আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭৫- পেছন ফিরে দেখা

জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়

পনের আগষ্ট। দেশের প্রথম সামরিক অভ্যূত্থানের পাঁচদিন পরে ২০শে আগষ্ট জেনারেল শফিউল্লাহ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ফরমেশন কমান্ডার ও প্রধান স্টাফ অফিসারদের এক বৈঠক ডাকেন। মেজর ফারুক ও রশিদ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শফিউল্লাহ উপস্থিত সিনিয়র অফিসারদের এ মর্মে জানালেন যে, প্রেসিডেন্ট মোশতাক মেজর ফারুক ও রশিদকে পাঠিয়েছেন 'শেখ মুজিবকে কেন হত্যা করা হয়েছে' তা বর্ণনা করার জন্য। মেজর রশিদ, শেখ মুজিবকে হত্যা করে খোন্দকার মোশতাককে কেন তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে, তা বলতে শুরু করলে কর্ণেল শাফায়াত জামিল তাকে থামিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলেন, মোশতাক আমার প্রেসিডেন্ট নন।

মোশতাক স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট; তিনি নির্বাচিত নন এবং তাঁর প্রতি আমার কোন আনুগত্য নেই। মোশতাক একজন খুনী, ষড়যন্ত্রকারী এবং প্রথম সুযোগেই আমি তাকে সরিয়ে দেবো। কর্ণেল শাফায়াত জামিলের এই ক্রোধমিশ্রিত বক্তব্যের পরে সভা আর অগ্রসর হতে পারেনি। বৈঠকের এখানেই পরিসমাপ্তি। নানা ঘটনা প্রবাহে ২৪শে আগষ্ট জেনারেল শফিউল্লাহ ও এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খোন্দকারের চাকুরী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যাস্ত করা হয় এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান ও এয়ার ভাইস মার্শাল এম জি তাওয়াবকে বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

মাহবুবুল আলম চাষী রাষ্ট্রপতির প্রধান সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্টের নতুন সামরিক সচিব হলেন লেঃ কর্ণেল আমিন আহমেদ চৌধুরী। এ বি এস সফদর এন এস আই- এর ডিরেক্টার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেলেন। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্য সচিব রাজাকার বাহিনীর সৃষ্টকর্তা ও রাও ফরমান আলীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি শফিউল আজমকে ক্যাবিনেট সচিব হিসাবে নিয়োগ করা হলো। কেরামত আলী হলেন সংস্থাপন সচিব।

আর আইয়ুব -ইয়াহিয়ার প্রিয় ব্যক্তি কাজী আনোয়ারুল হক হলেন রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা। জেনারেল (অবঃ) এম এ জি ওসমানী প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মোশতাকের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবের দ্বিতীয় বিপ্লবকে সমর্থন করেছিলেন অথচ তাঁর হত্যাকান্ডের পর তিনি খোন্দকার মোশতাককে অভিনন্দন জানালেন। অন্যদিকে গোলাম আজম জেদ্দা থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে উল্লসিত হয়ে নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহবান জানালেন। খাজা খায়ের উদ্দিন, মাহমুদ আলী অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিলেন - আর হামিদুল হক চৌধুরী অভিনন্দন জানিয়ে পত্র লিখলেন খোন্দকার মোশতাককে।

ভূট্টো বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টন চাল ও ১ কোটি ৫০ লক্ষ গজ কাপড় উপঢৌকন পাঠালেন। সৌদি আরব ও সুদান ১৬ আগষ্ট আর চীন ৩১শে আগষ্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল। তাজউদ্দীন ২২শে আগষ্ট নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন। সৈয়দ নজরুল ইসলামও গ্রেফতার হন সরকারী বাসভবন থেকে। প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী আত্মগোপন করেন।

কিন্তু ওবায়দুর রহমান ও শাহ মোয়াজ্জেম কর্তৃক আশ্বস্ত হয়ে তাঁর ছেলেরা আব্বার সাথে যোগাযোগ করে দেন। মোশতাকের মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রী হতে অস্বীকার করায় ১৭ আগষ্ট মনসুর আলীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হলো। কোরবান আলী, আব্দুস সামাদ আজাদ, কামরুজ্জামান সহ প্রায় ২০ জন নেতা ২৩শে আগষ্ট নাগাদ গ্রেফতার হলেন। ২৫শে আগষ্ট গ্রেফতার হলেন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক এবং জিল্লুর রহমান। আব্দুল মালেক উকিল আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারী পার্টির বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩শে আগষ্ট লন্ডন যান।

