আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিও ঘাসফুলগুলোর মত, তবে মেয়ে তুমিতো নও!

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই ইনসাইড ইস ডিফারেন্ট দেন আউটসাইড . . . তটিনী, এই ফুলগুলো তোমার জন্য! আমার জন্য? হ্যা! কিন্তু কেনো? আমি তোমার পাশে থাকতে চাই! পাশে? হ্যা। অর্থাৎ? আমার ইচ্ছে হচ্ছে সবসময় তোমার পাশে থাকি, তোমার একাকিত্বটা দুর করে দেই! ওহ! আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি! তা নাহয় বুঝলাম, কিন্তু এই ঘাসফুলগুলো কেনো। ফুলগুলো তোমাকে উৎসর্গ করলাম। হুমম! এই ফুলগুলোকে লক্ষ কর। ঠিক আছে, করলাম।

নাহ, এভাবে নয়! কিভাবে? এভাবে ভাবো যেনো ওদের সাথে আমার সাদৃশ্য আছে অনেক, ওরা আমার মত। তোমার মত? হ্যা! বুঝলাম না! ওদের কে খুব মনযোগ দিয়ে দেখো, বুঝবে। তারপর? ওরা কিন্তু আমার মত, কেন বুঝেছ? আরেকটু খুলে বল, কি বোঝার ছিল? ওদের দেখলে কি মনে হয়? ফুল! ওদের সাথে অন্যান্য ফুলের তুলনা কর, কেমন মনে হচ্ছে এখন? ওরা ছোট। তারপর, আর কি ভাবনা আসে? ঠিক কি শুনতে চাও? ওরা মানুষের চোখে কেমন? পথের ফুল, ছোট, মানুষের চোখে ওরা পরে না। আর? ওদের সবাই তাচ্ছিল্য করে, কাছ থেকে না দেখেই, পথের ফুল বলে! আমিও ওদের মত, বুঝতে পেরেছ কি বলতে চাই? হুম।

কি বুঝেছ? তুমি ওদের মতই, তোমাকে দুর থেকে দেখে সবাই তাচ্ছিল্য করে। তারপর? কিন্তু যারা কাছ থেকে দেখে, তারা চিনতে পারে তুমি অন্য কেউ, অন্তত তাই মনে হচ্ছে। তুমি কে এদের মধ্যে? প্রথম পক্ষ! হবে কাছের মানুষ? না! কেনো? ঘাসফুলরা দুর থেকে দেখতেই সুন্দর, ওরা কাছে আসলে মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। ঘাসফুল নিয়ে পুতুল খেলা যায়, বাসর সাজানো যায়না! মাটির সৌরভ কি এতটাই তুচ্ছ? তর্ক করছ কেনো, না বলেছি, সুতরাং এখন যাও! তাহলে কি আমারই ভুল হয়েছে তোমাকে চিনতে? এতক্ষন সহ্য করেছি, আর নয়! ভুল মার্জনা কর, ক্ষমা দাও দেবী! অসভ্যতা না করে আমার সামনে থেকে চলে যাও! অনেক্ষন থেকে তোমার অতিবুদ্ধিমান মস্তিস্কের উদ্ভট চিন্তার কথা শুনেছি, আর নয়! তুমি নিজেকে কি ভেবেছ? মানুষ! হাহ, তবে এটুকু বুঝোনি, কাউকে ভালবাসতে হলে যোগ্যতা লাগে? এখন বুঝছি! ভাবছিলে ঘাসফুল এনে দিলেই খুশি হয়ে গিয়ে তোমার হাত ধরব? সামান্য গোলাপ ফুল কিনার সামর্থ্য যার নেই, সে প্রেম করবার সাহস দেখায় কিভাবে? আত্মসম্মান বলে কিছু থাকলে আমাকে আর মুখ দেখিয়োনা! তবে তাই হবে, তোমাকে দেখতে হবেনা আর আমাকে! এটুকু বলেই চলে এসেছিলো সেদিন নির্ঝর, অনেক দুরের পথে, সরে গিয়েছিলো সে তটিনীকে একা ফেলে, জীবনের পথে এগিয়ে গেল সে ক্রমে ক্রমে! * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * পরবর্তিতে যা হতে পারত............ একদিন নির্ঝর হটাৎ লিখতে শুরু করল আবার, সে ডয়েরীতে লিখল, মানুষের জীবনটা বড়ই আশ্চর্য, কঠিন পাথরে ঘেরা রহস্যময় এক পথ। এখানে পথ চলতে গিয়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য কিছু দেখলে থমকে দাড়ায় সবাই।

আমিও থমকেছিলাম একবার, তটিনীকে দেখে। ওর নামটার মত ওর কথা, চিন্তা, সবকিছুতেই যেন স্রোত দেখতাম। ওর চোখে দেখেছি গভীরতা, যার গভীরতার রহস্য ভেদ করব ভেবেছিলাম। ব্যর্থ আমি ডুবে মরেছি, রহস্যর মরিচিকা দেখে, দেখে মুখশের নিচের মানুষটাকে। কথায় আছে, অসুন্দর ব্যবহার সুন্দর মুখে কালি লেপন করে।

