আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭৫ সালের বেড রুম আর ২০১২ সালের বেড রুম।অনেক তফাৎ

আমি একটা মেয়ে মানুষ। তাও আবার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। একটা চাকরি করি। পাশাপাশি সিভিল ইন্জিনিয়ারিং এ পড়ছি। ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমার পরিবারের মানুষ গুলো যথেস্ঠ দেশ প্রেমিক।

আমারও দেশের জন্যে মন পোড়ে। যখন দেখি নির্বিচারে হত্যা, রাহাজানি,গুম, সীমান্তে আমার বোনের ইজ্জত কাটা তারের সাথা ঝুলে, আর আমার দেশের মন্ত্রী বলে"এসব চলতেই থাকবে" তখন আমার ইচ্ছে করে ঐ মন্ত্রীর চামড়া খুলে,লবন ছিটিয়ে, তার উপর গরম তেল ঢেলে সামনে দাড়িয়ে দেখি ও কিভাবে তড়পাতে তড়পাতে মারা যায়। আমি যখন দেখি গত কাল আমি আমার যে বন্ধুটার সাথে কথা বলে আসলাম, সে আজ নিখোঁজ, তখন আমার ইচ্ছে করে আমাদের প্রধান মন্ত্রীর সামনে থেকে ওর ছেলেটাকে ধরে নিয়ে ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারতে। ওর মেয়েটাকে ফেলানির মত ঝুলিয়ে রাখতে। ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চলে দেশে।

যুদ্ধ শেষ হল ৪০ বছর। আর এখন ২০১২ সাল। আজও হাজার নারী ধর্ষিতা হয়, তার কোনো বিচার না। কারন, তারা সরকারি দলের ক্যাডার। আজও রাতে নির্বিঘ্নে মানুষ ঘুমাতে পারে না।

ধরে নিয়ে গুম করে ফেলেতার বিচার হয় না। সাংবাদিক সাগর রূনি খুন হলেন, কিন্তু হত্যার কোন বিচার হলো না। কারন, তারা সরকারি দলের লিডার। প্রধান মন্ত্রী বললেন বেড রুম পাহারা দেয়া নাকি তার দায়িত্ত না। আর এ জন্যই বোধ করি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জনগন আপনার বাবার বেড রুম টা পাহারা দেয়নি।

আর সাবধান করে দিচ্ছি ভবিষ্যতেও জনগন আপনার বেড রুম পাহারা দিবে না। দেশের এই অরাজক পরিস্থিতি দেখে আমি মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে যাই। বুকের ভেতর ধুক ধুক করতে থাকে। মনেহয় এখনি বিদ্রোহী হয়ে উঠি। কিন্তু পারি না।

আর এর কারনটা আমি লিখার শুরুতেই বলেছি। আরও কারন হল আমি যে অফিসে চাকরি করি সেটা একটা সরকারি দলের নেতার অফিস। এখানে বিদ্রোহ দুরে থাক, কোন কথাই বলা যায় না। চাকরি ই থাকবে না। তাই নিজের চামড়ায় কামড় দিয়ে পড়ে থাকি।

তবে এই টুকু বলতে পারি নিজের চামড়ায় কামড়াতে কামড়াতে এক দিন ঠিকই কুত্তাগুলার চামড়ায় কামর দিয়ে দিবো। ইনশাল্লা্হ। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ যদি মুক্তির বাহক হয়ে এগিয়ে আসতো তবে আমি তার সাথে থাকতাম। অনেক কথা লিখার ছিলো, কিন্তু লিখতে গেলে এতটাই ইমশোনাল হয়ে যাই যে নিজেক হারিয়ে ফেলি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।