ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সেই রিপোর্ট অবশেষে আলোর মুখ দেখল। অন্ধকারে ঢেকে দিল দেশের ক্রিকেটের মুখ। ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা হলেও অভদ্রদের পদচারণা বার বার বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছে। ক্রিকেটবিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের কোনো না কোনো খেলোয়াড়ের নামে রয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। মনে করা হতো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এ পাপ থেকে নিরাপদ দূরে।
কিন্তু বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় সে বিশ্বাসে চিড় ধরে। আশার কথা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগকে কঠোরভাবে নেয়। এই ঘৃণ্য প্রবণতার বিরুদ্ধে নিজেদের শক্ত অবস্থান প্রমাণে তারা বিপিএলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দুর্নীতির দমন ইউনিটকে (আকসু) দিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। আকসু তাদের যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে দেশের প্রথম ক্রিকেট সুপার স্টার আশরাফুলসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই নয়জনের মধ্যে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সংগঠকদের নাম রয়েছে।
নয়জনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি দুজন তদন্ত কমিটির কাছে কোনো তথ্য না জানানোয় অভিযুক্ত হয়েছেন। ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য বিপিএলের গত দুই আসরের শিরোপাধারী ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টিকরাপশন কোডের আর্টিক্যাল ৬ অনুযায়ী ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির দ্বারা তদন্ত করা হলেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের শাস্তি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল কমিটি।
অভিযুক্তরা দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খণ্ডনের সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের শক্তিমত্তা নিয়ে এতদিন সংশয় থাকলেও সততা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। বিপিএলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সে সুদিনের অবসান ঘটাল। আমাদের বিশ্বাস ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অঘটন লজ্জাজনক হলেও বিসিবি এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে শক্ত অবস্থান নিয়েছে তা আশা জাগানিয়া। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্তে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে নিয়োগ করে তারা নিজেদের স্বচ্ছতার প্রমাণ দিয়েছে।
আমাদের বিশ্বাস তাদের এ দৃঢ়তা
আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।