আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধের গৌরবময় খ্যাতির জায়গাগুলি হয়ে গাড়ীর দৌড়

মানুষের সাধ্যেরে বাইরে কিছুই নেই, যদি তার নির্ভেজাল বোধগম্যতা থেকে থাকে। রাশিয়াতে ১৯৪১-১৯৪৫ সালের মহান পিতৃভূমির যুদ্ধ বিজয়ের উত্সব পালনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। . আগামী ৯ই মে এই উত্সব পালিত হবে। যদিও যুদ্ধ শেষের পরে প্রায় অর্ধ শতাব্দী অতিবাহিত হয়েছে, তাও রাশিয়ার মানুষদের জন্য এই দিন আজও এক অন্যতম সংজ্ঞাবহ দিন হয়েই রয়েছে। এটা রাশিয়া ও সোভিয়েত দেশের ইতিহাসের এক সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের যুদ্ধের স্মৃতি, আর দেশের নাগরিকদের বীরত্বের গরিমা, যাঁরা দেশকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত।

আরও একটি বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাশিয়া ও প্রতিবেশী দেশ গুলির মধ্য দিয়ে কম করে হলেও তিনটি গাড়ীর দৌড় উত্সর্গ করা হয়েছে. তারই একটি রাশিয়া, চিন ও আভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া দিয়ে যাবে। এই ধরনের গাড়ীর দৌড়, যার পথ রাশিয়ার খাবারভস্ক থেকে চিনে গিয়েছে, তা ইতিমধ্যেই এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এই দৌড়ে যোগ দিয়ে থাকেন যুদ্ধের ভেটেরান যোদ্ধারা, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর লোকরা। তাঁরা রুশ ও সোভিয়েত সেনাদের স্মৃতি স্তম্ভ বা স্মরণীয় জায়গা গুলিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন, ভুলে যাওয়া কবর স্থান গুলিকে পুনরুদ্ধার করেন ও চিনে কবর দেওয়া নিজেদের দেশের নাগরিকদের পরিচয় পুনরুদ্ধারের কাজ করে থাকেন। এই বছরে এই গাড়ীর দৌড় প্রথমবার আভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া দিয়ে করা হবে।

এখান দিয়ে প্রথম বৈকাল পারের ফ্রন্ট গিয়েছিল। সোভিয়েত ট্যাঙ্ক, চিন ও রাশিয়ার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকা হিনগানের ভিতর দিয়ে চলে গিয়েছিল। এই পথের সর্বমোট দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার। এই গাড়ীর দৌড়ের সময়ে এতে অংশগ্রহণকারীরা পরিকল্পনা করেছেন প্রায় পঞ্চাশটি রুশ ও সোভিয়েত সেনাদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা দিয়ে যাবেন ও চারটি বড় কবরখানা ছুঁয়ে যাবেন, যেগুলির প্রতিটিতেই হাজারেরও বেশী সেনা চিরনিদ্রায় শায়িত। অন্য একটি গাড়ী দৌড়ের রাস্তা, যা মে মাস থেকে শুরু করে জুন মাস অবধি চলবে, তা রাশিয়ার উত্তরের শহর মুরমানস্কের সঙ্গে দক্ষিণের নভোরসিস্ক শহরকে জুড়েছে।

এই রাস্তার দৈর্ঘ্য ছয় হাজার কিলোমিটারেরও বেশী। তা যাবে রাশিয়া – ইউক্রেন ও বেলোরাশিয়া, এই তিনটি দেশের মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, এই দৌড়ের মাধ্যমে তাঁরা শুধু মহান পিতৃভূমি রক্ষার যুদ্ধের স্মৃতিকে সম্মান জানাতেই চান না, বরং চাইছেন রুশ নাগরিকদের দেশের জীবনযাত্রায় বেশী করে সক্রিয় করতে. এই দৌড় যে সব শহরের মধ্যে দিয়ে হবে, সেখানে যুব সম্প্রদায়ের জন্য তথ্য ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে ব্যবসা সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে। এই গাড়ী দৌড়ের প্রসঙ্গে উত্সর্গিত মূল সাইটে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে যে, এটিতে যোগ দিচ্ছেন সবচেয়ে ভাল ব্যবসা প্রশিক্ষক ও ব্যবসাদাররা, যাঁরা নিজেরাই আগ্রহী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য। আর সবচেয়ে বড় গাড়ীর দৌড়ের অংশগ্রহণকারীরা ইতিমধ্যেই তাঁদের পথের অনেকাংশই অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন. তাঁদের পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ষোল হাজার কিলোমিটার।

সেটিও রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলোরাশিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সেখানে সাতটি গাড়ীতে প্রায় কুড়িজন ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন, যাঁরা এই তিনটি দেশের সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি। এই কাজের মধ্য দিয়ে অল্প বয়সী ব্যক্তিরা প্রতীকী ভাবে নিজেদের মধ্যে দেশগুলির মধ্যে সংযোজন ও সমাকলন বেশী করে চেয়েছেন, যে দেশগুলি একত্রে একসময়ে নিজেদের একক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছিল। এই দৌড়ের অংশগ্রহণকারীরা, নিজেদের সঙ্গে নিয়ে চলেছেন সবচেয়ে বড় বিজয় পতাকার প্রতিরূপ, যার মাপ ২০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ১০ মিটার প্রস্থে. ৮ই মে তাঁরা মস্কো পৌঁছবার পরিকল্পনা করেছেন, যাতে বিজয়ের বর্ষপূর্তি উত্সবের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.