পাঠেই পরিচয় ! ক্রিকেটের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। লোটা ছাগলের পদের চেয়ে মূল্য বেশি মানুষের ভালোবাসার।
ক্রিকেটারদের মা-দের প্রতিঃ
আমি সাকিব, তামিম, মুশফিক, নাসিরের মা-কে বলতে চাই, আপনারা জানেন না আপনারা কাদের জন্ম দিয়ে এই জাতিকে গর্বিত করেছেন। আজকে পৃথিবীর যে কোন দেশের যেকোন প্রান্তে এদের মাধ্যমে আমরা সহজেই পৌছে যেতে পারি, আমরা বলতে পারি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আমার বাংলাদেশের সন্তান। এই দেশকে নিয়ে প্রতি নিয়ত আমরা যে স্বপ্ন গুলো রঙধনুর রঙ দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করি আপনাদের ছেলে গুলো সেই ক্যানভাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে, স্বপ্ন ভাঙ্গার মর্মান্তিক হৃদয় জ্বালা আগুনে আমরা আর পুড়তে চাই না।
এদের বিনিময়ে আমরা অমূল্য কোন খনি চাই না, আমরা জানি একদিন এরা আমাদের সমস্ত চাওয়া পূরন করে দেবে। এভাবে স্বার্থপর লোটার জন্য আইসিসি-র আসন যোগাড় করতে আমরা এই সূর্য সন্তানদের কখনোই ঝুঁকির মুখে পড়তে দেখতে চাই না। আশা করি, আপনি আমাদের চেয়ে বেশি উদগ্রীব হবেন, জঙ্গিদের হাতে স্বেচ্ছায় নিজের সন্তানকে তুলে দিবেন না।
মূল প্রসঙ্গঃ
বিসিবি সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেন, “পাকিস্তানের জনগণ ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত রয়েছে এবং আমরা মনে করি তাদের সমর্থন করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে লাহোর ও করাচিতে সফর করার সময় আমারা যে অর্ভথ্যনা পেয়েছি তা অনন্য।
”
এই লোক কি ছাগল নাকি বলদ!! তুই একটা মানুষ নাকি !!! তোর আর সাকিব-তামিমদের মধ্যে তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য। । কোথায় আগরতলা, কোথায় চৌকির তলা !!!
পাকিস্তান হঠাৎ করে বিসিবির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) জানি দোস্ত হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু পাকি দেশটি কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশের সুখেদুঃখেও তারা দাঁড়ায় না। একাত্তরের ক্ষততো আছেই, সর্বশেষ এই দেশটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে।
এর উপর বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে না গেলে দু দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করার হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি জাকা আশরাফ। কত বড় স্পর্ধা !!
তারা বলছে পিসিবি পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বিপিএল -এ খেলতে অনুমতি দিবে না। আরে তোমাদের তো আইপিএল আগেই বাদ দিয়ে দিয়েছে, আমাদের এখানে এসে তাও কিছু রোজগারের সুযোগ পেয়েছো। কিন্তু পাকিরা নিমুকহারাম বেঈমান জাতি । তারা যেখানেই যায় সে জায়গাটা নষ্ট করার চেষ্টা করে, বিপিএল -কে পাকিস্তানিরাই জোয়াড় আসর বানাতে চেয়েছে, আমাদের তো আগামী বিপিএল-এ এদের বর্জন করার কথা চিন্তা করা উচিৎ!!!! বিপিএল-এর আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য এদের বাদ দেওয়া উচিৎ।
পৃথিবীতে কি ক্রিকেট খেলোয়াড়ের সংকট পড়েছে নাকি !!??
তারা নিরাপত্তার ব্যাপারে আন্তরিক নয় এবং চাইলেও নিরাপত্তা দিতে অক্ষম। ঘটনার পরে দায়িত্ব স্বীকার না করে বরং দায়িত্ব এড়াতে উলটো আক্রমণ করাই তাদের স্বভাব। শ্বাস্রুদ্ধকর ঐ মুহুর্তগুলোতে ক্রিকেটকে ভালোবাসা ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ভালোবাসা শ্রীলঙ্কান জনসাধারণের মনের অবস্থা একবার আঁচ করতে পারেন কেউ পারবেন না এই পরিস্থিতিতে আমরা এখন পড়িনি তবে পড়তে যাচ্ছি। বিসিবি প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আইসিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সমর্থন প্রয়োজন বলেই তিনি দলমত, দেশ জনতা সবার উর্ধে ঊঠে ব্যাক্তি স্বার্থকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
২০০৯ এর মার্চ মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট টীম খেলতে গিয়েছিলো পাকিস্তানের লাহোরে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলো পুরো শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট টীম।
৬ জনের মৃত্যু হয়েছিলো সেই হামলায়, ৭ জন খেলোয়াড় আহত হয়েছিলো, এর মধ্যে দুইজনের (Thilan Samaraweera ও Tharanga Paranavitana) অবস্থা ছিলো গুরুতর।
আপডেট খবরঃ
আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন স্টুয়ার্ট ল ....সাবাশ !! তাকিয়ে রই, সব ভাই হোক পারাপার।
ফেসবুকে আরিফ জেবতিক ভাই বলছেন
"বাংলাদেশের ক্রিকেট টিম পাকিস্তান গেল..পাকির বাচ্চারা বোমা মেরে টিমের ক্ষতি করে ফেলল...তাইলেই বাঙালিরা ঝাড়ু পেটা করে লোটা কামাল আর তার দলকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিবে...যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ফিচার তখন বুড়িগঙ্গা দিয়া ভেসে যাবে। সহজ ফর্মুলা। একমাত্র গর্দভরাই পানি ঘোলা করে খাওয়ার রিস্ক নেয়...
