে আরও কতো কিছু দেখতে হবে! তথ্যসূত্রঃ # বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ম্যাগাজিন *সায়েন্সটেক* -এর অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজঃ CLICK  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।