এই সময় বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমাবেশ ঘটে। ভারত সরকার এমর্মে ঘোষণা করে যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এরূপ ঘটনায় ভারত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। ফলে এমর্মে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ভারত যে কোন সময় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে। পরবর্তীকালে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী স্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিক্সন তাঁকবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেন। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে খোন্দকার মোশতাক বিশেষ দূত পাঠান এবং এই মর্মে অঙ্গীকার করেন যে, পঁচিশ বছর মেয়াদী চুক্তিসহ সব বিষয়ে সৌহার্দমূলক সম্পর্ক বজায় রাখা হবে।

দিল্লীস্থ বাংলাদেশ মিশনকেও বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতকে অবহিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় মহিউদ্দীন আহমেদ (বাকশাল) বিশেষ দূত হিসেবে মস্কো যান খোন্দকার মোশতাকের নির্দেশ। সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট পদগোর্নির কাছে তিনি মোশতাকের একটি চিঠি পৌঁছে দেন। এসময় ভারতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণরত ব্রিগেডিয়ার এরশাদকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর উপ স্টাফ প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ২৬শে সেপ্টেম্বর খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যাবেনা এই মর্মে একটি অর্ডিনেন্স জারী করেন।

এরপর উপদেষ্টাদের পরামর্শে ১৬ অক্টোবর বঙ্গভবনে অবৈধ ক্ষমতা দখল বৈধ করার উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদের সদস্যদের বৈঠক আহবান করেন। এই বৈঠকে সংসদ সদস্য সিরাজুল হক মোশতাককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সম্বোধন করতে পারি না। কোন আইনের বলে মোশতাক প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জনাব হক তা জানতে চান। মোশতাক সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হন। এটা এমন এক সময়, যখন মেজর ফারুক ও রশীদ অন্যান্যদের নিয়ে বঙ্গভবনে বসবাস করা ছাড়াও প্রায়শঃই সেনাবাহিনীর প্রতি নির্দেশ জারী করতেন।

মেজর ফারুক প্রেসিডেন্টের সাদা মার্সিডিজ গাড়ি পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার শুরু করেন। সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী মেজরদের এইরূপ আচরণে ঊর্ধতন অফিসারগণ ক্ষুদ্ধ হন। ক্রমশঃ এই ক্ষোভ সেনাবাহিনীর সকল স্তরের অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই ক্রমবর্ধমান অসন্তোসের প্রেক্ষিতে বিদ্রোহী মেজরগণ অক্টোবরের শেষের দিকে সম্যক উপলব্ধি করতে পারেন যে, সেনানিবাস থেকে পাল্টা অভূত্থান অত্যাসন্ন পয়ে পড়েছে। অক্টোবরের শেষের দিকে মোশতাক, ওসমানী, জেনারেল খলিল, ফারুক ও রশীদ আসন্ন পাল্টা অভূত্থান সম্পর্কে ঐক্যমত পোষণ করেন।

জেনারেল খলিল বলেন যে, তিনি খালেদ মোশাররফ ও জিয়াকে সমভাবে সন্দেহ করেন। কে বেশী বিপজ্জনক? খালেদ অথবা জিয়া এ নিয়ে প্রতিরাতেই বঙ্গভবনে আলোচনা সভা চলতে থাকে। মহল বিশেষের মতে এসময় ফারুক ও রশীদ খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনুগত সৈন্যদের নিয়ে একটি ব্রিগেড গঠন করে জিয়া, খালেদ ও অন্যান্য বিরোধী অফিসারদের গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব ভেবে পরবর্তীকালে বাতিল করা হয়। উল্লেখ্য, যে কারণেই হোক জেনারেল ওসমানী কিন্তু জেনারেল জিয়াকেই বেশী বিপজ্জনক বলে মনে করতেন।

এরই জের হিসাবে ২রা নভেম্বর রাতে জেনারেল ওসমানী জেনারেল খলিলকে সঙ্গে করে মোশতাকের কাছে যান এবং বলেন যে, সম্ভাব্য পাল্টা অভ্যূত্থান এড়ানোর জন্য জিয়াকে অবশ্যই সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। রশিদ সেসময় উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণ আগে শাসনতন্ত্র (সংবিধান) এবং জনগণের রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে মনোরঞ্জন ধরকে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ রচনার দায়িত্ব দিয়ে ক্যাবিনেট সাব-কমিটির দীর্ঘ বৈঠক শেষ হয়েছে। প্রকাশ, মধ্যরাতে ওসমানী খলিলকে সঙ্গে করে মোশতাককে এই মর্মে উপদেশ দিচ্ছিলেন যে, জিয়াকে অবশ্যই সেনাবাহিনীর পদ থেকে সরাতে হবে। রশিদ এই প্রস্তাবের জোর আপত্তি তোলেন এবং বলেন যে, জিয়া নয়, বরং খালেদ ও শাফায়াত জামিলই বিপজ্জনক।