সেদিন ওর কালি দেখে আমি হতাশ হয়ে চলে গিয়েছিলাম দুরে। সেদিনের পর কখন ওর চোখের দিকে তাকাইনি, অবশ্য তাকানোর দুর্ভাগ্যও হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় বদলে ফেলেছিলাম। বন্ধুরা জানতে চাইল, তবে জানাইনি কাউকে কিছুই। এ দুর্বলতা বোধে নয়, নিজেকে সামলে নেবার জন্য।

দুঃখ হল এমন এক বস্তু, যত বেশি একে নিয়ে ভাববে, ততই মনটা বিষন্ন হবে! সে ছিল জীবনের প্রথম প্রেম, কিন্তু সেই প্রেম শুট করে লাশ বানিয়ে দিয়েছিলাম এক মুহুর্তে। নিজেকে বড্ড বেশি সাহসী মনে হচ্ছে আজ! অপাত্রে প্রেম দিতে নেই! আজ দেখলাম তটিনীকে, সেই শেষ কথপোকনের পর আজ। একটা কথা ভেবে হাসি আসছিলো, ওকে দেখাব না বলেছিলাম আমার মুখ। কিন্তু উপরের তিনি আমার মুখটাকে আবার ওর সামনে হাজির করিয়েছিলেন। কিন্তু ওর দিকে দ্বিতীয়বার না তাকাতে চাইলেও তাকাতে হল।

এক অদৃশ্য ভাবনা আছে, যা ওকে দেখলেই আসে মনে! কিন্তু সেটাকে ভালবাসার জন্য বলব না। ভালবাসাকে মাটি চাপা কবেই দিয়েছি! তবে সেই ভাবনা ভাবলাম, আর ওর জ্যোতিহীনতা লক্ষ করলাম। অদ্ভুত একটা পরিবর্তন এসেছে। সেই অনিন্দ্যসুন্দর মুখশ্রিতে ক্লান্তিরা খেলছে, রুক্ষ মুখে মনের ব্যর্থতা হাতছানি দিচ্ছে। আমাকে দেখে এগিয়ে আসলো।

আমি এড়াতে চাইলাম না, তাছাড়া এড়িয়ে গেলেই কি পার্থক্য হবে। ওর অনুরোধেই পাশের রেস্টুরেন্টে বসতে হল। ওর কথা বলতে লাগলো ও অনর্গল, কিছু শুনলাম, কিছু শুনিনি। ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ওর ধনী প্রেমিককেই বিয়ে করেছে। ধনী প্রেমিক, শব্দটা ওর মুখ থেকে শুনে অবাক হচ্ছিলাম, পরে ভাবলাম, ওর মত মেয়েদের এভাবে বলতে সংকোচ হয়না।

মনেই যার এত ছিল, তা সে মুখে বলায় কিবা আছে অবাক হবার? কিন্তু পরের কথাগুলো শুনে অবাক না হয়ে পারিনি। ও বদলে গেছে, এটুকুই বলব তোকে ডায়েরী। কথার মাঝেই একটু কোমল স্বরে দুঃখিত বলল, সব কিছুর জন্য! বলল, আমি নাকি অনেক বেশি সুন্দর মনের সঙ্গী পাবো। চুপচাপ শুনে গেলাম আমি। ওর আচরনের পরিবর্তন, কথার ভঙ্গী, অন্য কেউ হলে বিহ্বল হত, কিন্তু আমি ঠিক বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে পারছিলাম না, নাকি ভুলে গিয়েছিলাম অনেকদিন হয়ে গেছে, যেটাই হোক, কথা বলিনি অনেকক্ষন।

এরপর শুনলাম ওর এখনকার জীবনের কথা, ওর স্বামীর সাথে ওর সম্পর্কের কথা, যা শুনতে বিরক্তি বোধ করছিলাম একপর্যায়ে। মেয়েটার মাথায় বুদ্ধি নাই, অন্তত এটুকু বুঝেনা, এসব আমাকে বলে কি হবে? জিজ্ঞাসা করলাম "আমাকে এসব শোনাচ্ছ কেনো?" হতবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল কতক্ষন প্রশ্ন শুনে। পরে বলল ও নাকি ভুল করেছিল সেদিন! এখন অবস্থা এতটাই খারাপ, কাউকে কিছু বলতে পারেনা। পরিবারের সাথে ওর সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে বিয়ের কারনে, আর স্বামীর সাথে সম্পর্ক খারাপ। তাই মনটা হালকা করতে আমাকে সব বলল।

আমি রাগ দেখালাম, বললাম "কি পেয়েছ? নিজের দুঃখ আমার কাধে ফেলবার কৌশল করছ নাকি?" কথাটা শুনিয়ে ওর মুখের পরিবর্তন দেখলাম কয়েক সেকেন্ড। ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে আসলাম উঠে। তারপর তোকে সব কিছু বলতে বসলাম ডায়েরী। চিন্তা করছি তোর সতীন খুজতে বের হব, আর নয় এই দুঃখ দুঃখ জীবন। তখন ওকে নকল রাগ দেখালেও, এটুকু ঠিক, ও যা বলেছে তার পর ওর সাথে দেখা করাটা ঠিক হবেনা।

ঘুম পাচ্ছেরে ডায়েরী, যাই। কাল মন চাইলে তোর বুকে আবার লিখে রাখব কি করলাম, কি ভাবলাম! সমাপ্ত উৎসর্গ: কামরুল হাসান শাহি ও সাইফুল হাসান সিফাত! ভালো থাকুন পাঠক সবাই! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।