পাকিস্তান আর নরকের মাঝে এখন পার্থক্য শুধু এটুকুই, মৃত্যুর আগে নরকে যাওয়া যায় না, কিন্তু পাকিস্তানে যাওয়া যায়।
একটি চরম ব্যর্থ রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়ছে। এদের না আছে আত্মসম্মান, না আছে কাণ্ডজ্ঞান, না আছে অন্য কিছু। সে না থাকুক, তারা তাদের মতো চলুক, আমরা আমাদের মতো চলি। তারা বোমার শব্দে ঘুমিয়ে পড়ুক, বোমার শব্দে জাগুক, এতে আমাদের কী?
কিন্তু সেই বোমা খাওয়ার আশংকার মাঝে আমাদের টিমকে পাঠানো কেন?"
পাকিস্তান হচ্ছে সেই অসভ্য জাতি, যারা আমাদের তিন মিলিয়ন মানুষ হত্যা করে দীর্ঘ ৪১ বছরেও ক্ষমা চায়নি, দোষীদের শাস্তির উদ্যোগ নেয়নি, এবং তাদের ক্রিকেটার ইউনূস খান কয়েক মাস আগেও বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস হরণ করে তা আফগানিস্তানকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে আইসিসিকে উদ্দেশ করে। এই পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যে কেন গুরুত্বপূর্ণ? পাকিস্তানের দোস্তি ছাড়া যদি বিশ্বের আরো দশটা দেশ ক্রিকেট খেলে যেতে পারে, আমাদের কী ঠ্যাকা পড়েছে আমাদের টাইগারদের এই মৃত্যুপুরীতে খেলতে পাঠানোর, যেখান থেকে তারা অক্ষত ফিরে আসতে পারবে কি পারবে না তার কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না!!
লোটাস কামাল যখন একা একা সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন, তখনও আইসিসি বলছে তারা এখনও পাকিস্তানকে নিরাপদ দেশ মনে করছে না।
সেখানে তাদের আম্পায়ার পাঠাবে কি না, সে সিদ্ধান্তও তারা এখনও নেয়নি। আর লোটাস কামাল বলে দিয়েছেন, আইসিসি আম্পায়ার পাঠাক আর না পাঠাক, বাংলাদেশ সেখানে যাবে! আর দুবাইতে বসে যখন সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলো সেদিনই পাকিস্তানের একটি জেলখানায় হামলা চালিয়ে ৪০০ জঙ্গিকে মুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। জঙ্গি মদদদাতা এই রাষ্ট্রটির এই জেল পলাতক জঙ্গিরাও কি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে অভ্যর্থনার জন্য তৈরি হবে? যার খেলার আয়োজনকে বেশরিয়তি মনে করে বলেই তাদের দেশে এসব আয়োজন বন্ধ করতে শ্রীলংকান ক্রিকেটারদের ওপর হামলা চালিয়েছে! সেই থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ একটি দেশ পাকিস্তান। দুনিয়ার কোনো ক্রিকেট টিম পাকিস্তানে খেলতে যায় না। পাকিস্তানের সঙ্গে ফিরতি ম্যাচগুলো দুবাই-শারজাহ-আবুধাবির মতো কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হয়।
পাকিস্তান যে এখনও মোটেই নিরাপদ না তা সবশেষ জেলখানায় হামলা চালিয়ে জঙ্গি বন্দিদের মুক্ত করে নেবার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতিতে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু এখন তো অন্তত জঙ্গি রাষ্ট্রের কলঙ্ক বাংলাদেশের নেই। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি যাই থাকুক, বাংলাদেশে অন্তত জেলখানায় হামলা চালিয়ে পাঁচশ জঙ্গিকে বের করে নিয়ে যাবার কথা কল্পনায়ও ভাবা যায় না। যা খুব স্বাভাবিক বিষয় লোটাস কামালের পাকিস্তানে।
লোটার কাছে ক্রিকেটারদের জীবনের চেয়ে সহ সভাপতির পদ বড়!
কিন্তু দেশের প্রধান মিডিয়াগুলো এখনো নীরব, তারা কি এখানে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে চাইছে? আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইলে মিডিয়ার সাহায্য দরকার। মিডিয়ার সাহায্য ছাড়া দেশবাসী জানবে না কি হতে চলেছে, লোটাসকেও পদত্যাগে বাধ্য করতে হলে মিডিয়াকে লাগবে।
প্রধান নির্বাচক পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারেন আর এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ক্রিকেটাররা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমস্যার সামনে। আপনার সামান্য একটা সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু স্থায়িত্ব নির্ভর করছে, পূর্বের মত আপনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। অনুরোধ নয় এটা এখন আপামর শান্তি প্রিয় বাংলাদেশের মানুষের দাবি ।
তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করতেই পারি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে একটা কিছু করুন। লোটার হাত থেকে আমাদের ক্রিকেটকে বাঁচান, খেলোয়াড়দের বাঁচান। নয়তো আপনারা কেউই রক্ষা পাবেন না। ।
প্রতিবাদী-সোচ্চার হও বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফরকে না বলুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।