মোশতাকের কানে কানে রশিদ বললেন, জিয়াকে সরানোর প্রস্তাবের পেছনে ওসমানীর গভীর ষড়যন্ত্র আছে। মোশতাক এমর্মে জবাব দিলেন, ঠিক আছে, যদি জিয়াকে সরানো হয় তাহলে পরবর্তী সেনাপ্রধান কে হবেন? রশিদ ভাবলেন, ওসমানী নিশ্চয়ই খালেদের নাম বলবেন। ওসমানী যদি খালেদের নাম প্রস্তাব করেন, তাহলে এটা নি্শ্চত হওয়া যাবে যে, ওসমানী খালেদের পক্ষের লোক। ওসমানী পরদিন নতুন সেনা প্রধানের নাম প্রস্তাব করবেন বলে বঙ্গভবন ত্যাগ করেন। রশিদ করিডোর দিয়ে হেঁটে তাঁর শোবার ঘরে যাচ্ছিলেন।

এমন সময় একজন জোয়ান দৌড়ে এসে জানালো, ইনফ্যান্ট্রির লোকজন যারা বঙ্গভবন পাহাড়া দিচ্ছিল, তারা এই মাত্র চলে গেল। ওরা আমাদেরকেও চলে যেতে বললো। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোশতাকের দপ্তরে বসে, রশিদ প্রথমে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল জিয়াকে ফোন করেন। জিয়া তখন ঘুমাচ্ছিলেন। রশিদ তাঁকে সর্বশেষ পরিস্থিত সম্পর্কে অবহিত করেন।

তারপর রশিদ ফোনে ব্রিগেডিয়অর খালেদ মোশাররফের সঙ্গে কথা বলেন। রশিদ ও ব্রিগেডিয়ার খালেদের মধে উত্তপ্ত কন্ঠস্বর বিনিময় হয়। এরপর রশিদ বাংলাদেশ রাইফেলস সদর দপ্তরে ফোন করে কোন সাড়া না পেয়ে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল তাওয়াবকে ফোন করেন। তাওয়াবের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পেলেন না। তাওয়াব বঙ্গভবনে যেতে অস্বীকার করলেন।

রশীদ এবারে ফোন করলেন ওসমানীকে। ওসমানী তখন তাঁর ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবনে ঘুমাচ্ছিলেন। রশিদ জানালেন, রাষ্ট্রপতি মোশতাক অবিলম্বে তাঁকে বঙ্গভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। ওসমানী তৎক্ষণাৎ বঙ্গভবনে আসতে রাজী হলেন। কিন্তু তাঁর কোন গাড়ি ছিল না।

ওসমানী জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বহু সৈন্যকে ঘোরাফরা করতে দেখলেন। জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশ রাইফেলস সদর দপ্তরে ফোনে দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য অবলম্বে বঙ্গভবনে পাঠাতে নির্দেশ দিলেন কিন্তু তাঁর নির্দেশ মতো কোন বি ডি আর সৈন্য বঙ্গভবনে যায়নি। ওসমানী তারপর জেনারেল জিয়াকে ফোন করেন। বেগম জিয়া ফোন ধরে জানালেন যে, জিয়া বন্দী। তাই ফোন ধরতে পারবেন না।

ওসমানী তখন খালেদ মোশররফের বাসায় ফোন করে জানতে পারলেন, খালেদ চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তরে আছেন। ওসমানী সেখানে ফোন করে খালেদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝতে পারলেন, খালেদ মোশাররফই পাল্টা অভ্যূত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় যে, খালেদ মোশাররফ ও শাফায়াত জামিল বেশ কিছুদিন ধরে বঙ্গভবনে অবস্থানরত বিদ্রোহী মেজরদের বিরুদ্ধ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। বিশেষ করে শাফায়াত জামিল কখনোই সেনাবাহিনীর 'চেইন অব কমান্ড' ভঙ্গকারী মেজরদের অসদাচরণ গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি প্রায়ই জেনারেল জিয়ার কাছে অভিযোগ করতেন, মেজররাই দেশ চালাচ্ছে।

অথচ সেনাবাহিনীর 'চেইন অব কমান্ড' পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আপনি আদেশ দিলে, আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো। জিয়া কোনো অজ্ঞাত কারণে কখনো এ বিষয়ে নির্দেশ দেননি। (আমিই খালেদ মোশাররফ- এম. আর. আখতার মুকুল গ্রন্থ হতে উদ্ধৃত)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।